অমুসলিমদের সাথে বিবাহ নিষিদ্ধ!
ইসলাম চায় বৈবাহিক সম্পর্ক সুদৃঢ় ও সুসংহত হোক। ভবিষ্যতে যেনো কোনোপ্রকার মনোমালিন্য বা বিচ্ছেদের সৃষ্টি না হয় তাই ইসলাম এদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে—ছেলেমেয়ে পরস্পরের আকীদা-বিশ্বাস, সমাজ-সংস্কৃতি ও রীতিনীতিতে এক ও অভিন্ন হবে। তাই মুসলিম নরনারীর সাথে অমুসলিম নরনারীর বিয়ে জায়েয নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেন, অর্থাৎ তোমরা মুশরিক মহিলাদের বিয়ে করো না মুমিন না হওয়া পর্যন্ত।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেন
لا تنكحوا المشركات حتي يؤمن
অর্থাৎ তোমরা মুশরিক মহিলাদের বিয়ে করো না মুমিন না হওয়া পর্যন্ত।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় শায়খুল হিন্দ রহ. লেখেন, মুশরিকদের সাথে বিয়েশাদি নিষেধ করা হয়েছে কারণ, তাদের সাথে কথাবার্তা, চলাফেরা, উঠাবসা, মুহাব্বত-ভালোবাসায় শিরকের প্রতি ঘৃণা কমে যাবে। অজান্তে শিরকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। তাই তাদের সাথে বিয়েশাদি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। [মুয়ায্যাহে ফুরকান]
শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী রহ. লেখেন, আলোচ্য আয়াতের একটা সূক্ষ্ম তাৎপর্য রয়েছে, মুসলমানরা যখন কাফেরদের সাথে মেলামেশা করবে এবং তাদের মাঝে সহমর্মিতার সম্পর্ক গড়ে উঠবে, তখন বিশেষভাবে তা বিবাহের সম্পর্কের আকারে প্রকাশ পাবে। এতে দীনের বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা; জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে কুফুরীর প্রভাব পড়বে অন্তরে। [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা]
এতো গেলো দীনি ক্ষতি। দুনিয়াবী ক্ষতি হলো, দুটি ভিন্ন ধর্মের কারণে পরস্পর মুহাব্বত-ভালোবাসা পয়দা হতে পারে না। উভয়ের মাঝে প্রেম-প্রীতি ও মুহাব্বত ভালোবাসা হওয়া সুকঠিন। বরং পরস্পর দূরত্ব ও তিক্ততা কেবল বাড়তে থাকবে। পরিণামে নিজের যৌন পবিত্রতা হবে হুমকির সম্মুখীন, বিয়ের আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।:প্রিয় ইসলাম
মূল- মাওলানা জফিরুদ্দিন
অনুবাদ- মাওলানা মিরাজ রহমান
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন