রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

অ্যাসিড নির্যাতনের কথা শুনলে এখনো আঁতকে উঠি

২৫ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরপর ঘটে যাওয়া অ্যাসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা আমার আতঙ্কটা হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক বছর ধরে পত্রিকাগুলোতে অ্যাসিড নির্যাতনের ঘটনা খুব কম দেখা গেছে। আমি আশান্বিত হয়েছিলাম যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এই নির্যাতনকে কমিয়ে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি; কিন্তু আমি আবারও হতাশ। তার মানে, মাঝখানে ঘটনাগুলো কমে গিয়েছিল। আবার বাড়ল কেন?

হঠাৎ বেড়ে গেছে, এর কারণ হিসেবে কী আমরা বলতে পারি? অ্যাসিড অবাধে বেচাকেনার ওপরে সরকারের কোনো তদারকি নেই। অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে না? আমরা যদি অ্যাসিড নির্যাতনকারীর শাস্তির দিকে তাকাই, তা হলে দেখা যায়, ঘটনার তুলনায় শাস্তির সংখ্যা অনেক কম। আমার উপলব্ধি হলো, একজন ব্যক্তি যখন অ্যাসিড নির্যাতনের শিকার হন, তখন তাঁর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে যে ক্ষতি হয়, তা কখনো পূরণীয় নয়। একটি অ্যাসিড নির্যাতনের ঘটনা একজন মানুষের চলার পথ অবরুদ্ধ করে দেয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের চলার গতিকে থামিয়ে দেয়। আমি নিজেও এই সন্ত্রাসের শিকার। নেতিবাচক অনেক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। তবু থেমে থাকিনি। সবার সহযোগিতায় আজকের অবস্থানে এসেছি।

আমরা দেখতে পাই, ঘটনার পর অপরাধী কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে সমাজে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে। অথচ যে ব্যক্তি অ্যাসিড নির্যাতনের শিকার হন, তাঁকে নিয়ে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নানা® সমালোচনা করে। সমাজ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন® করার একটি প্রচেষ্টা চালায়। তাঁর দিকে বিভিন্ন®চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। তাঁকে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হয় তাঁর যোগ্যতা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, অ্যাসিড অপরাধ যে করে, সে একজন মারাত্মক অপরাধী। তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া খুবই জরুরি। না হলে সমাজে এ রকম আরও অনেক অপরাধী জন্ম নেবে। এই অপরাধের শিকার হবে আপনারই প্রিয়জন। আসুন, আমরা সবাই মিলে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তির পাশে দাঁড়াই। তাঁকে পূর্ণোদ্যমে নিজের অবস্থান ফিরে পেতে সহযোগিতা করি। অপরাধীকে শাস্তি দিতে প্রশাসনকে সক্রিয় করায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।

লেখক: প্রোগ্রাম অফিসার

উইমেন রাইটস অ্যান্ড জেন্ডার ইকুইটি

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?