জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বিশেষ আদালতে আজ বৃহস্পতিবার হাজির হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

আজ আত্মপক্ষের সমর্থন করলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনটি সহজ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। বিচারক তাকে এ তিনটি প্রশ্ন করবেন।

প্রথম প্রশ্ন, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও সাক্ষীরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন এতে আপনি দোষী না নির্দোষ?

দ্বিতীয় প্রশ্ন, আপনি মামলায় কোনো সাফাই (আপনার পক্ষে) সাক্ষী কি দেবেন?

তৃতীয় প্রশ্ন, আপনি মামলার বিষয়ে কোনো লিখিত বক্তব্য দেবেন কিনা?

এর আগে, ১০ নভেম্বর ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে বেগম খালেদা জিয়া হাজিরা দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এ দিন বিচারক খালেদাকে এ তিনটি প্রশ্নের বিষয় বলেন। সেদিন বিচারক বলেন, আত্মপক্ষের সমর্থনের দিন আপনাকে এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৩২ জন্য সাক্ষ্য দেন।