আট বছরে প্রায় ৩০০জনকে বিছানায় টেনে এনে সেক্স করেছেন তিনি..!
সেই ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু, আর এখন ২৪৷ এই আট বছরে প্রায় ৩০০জনকে বিছানায় টেনে এনেছেন তিনি৷ না বটতলা থেকে কেনা কোনও হলুদ মলাটের বইয়ের গল্প নয়৷এক্কেবারে বাস্তব চরিত্রের স্বীকারোক্তি৷ ইস্ট ইংল্যান্ডের অখ্যাত কাউন্টি নরফকের বাসিন্দা নেসা জে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে৷
পশ্চিমের এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সেই সতীচ্ছদ জলাঞ্জলি দিয়েছেন তিনি৷ প্রথম বার যৌন সুখ উপভোগ করে তিনি বুঝতে পারেন আর পাঁচ জনের থেকে তাঁর চাহিদাটা কয়েকগুণ বেশি৷ দিনে অন্তত পাঁচ বার ‘অর্গাজম’ না হলে তাঁর নাকি ভাত থুরি বেকন-টোস্ট হজম হয় না৷ নেসার কথায়, ‘দিনে পাঁচবার যৌন সুখ না পেলে পাগল পাগল লাগে আমার৷’ ফলে প্রতিদিনই সঙ্গী প্রয়োজন হয়৷ আর এক্ষেত্রে কোনও শুচিবাইগ্রস্ততা নেই তাঁর৷ নেসা বলছেন, ‘অত বাছ বিচার করলে চলে না৷ যাঁকে যখন পছন্দ হয় তাঁকেই বিছানায় টেনে নিয়ে যাই৷’
কিন্তু সঙ্গী বাছতে নেসার পথ কী? সুপারমার্কেট বা শপিংমলে অচেনা পুরুষ দেখলে তাঁর সঙ্গে আলাপ করেন তিনি৷ কয়েক মিনিট কথা বলেই ‘অভিজ্ঞ’ নেসা বুঝে নেন সেই পুরুষের সঙ্গে বেডরুমে যাওয়া উচিত কি না৷ মন যদি গ্রিন সিগন্যাল দেয় তবে বেডরুমের দরজায় ঝুলে যায় ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ ট্যাগ৷ কিন্তু সমস্যা একটা রয়েছে৷ অতিরিক্ত চাহিদার ফলে পুরুষের ‘যোগানে’ মাঝে মধ্যেই ভাটার টান আসে৷ কিন্তু নেশাতুর শরীর তা বুঝবে কেন? তার তো তখনই পুরুষ শরীর চাই৷ তাই অগত্যা নেসাকে ভরসা করতে হয় সেক্স টয় বা ডিলডোর উপর৷ এদিক থেকেও একটা বড়সড় তির মেরে দিয়েছেন তিনি৷ গর্বের সঙ্গে বলেছেন, ‘আমি ডিলডো দার্শনিক৷’ কারণ নেসার ওয়াড্রোবে রয়েছে দু’হাজার রকমের ডিলডো৷ পুরুষ যোগানে টান পড়লে সেখান থেকেই একটাকে কাজে লাগান তিনি৷ নেসা আরও বলেছেন, ‘মহিলাদের সঙ্গেও সহবাস করতে পিছপা হইনা৷’ যদিও এই ৩০০জনের মধ্যে সঙ্গিনীর সংখ্যা হাতে গোনা৷ এই সমস্যার জেরে একাধিক বন্ধু-বিচ্ছেদও সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে৷ কারণ নেসার বন্ধুদের ধারণা, ‘রাক্ষসী’ নেসা তাঁদের সঙ্গীদের ভাঙিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যাবেন৷
৩০০ সঙ্গীর মধ্যে কী কারও প্রেমে পড়েননি এই সেক্স স্টার্ভড নেসা! দার্শনিক নেসা বলছেন, এমনও হয়েছে একজনের সঙ্গেই মাসের পর মাস একসঙ্গে কাটিয়েছি৷ সহবাস ছাড়াও ডিনার-সিনেমা দেখতে যাওয়া সবই করেছি৷ সহবাসের সময় অবশ্যই একজন মানুষের প্রতি মানসিক টান অনুভূত হয় যা মাঝে মাঝে খুবই গভীর হয়ে যায়৷’ কিন্তু তাকে লাভেরিয়া হতে দেননি ‘নিম্ফোম্যানিয়াক’ নেসা৷
এখন অবশ্য বাড়াবাড়ি খানিক কমিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাড়া আর কারও সঙ্গে রাত কাটান না এখন৷ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নেসার মুখ থেকে একটা কথা বারবার শোনা গিয়েছে৷ তা হল, ‘অতিরিক্ত কামনা মানেই কিন্তু আমি দেহ ব্যবসায়ী নই৷ নিজের মান বজিয়ে রেখেই চলি৷’ সাক্ষাৎকারের একেবারে শেষে নেসা জের কথাগুলি মনে করিয়ে দিতে পারে স্বপন বসুর একটা গানের কথা৷ গানের কথায় একটু বদল এনে বলা যায়, ওসব তো আর রোজ করে না, এমনিই ভাল মেয়ে, ওসব করে মাঝে মধ্যে শরীরের ডাক পেলে…
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন