আপনি কি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন
রক্তশূন্যতা কিংবা রক্তে লোহিত কণিকার স্বল্পতা বা বিশুদ্ধ রক্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ- লোহা তথা ‘আয়রন’ স্বল্পতায় ভুগছেন? এই সমস্যা খুব বড় আকার ধারণ করার আগেই ঘরে বসেই পেতে পারেন মুক্তি! বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি নারী রক্তের অন্যতম খনিজ উপাদান- লোহার স্বল্পতায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাটি ‘অ্যানিমিয়া’ বা রক্তশূন্যতা হিসেবেই বেশি পরিচিত।রক্তশূন্যতায় ভুগছেন
রক্তে গুরুত্বপূর্ণ এই পুষ্টি উপাদানটির অপর্যাপ্ততার কারণে ক্লান্তি, তন্দ্রাচ্ছন্নতা তো হয়ই, এমনকি কাজের গতি ও মানের ওপরেও প্রভাব ফেলে। নিচের আয়রনসমৃদ্ধ খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় যোগ করে নিয়মিত খেলেই এড়ানো সম্ভব এই স্বাস্থ্য সমস্যাটি।
বাদামী চালের ভাত:–ব্রাউন রাইস বা বাদামী চালের ভাত আঁশসমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এই আঁশ যেমন আপনার দেহে সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত উপাদনগুলো ধুয়ে ফেলবে, তেমনি এই চালে থাকা আয়রন যুদ্ধ করবে অ্যানিমিয়ার বিরুদ্ধে।
জইচূর্ণ বা ওটমিল:–সাধারণ শস্যদানাগুলোর মধ্যে অন্যতম জই বা ওটমিলে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে আয়রনও। দিন শুরুর সময় অর্থাৎ সকালের নাশতায় যদি নিয়মিত এই খাবারটি রাখতে পারেন, তাহলে এর চাইতে ভালো আর কিছুই হবে না দিনটি শুরু করার জন্য।
আলু:–উচ্চ ক্যালরি যুক্ত সবজি আলুও কিন্তু আয়রনের অন্যতম উৎস। তাই প্রয়োজন বুঝে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যোগ করুন আলু।
ব্রকলি:–ব্রকলি খুব সুস্বাদু খাবার না হতেই পারে, কিন্তু যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন- তাদের জন্য এই সবজিটি মহৌষধের চাইতে কম নয়!
স্ট্রবেরি:–শুনতে অবাক লাগলেও স্ট্রবেরি যেমন রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, তেমনি রয়েছে প্রচুর আয়রন। স্ট্রবেরি নিয়মিত খেলে রক্তে আয়রন বাড়ার পাশাপাশি রক্তের মধ্যে প্রচুর আয়রন গ্রহণ করতে পারার মতো ক্ষমতাও তৈরি হয়। অর্থাৎ রক্তে আয়রন বেশি হলে উদ্ভূত সমস্যাগুলো থেকেও দূরে রাখবে স্ট্রবেরি।
মটর ডাল:–বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে বোঝাই একটি খাবার হলো ডাল- বিশেষ করে মটর ডাল। যারা শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে চান, তারা সম্পূরক খাদ্য হিসেবে নিয়মিত খানিকটা মটর ডাল খেতে পারেন অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি।
পালং শাক:–পালং শাকে রয়েছে অঢেল আয়রন ও ভিটামিন সি। অর্থাৎ এই সবজিটি নিয়মিত খেলেও রক্তে আয়রন বাড়ার পাশাপাশি রক্তের মধ্যে প্রচুর আয়রন গ্রহণ করতে পারার মতো ক্ষমতাও তৈরি হয়। অর্থাৎ রক্তে আয়রন বেশি হলে উদ্ভূত সমস্যাগুলো থেকে স্ট্রবেরির মতোই সেগুলো দূরে রাখবে পালং শাকও।
কালো টেরা ডাল:–কালো টেরা ডাল বা ‘ব্ল্যাক-আইড পি’ রক্তে আয়রন বাড়ানোর জন্য আরেকটি ভালো খাবার।
কুমড়োর বিচি:–মিষ্টি কুমড়োর বিচি শুকিয়ে ভেতরের বীজটি বের করে নাশতার সাথে খেলে সেটিও রক্তে আয়রন বাড়াবে দ্রুত।
আজকাল রক্তস্বল্পতা হলেই নানারকম ঔষধ এবং সম্পূরক খাদ্য বা কৃত্রিম ভিটামিন খাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে প্রকৃতির চাইতে বড় ঔষধ আর কিছুই নেই। সমস্যার সমাধান ঘরে বসেই করুন প্রাকৃতিক খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে, সুস্থ থাকুন বহুদিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন