মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আপনি পিরিয়ডের সময় এই ৮টি ভয়ংকর ভুল করছেন? তাহলে এখনি সাবধান হন!

মাসিক বা পিরিয়ড নিয়ে অনেকেরই নানা ছুঁত্‍‌মার্গ থাকলেও এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করাটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ও বিজ্ঞানসম্মত। লুকোছাপা করতে গিয়ে এই নিয়ে অজ্ঞতা দেখা দেয় মেয়েদের মধ্যে।

আর সেজন্যই প্রতি মাসে এই শারীরবৃত্তীয় ও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ঘটলেও, সেই সময়টায় না জেনেই বেশকিছু ভুল করে বসে নারীরা। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।
বেশিরভাগ মেয়েই পিরিয়ড চলাকালীন সাধারণত যে ভুলগুলি করে থাকেন, একবার সেগুলির দিকে নজর দেওয়া যাক…

১. পেন রিলিফ মেডিকেশন

পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক নিয়মে হওয়া ব্যথা বা ক্র্যাম্প নিরাময়ের জন্য মেয়েরা অনেকক্ষেত্রেই নানা ওষুধের সাহায্য নেন। পেন রিলিফের এই ওষুধ বা ইঞ্জেকশনে যে স্টেরয়েড থাকে, তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বেশ কয়েকটি ওষুধ সমস্যা কমানোর পরিবর্তে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। আর স্টেরয়েডবহীন অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ আপনার শরীরে আচমকা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের ওষুধ খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে কিডনি ও লিভারের উপরও।

২. দীর্ঘক্ষণ প্যাড না বদলানো

যত বেশি সময় ধরে আপনি একটি প্যাড ব্যবহার করবেন, তত বেশি তাতে ব্যাকটেরিয়া জমা হবে। অনেকেই কাজের চাপে বা অবহেলায় দীর্ঘক্ষণ একই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে থাকেন। এটা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর অন্তর প্যাড বদলানো উচিত।

৩. সুগন্ধীযুক্ত প্যাড ব্যবহার

কোনো উগ্র বা উত্‍‌কট গন্ধ কারোই পছন্দ না হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে তাই বলে সুগন্ধীযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করাটা ঠিক হবে না। এ ধরনের কেমিক্যাল ইনফেকশন ছড়াতে পারে, ব্যাকটিরিয়া তৈরি করতে পারে। সুগন্ধীযুক্ত প্যাডে এমন কিছু সিন্থেটিক কেমিক্যাল যুক্ত থাকতে পারে, যা হয়ে উঠতে পারে ক্যান্সারপ্রবণ।

৪. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব

ব্যথা, ক্র্যাম্পিং, হরমোলান ভারসাম্যহীনতা ও অস্বস্তির কারণে পিরিয়ড চলাকালীন ইনসমনিয়া দেখা দেয় মেয়েদের মধ্যে। ঘুম আসতে চায় না। তবে, এই বিশেষ সময়টায় পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব শরীরকে আরও অসুস্থ করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম হলে পিরিয়ড অনেক সহজ ও কম কষ্টকর হয়।

৫. শরীরচর্চায় বিরতি

অধিকাংশ মেয়েই পিরিয়ড শুরু হলে রোজকার শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন। এই সময়টায় শরীরচর্চা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বলেই বেশিরভাগ মানুষের ধারণা। তবে, বিশেষজ্ঞরা কিন্তু একেবারে উল্টো কথাই বলছেন। মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, মাসিক চলাকালীন সপ্তাহে পাঁচ দিন দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে ওয়ার্ক আউট করা উচিত। শরীরচর্চা করলে চাপমুক্ত হওয়া ও ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে যাওয়া ছাড়াও ব্যথা ও খিঁচ ধরার মতো সমস্যাগুলো কেটে যায়। তার ফলে ঘুমটাও ভালো হয়।

৬. বাদ দিন চা-কফি

পিরিয়ড চলাকালীন ক্লান্তি, ঘুমের অভাব, মাথাব্যথার মতো শারীরিক সমস্যাগুলি থাকায়, মাঝে মধ্যেই কফি খেতে মন চায়। তবে, মেয়েদের বলছি, এই সময়টায় কফি নৈব নৈব চ। কারণ ক্যাফেন শরীরকে ডিহাইড্রেট করে এই সময়টায় উল্টে শরীরের ক্ষতি করে দিতে পারে। বাড়িয়ে দিতে পারে মাথাব্যাথা। মাসিকের সময় চা-কফি যত বাদ দেবেন, ততই টেনশন, নিদ্রাহীনতা, উদ্বেগের মতো সমস্যাগুলি কম হবে।

৭. সুরক্ষিত SEX

পিরিয়ডের সময় যোনিতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কাজেই নিজের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সময়টায় সঙ্গমে লিপ্ত হলে পর্যাপ্ত সুরক্ষার দিকটা মনে না থাকলে, তা হতে পারে মারাত্মক।

৮. কাপড়ের ব্যবহার আর নয়

এখনও গ্রাম-গঞ্জ, শহরতলি এমনকী শহরেও অনেক মেয়ে মাসিকের সময় কাপড়ের ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই সবসময় কাপড়ের পরিবর্তে হাইজেনিক প্যাড ব্যবহার করুন।

সূত্র: এই সময়

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?

বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন

ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ

চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন

ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে

আমাদের রান্নাঘরে খাবার তৈরির অনেক পণ্য  থাকে। সেই সবে এমনবিস্তারিত পড়ুন

  • প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রসুন
  • আমলকি কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে
  • বাসি দই ও পান্তা ভাতের আশ্চর্যজনক উপকারিতা
  • স্বাদে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি হলো লাউ
  • মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার পারদ উঠল ৪৩ ডিগ্রিতে
  • যেসব অঞ্চলে টানা ৩ দিন ঝড়বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • গরমে চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?
  • একলাফে সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা
  • কত দিন পর পর টুথব্রাশ বদলাবেন?
  • ত্বকের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?