আমাদের দাম্পত্য জীবন ৩০ বছরের, আমার স্বামী যৌনতা এড়িয়ে চলে, কী করব?
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন এক নারী। তিনি জানান, তার স্বামী একেবারেই যৌনতা করেন না। সাম্প্রতিক সময়ে শেষ কবে তিনি যৌনতা করেছেন, তাও মনে নেই। এক্ষেত্রে সমস্যাটির সমাধান কী হতে পারে সে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
আমি ও আমার স্বামী উভয়েরই বয়স পঞ্চাশ দশকের মাঝামাঝি। আমাদের দাম্পত্য জীবন ৩০ বছরের। কিন্তু আমাদের জীবনে যৌনতা নেই। আমি মনে করতে পারিনা সর্বশেষ কবে যৌনতা করেছি। তবে ধারণা করছি এটি চার বছর আগে হয়েছিল। শেষের দিকে আমি বুঝতে পারছিলাম, তার বীর্যস্খলনে সমস্যা হচ্ছিল এবং প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আমি ঠিক জানিনা কেন, হতে পারে এর কারণ আমি। আমি বুঝতে পারছি আমাদের মাঝে অন্তরঙ্গতা কমে গিয়েছে। বাস্তবে আমাদের মাঝে কোনো অন্তরঙ্গতাই নেই। আমরা কখনোই একে অন্যকে স্পর্শ করি না, কখনো হাত ধরি না এমনকি কখনো আলিঙ্গনও করি না।
আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করেছি এ পরিস্থিতি ঠিক করার। কিন্তু এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছি যে, সে আমাকে চায় না। এতে সে বিব্রত বোধ করে। আর এতে আমাদের সব কথাবার্তাও যেন ঝগড়া-ঝাটিতে রূপ নেয়।
আমি এ সমস্যায় একাকি বোধ করছি। আমাদের সন্তান এখন বড় হয়েছে। তারা আমাদের ছেড়ে জীবিকার প্রয়োজনে অন্যত্র চলে যাবে। আর এতে আমার একাকীত্ব আরও বেড়ে যাবে বলে আমি ভয় পাচ্ছি। এ অবস্থায় আমাদের সমস্যার সমাধান কী হতে পারে?
— নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী
বিশেষজ্ঞের সমাধান
বহু দম্পতিরই যৌনতা নেই। তবে তাদের মাঝে অন্তরঙ্গতা ঠিকই থাকে। এতে বড় কোনো সমস্যা হয়না। ভালোভাবেই তারা জীবনযাপন করতে পারে। অনেকের আবার যৌনতা থাকলেও অন্তরঙ্গতা নেই। এক্ষেত্রে সুখী থাকার চাবিকাঠি হলো, বিষয়টিতে আপনারা সন্তুষ্ট কি না, সেই মনোভাব।
আপনাদের মাঝে যৌনতা নেই। এছাড়া কোনো অন্তরঙ্গতাও নেই। তবে মূলত অন্তরঙ্গতা না থাকাকেই আপনার কাছে বড় সমস্যা মনে হচ্ছে। তবে এটি কোনো আশ্চর্য বিষয় নয়। এক্ষেত্রে দাম্পত্য সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যাটি একটি বড় বিষয়। যোগাযোগের গুরুত্ব কোনো অবস্থাতেই কম নয়।
আপনার স্বামীর বীর্যপাতজনিত সমস্যা কোনো সহজ বিষয় নয়। এ সমস্যা সমাধান করার জন্য আপনি কী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন? এজন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে তিনি অন্য চিকিৎসকের কাছে পাঠাবেন সমস্যার গুরুত্ব বুঝে।
কোনো পুরুষ যখন বীর্যপাতজনিত সমস্যায় ভোগেন তখন মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এ কারণেই হয়ত তিনি মানসিকভাবে সমস্যায় আছেন। এ বিষয়টি নিয়ে আপনার তাকে আরও বিপর্যস্ত করা উচিত নয়।
আপনার উচিত হবে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গতা আবার বাড়ানোর চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে থেরাপির সহায়তা নিতে পারেন। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া তার সঙ্গে বসুন, কথা বলুন এবং তার সমস্যা জানার চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের সমস্যা বোঝা সহজ হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন