আমাদের সন্তানদের আমরাই নষ্ট করছি
ভদ্রলোকের বয়স পঁয়তাল্লিশের কম হবে না। পরণে লুঙ্গি ও ফুল শার্ট (এখন ওই ফুলশার্টগুলো কেবল পুরনো বাংলা সিনেমায় দেখা যায়)। তিনি নয় ফিট উঁচু একটি পাঁচিল বেয়ে উঠে, এক হাতে পাঁচিল ধরে আরেক হাতে লম্বা লাঠিতে এক টুকরো কাগজ বেধে লাঠিটা জানালার দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন। না, ওটা কোন বাংলা সিনেমার শুটিং ছিল না। একটা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরের দৃশ্য। যিনি দেয়াল বেয়ে হিরোর মতো উঠছেন, তিনি আসলে একজন বাবা। লাঠির মাথায় বেঁধে যাকে কাগজ দিচ্ছেন সে তার মেয়ে। হতভম্ব হয়ে যখন এ দৃশ্য দেখছি, ওই সময়ে ঠিক ওই রকম চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সের আরেকজন এসে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুটিকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করেন। বন্ধুটি আঙ্গুল দিয়ে আমাকে দেখিয়ে দেয়। এবার ভদ্রলোক আমার হাত ধরে প্রায় হিড় হিড় করে টান দেবার চেষ্টা করেন। নিজের রোগা পটকা শরীরটা কোনে মতে তাঁর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে জানতে চাই বিষয় কী? তিনি বলেন, “সময় নেই, শীঘ্র এসো বাবা।”
অবাক হয়ে যাই, আমার সময় আছে কি নেই, উনি জানলেন কিভাবে? বিনয়ের সঙ্গে বলি, “আপনি মনে হয় ভুল করছেন। আমি অমুক। আমি আপনাকে চিনি না।”
এবার তিনি খুলে বললেন, “বাবা তোমার নাম আমাকে একজন বলে দিল, তুমি অংকে খুব ভালো, শীঘ্র ওই পাসের ঘরে এসে এই অংকটি করে দিয়ে যাও। আমার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে, ওকে দিতে হবে।”
তাকে সেদিন বিনয়ে সঙ্গে বলেছিলাম, “দেখুন এই অনৈতিক কাজের সঙ্গে আমি নিজেকে জড়াতে পারব না।”
এর পরে সেখানে দাঁড়ানো আর সম্ভব ছিল না। একজন বয়স্ক ব্যক্তির মুখের ওপর ওভাভে না বলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বয়সে বেশ বেমানান। বাধ্য হয়ে ভিন্ন পথ ধরে বাজারের ময়রা বাড়িতে যাই। ময়রা কাকুর কাছ থেকে অনেক সন্দেশ ও সরমালাই নিয়ে একা একা বসে বসে খাই। ওই বয়সে মন খারাপ লাগলে মিষ্টি খেলে মন ভালো হয়ে যেতো। এখন বুঝি ব্রেনে সুগার বেশি গেলে মানুষ বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে পারে।
এরপরে ঠিক একই বিষয়ে দ্বিতীয় দৃশ্য চোখে ভাসে একটি মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে। শেখ শহীদ তখন শিক্ষামন্ত্রী। শেখ শহীদ এখন অনেকটা হারিয়ে যাওয়া মানুষ। তাই তাঁর শিক্ষা দীক্ষা সম্পর্কে অনেকে জানেন না। তিনি অনেক শিক্ষিত ও যোগ্য শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। রিপোর্টার হিসেবে তাঁর সঙ্গে একটি মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে যাই, সেখানে গিয়ে দেখি, পরীক্ষা কেন্দ্রের টয়লেট গুলো আরবী লেখা বইয়ের পাতায় ভর্তি। আমার এক ভাগনিকে দেখেছি আরবী অক্ষর লেখা কোন বইয়ের পাতা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখলে সে তুলে নিয়ে চুমু খেতো। আর সেখানে মাদ্রাসার ছাত্ররা অবলীলায় টয়লেটে ফেলে দিচ্ছে আরবী অক্ষরে লেখা বইয়ের পাতা। শেখ শহীদ শিক্ষা মন্ত্রী থাকাকালীন অনেক চেষ্টা করেছিলেন ওই নকল বন্ধ করার। কিন্তু কেন যেন তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরে যেতে হয়।
যাহোক, যে মেয়েকে তার বাবা বাংলা সিনেমার হিরোর মত নকল সাপ্লাই দিয়েছিলেন, তিনি এখন হয়তো কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা না হয় কোন বড় কর্মকর্তা। যে ছেলেকে অংক কষে পরীক্ষা হলে সাপ্লাই দেবার জন্যে আমাকে নিয়ে টানাটানি করা হয়েছিলো, তিনি হয়তো অন্য কোথাও আছেন। হয়তো অনেক বড় কেউকেটা একজন হবেন। ওই মাদ্রাসার ছাত্ররাও কোথাও না কোথাও দাপটের সঙ্গে আছেন। এমনকি তিনি হতে পারেন একজন বড় ধর্মীয় নেতা।
বাস্তবে কে কোথায় কোন পদে আছেন তা বড় নয়। তার থেকে বড় তারা এখন সকলে বাবা ও মা। তাদের সন্তানরা বা সন্তানদের সন্তানরা এখন পরীক্ষা দিচ্ছে। তবে তাদের সন্তানদের বাবাদেরকে আর ওদের বাবার মত দেয়াল বেয়ে উঠে বাংলা সিনেমার হিরোর মত নকল সাপ্লাই দিতে হচ্ছে না। এখন পরীক্ষার আগেই তারা ফেসবুকে বা ইমেলে প্রশ্নপত্র পেয়ে যাচ্ছে। ওই প্রশ্ন পত্র আগাম কেনার জন্যে অর্থের জোগান দিচ্ছে তাদের বাবা ও মায়েরা। এমনকি ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্র কেনার জন্যে বাবা ও মায়েরা রাত্রির ঘুম হারাম করে ছুটে বেড়ান।ওই বাবা মায়েদের একবারও মনে হয় না কত বড় অনৈতিক কাজটি তিনি করছেন। বরং ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্র পাওয়াকে তিনি বাবুরের দিল্লি জয়ের সমান বিজয় মনে করেন।
এই প্রশ্নপত্র ফাঁস এ মুহূর্তে শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম বিষফোঁড়া। সরকার প্রধান থেকে শিক্ষামন্ত্রী সবাই হিমশিম খাচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে, সব ধরনের গোয়েন্দাদের লাগিয়েও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বন্ধ করতে পারছে না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। কেউ কোন কিনারা করতে পারছেন না কিভাবে এই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বন্দ করবেন! উনিশ পিপে নস্য ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে কিন্তু পণ্ডিতরা কোন সুরাহা দিতে পারেননি। কিভাবে পায়ে ধুলো লাগা বন্ধ করবেন। কারণ, সবাই ধুলো নিয়ে ব্যস্ত। অথচ সমস্যাটা তো ধুলোর নয়, সমস্যা নিজের পায়ের।
বাস্তবে যে ছেলেমেয়েরা বাবার হাত থেকে নকল নিয়ে পাস করে এসেছে, যারা মাদ্রাসার টয়লেট নকলে ভর্তি করেছে তারা পরবর্তীতে যত বিদ্যাই অর্জন করুক না কেন, যত বিদেশি ডিগ্রি আনুক না কেন, আর যাই হোক নৈতিকতা নামক সুকুমার বৃত্তিটাকে তো আর তাদের জীবনাচারণের সঙ্গে বাধতে পারেননি। তাই একদিন যাদের বাবারা দেয়াল বেয়ে উঠে নকল দিয়েছিল এখন তারা প্রযুক্তির সহায়তায় গোটা প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করে দিচ্ছেন।
এ ক্ষেত্রে তিনি বা তারা যেখানেই থাকুন না কেন, শিক্ষক হোন, প্রশ্ন ছাপাখানার কর্মকর্তা হোন আর প্রশাসক হোন। তারা সকলেই অবলীলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই অনৈতিক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ রোজগারের সঙ্গে। অন্যদিকে যাদের তরফ থেকে সব থেকে বেশি প্রতিরোধ আসার কথা ছিলো, অর্থাৎ ছাত্র ছাত্রীদের পিতা মাতার দিক থেকে। যাদের দ্বায়িত্ব ছিলো সন্তানের ভবিষ্যত নৈতিক জীবন চিন্তা করে এ অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখা- তাদের দিক থেকে কোন প্রতিরোধ নেই। তারা এ কাজকে অনৈতিক মনে করছেন না। বরং এ কাজে সন্তানকে সাহায্য করাই বড় কাজ মনে করছেন। একবারও মনে করছেন না নিজের সন্তানকে তিনি স্বচ্ছ জীবনের বদলে নৈতিকতাহীন এক ভাগাড়ে নিক্ষেপ করছেন। কেন তারা এমন কাজটি করছেন?
বাস্তবে যাদের জীবনের সঙ্গে নৈতিকতা নামক সুকুমার বৃত্তিটির কোনোদিন একাত্ম হয়নি, তাদের কাছে এ তো কোন অন্যায় নয়। আর এমনিভাবে একটার পর একটা প্রজম্ম এই নষ্টদের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ভালোরা।
নৈতিকতা সমাজে এক ধরনের অক্ষমের অলংকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নৈতিকতাকে অক্ষমের ব্যাগে ভরে দিয়ে যে কোন উপায়ে সফল হওয়াকেই যোগ্যতা হিসেবে কেন এ সমাজে এমন দর্পভরে স্বীকৃতি পাচ্ছে? কেন সমাজে এরা প্রতিারোধের মুখে পড়ছে না? এর মূল কারণ, সমাজের একটি বড় অংশ নিজের জীবন থেকে নৈতিকতাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
লেখক
নৈতিকতা জীবন থেকে, সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিলে সব থেকে বেশি সুবিধা হয় লোভের। লোভ এখন অতি সহজে সমাজের বেশি মানুষের জীবনের বড় অংশটি গিলে বসে আছে। মানুষের কাম, ক্রোধ, লোভ এ ধরনের যে সব রিপু, যা মানুষকে দমন করে রাখতে হয়, এগুলো কিন্তু হাত দিয়ে চাপা দেয়া বা শক্তি দিয়ে দমন করার নয়। এগুলো দমন করতে হয় নৈতিকতা দিয়ে, জীবনবোধ দিয়ে।
জীবন থেকে নৈতিকতা চলে গেলে লোভ তখন জীবনে সহজে শুধু বাসা বাঁধে না জীবনের মূল চালক হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের জীবনে লোভ যখন বড় হয়, লোভ যখন চালক হয় জীবনের, তখন সুকুমার বৃত্তিগুলোর বিকাশের থেকে জাগতিক ও শারীরিক সুখগুলো বড় হয়ে দেখা দেয়। আমাদের সমাজে সেটাই ঘটেছে। এর ফলে সমাজ থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও বিদায় নিচ্ছে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পরিধি খুব ছোট হয়ে পড়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড মানুষকে শুধু আনন্দ দেয় না, মানুষকে পরিশীলিত করে, মানুষের বোধকে ধারালো করে।
একজন সংস্কৃত মানুষ কখনই তার নিজ সন্তানকে এমন অন্যায় পথে ঠেলে দেন না। যে কোন দেশের শুদ্ধ সংস্কৃতি মানুষকে উন্নত জীবনে প্রবেশের সহায়ক। সংস্কৃতিকে কোন গন্ডিতেও বাধা যায় না। রুশ কবিতা প্রানকে কম দোলা দেয় না বাংলা কবিতার থেকে। আজ আকাশ উম্ক্তু হয়েছে, প্রযু্িক্তর কারণে সব কিছু হাতের কাছে। কিন্তু আমরা কেন মানুষের সভ্যতার এই সুন্দরতম সংস্কৃতিকে গ্রহন করতে পারছি না? এও কিন্তু এ সমাজের অনেক বড় প্রশ্ন।
কেন শুধুমাত্র বোধহীন একধরনের আরোপিত বিনোদনে নিজেদের আটকে রেখেছে সমাজের বড় অংশ। কেউ হয়তো বলতে পারেন, সমাজের বড় অংশ সব সময়ই সস্তা বিনোদনে নিজেকে আটকে রাখে। বাস্তবে তা নয়, সমাজের যে অংশ নৈতিকতাহীন, তারাই এই সস্তা বিনোদনে নিজেদেরকে আটকে রাখে। কারণ, নৈতিকতাহীন জীবন বাস্তবে বোধহীন জীবন, এমনকি সে জীবন কোন মানুষের নয়, বড়জোর চতুর কোন শিয়ালের জীবন।
আর পিতামাতা যে সময়ে সস্তা বিনোদনে নিজেদেরকে আটকে রাখে, সে সময়ে কিভাবে তাদের সন্তানরা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে! মানুষের মনোজগত গড়ার মূল বিশ্ববিদ্যালয় তার পরিবার। ওই পরিবারে যদি লোভ বড় হয়, নীতি নৈতিকতার কোন স্থান না থাকে- তাহলে সেখানে কিভাবে একটি সন্তান উন্নত জীবন খুঁজে পাবে? সেখানে সন্তানের উন্নত জীবন বলতে ধরে নেয়া হয় যে কোন মূল্যে একটি ভালো সার্টিফিকেট বা জিপিএ-৫। জিপিএ-৫ পাচ্ছে অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে পাস করতে পারছে না– এ নিয়ে এ সমাজে বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা যে হারে থাকার কথা ছিল, ওই হারে নেই। কারণ, বাবামা চাচ্ছেন, যে কোনোভাবে পাস করুক, যে কোন ভাবে ভালো রেজাল্ট করুক।
এর ফলে দুটো অবক্ষয় সমাজে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একশ্রেণি যে কোন অসাধু উপায়ে হোক তার সন্তানদের শিক্ষায় সাফল্য চাচ্ছে। আরেক শ্রেণি তাদের সন্তানদের সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কোচিং নামক একধরনের চাকায় বেধে দিচ্ছে। তারা শিক্ষকদের কাছ থেকে শুধু প্রশ্ন মুখস্থ করছে। ওই সব ছাত্রছাত্রী যে শিক্ষকদের কাছে পড়ছে তাদের সঙ্গে আলাপ করলে বোঝা যায়, তারা ওই ক্লাসের ছাত্রের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্লাস বুক ছাড়া অন্য কোন পড়া জীবনে পড়েননি। যেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে (ট্রাম্পকে পড়তে হয় কি না, জানি না) সপ্তাহে একটি বই পড়তে হয় সেখানে আমাদের দেশের ওই সব শিক্ষক বছরের পর বছর কেটে গেলেও একখানা বই পড়ার সময় পান না। তারা কোচিং করিয়ে করিয়ে ক্লান্ত একটি মেশিন মাত্র। এমনকি তারা ক্লাসেও ছাত্রদের দুটো ভিন্ন কথা বলার সময় পান না।
জীবনানন্দের কবিতার লাইনের ব্যাখা তারা ক্লাসে ছাত্রদের মুখস্থ করার জন্যে নোট হিসেবে দেন। কিন্তু লেকচারের মাধ্যমে ক্লাসে জীবনানন্দের কবিতার শব্দের ভিতর ফুটে থাকা ভাট ফুলের গন্ধ তুলতে পারেন না। এমনকি ওই কবিতার বেহুলার পায়ের ভাটফুল ক্ষনিকের জন্যে হলেও তাদের জীবনে সুর তোলে না। এই সুরহীন, গন্ধহীন মানুষগুলো কিভাবে শিশু মনে, কিশোর মনে সুর জাগাবে, বড় হওয়ার, মানুষের মতো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন জাগাবে? অন্যদিকে আমরা পিতামাতারাও বছর চলে গেলে নতুন ফ্ল্যাট কিনছি, গাড়ির মডেল বদল করছি, কিন্তু সন্তানের জীবন বদলে দেওয়ার মতো সুর ও ছন্দ দিতে পারছি কি?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন