আমার মৃতদেহ পেলে জানবেন খুন হয়েছি, ‘আত্মহত্যা’ নয়
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফান চৌধুরী এবং মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজুমদারের রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে দাবি করে ফেসবুকে লিখেছেন ব্লগার ও লেখক আরিফ জেবতিক।
ফেসবুকে তিনি লিখেন,
“দিয়াজ কিংবা শাহরিয়ার-সময়ের এই সাহসী সন্তানরা পৃথিবীর খুবই উদ্ভট ও ইউনিক পদ্ধতিতে ‘আত্মহত্যা’ করেছে! গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁদের পা মাটিতে বেশ ভালো ভাবেই লেগে ছিল! জনমানুষ প্রিয় এই দুই তরুণই আত্মহত্যার আগে বিন্দুমাত্র কোনো লক্ষন দেখায়নি, এমনকি কোনো সুইসাইডাল নোট, কোনো প্রিয় মানুষকে উদ্দেশ্য করে দুটো শব্দ বলে যায় নি।
এই অদ্ভুত, বাস্তবতা বিবর্জিত মৃত্যুগুলোকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে! এই দেশে খুন এখন সবচাইতে সস্তা, পুলিশের বউ খুন হলে ঐ পুলিশেরই বা চাকুরি যায় কেন-এই রহস্যের কোনো জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না রাষ্ট্র।
বাকিরা সাবধান থাকুন।
আমি ঘোষনা দিয়ে যেতে চাই, কখনো আমার মৃতদেহ এভাবে পাওয়া গেলে জানবেন যে খুন হয়েছি। পা মাটিতে ঠেকিয়ে, কাউকে কিছু না বলে ‘আত্মহত্যা’ করছি না আমি।”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রবিবার (২০ নভেম্বর) রাতে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আজ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দিয়াজের পরিবার।
আর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজুমদারের মরদেহ গতবছরের ৩ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় চার ফুট উচ্চতার জানালার গ্রিলে গলায় একটি বেল্ট বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে একে আত্মহত্যা বলা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন