আমি হতে পারি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সফল সাধারণ সম্পাদক!
আওয়ামী লীগের অসন্ন সম্মেলন নিয়ে বন্ধু মহলে কথাবার্তা শুরু হলে শুভার্থীরা পরামর্শ দেন বসে না থেকে একটু তদবির থোতবির করো। দেখো কোনমতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারো কিনা। শুবার্থীদের কথা শুনে আমি মুচকী হাসি এবং মনে মনে ভাবি-
আমার গুণাবলী এবং যোগ্যতার দু’টো রূপ আছে। যদি বাহ্যিক রূপকে বিবেচনা করি তবে আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ দলের কেন্দ্রিয় কমিটিতে ঢোকা আমার জন্য হিমালয় জয়ের মতই কঠিন। আগামী কয়েকদিনে আমি যদি সর্বাত্মাক চেষ্টা চালাই – সবার দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে পদ-পদবীর প্রার্থনা পেশ করি এবং সাধ্যমতো খরচা পাতি করি তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন সদস্য হিসেবে আমার অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। অর্থাৎ হতেও পারে- আবার নাও হতে পারে।
উপরোক্ত কাজ করতে গিয়ে আমার যে পিপাসা সৃষ্টি হবে তা নিবারণের জন্য দৈনিক এগার বালতি পানি খেতে হবে। শরীরে যে ক্লান্তি দেখা দেবে তা থেকে বাঁচার জন্য কয়েক বছর ঘুমাতে হবে এবং যা খরচ হবে তা সামাল দেবার জন্য নিজেকে দেউলিয়া ঘোষনা করতে হবে।
কিন্তু আমি যদি আমার অর্ন্তনিহিত যোগ্যতা এবং গুণাবলীর কথা বিবেচনা করি তবে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বিস্ময়কর এবং সফল সাধারণ সম্পাদক হবার পথে কোন বাধাই নজরে আসেনা।
আমার শিক্ষা-দিক্ষা, সাহস, মেধা ও মননশীলতা, সাংগঠনিক ক্ষমতা, জনসম্পৃক্ততা, জনপ্রিয়তা, পরিচিতি, ধর্মবোধ, সততা, নিষ্ঠা,একাগ্রতা, ধীশক্তি, লেখা ও বলার দক্ষতা, নেতৃত্ব গুণ, আনুগত্য এবং পরিশ্রম করার ক্ষমতার সঙ্গে কেউ যদি প্রতিযেগী হতেন এবং আমি যদি সেক্ষেত্রে জয়ী হতাম কিংবা পরাজিত হতাম তাহলে না হয় চেষ্টা তদ্বির করা যেতো। কিন্তু সেই সুযোগ তো বাংলাদেশে নেই।
বাংলাদেশের রাজনীতির পদ-পদবী এবং টিকে থাকা সম্পূর্ণটাই ভাগ্য, পরিস্তিতি এবং ভাগ্যবান মানুষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। আমার জীবনের উল্লেখযোগ্য সকল প্রাপ্তির সঙ্গেই ভাগ্য জড়িত।
আমার জন্ম, বিয়ে,সন্তান লাভ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, এম.পি হওয়া সবই ভাগ্য। আবার তিনশত এম.পির মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিতি পাওয়া, সারাদেশের গণমানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ এবং বর্তমানের বিরূপ সময়ে স্বসম্মানে, মান-মর্যাদা সহকারে এবং পূর্বের চেয়েও প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে টিকে থাকা নিজের নিকটই অলৌকিক বলে মনে হয়।
যে আল্লাহ আামার জন্য এতো কিছু করেছেন-এতো জিনিস দিয়েছেন সেই আল্লাহর নিকট যদি কোন কিছু চাইতে হয় তবে ছোট জিনিস চাওয়া উচিত নয়। তাছাড়া ইসলামের বিধান হলো- আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলে সব সময় উত্তম জিনিসটির জন্য প্রার্থনা করা উচিত।
আমার চেষ্টা-কর্ম এবং বর্তমান পরিস্তিতি বিবেচনায় আমার প্রপ্তিযোগ বলতে গেলে শূণ্য। কিন্তু আমার ভেতরে আল্লাহ প্রদত্ত অর্ন্তনিহিত গুণাবলী এবং বান্দাকে দান করার বিষয় আল্লাহর প্রবল ক্ষমতা এবং বিশালত্বের বিচারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটি খুবই ছোট…।
হে আল্লাহ ! তুমি আমায় ক্ষমা কর এবং তোমার প্রতি নির্ভর করে সকল অস্থিরতা এবং অযথা পরিশ্রম পরিহার করে মনের সুখে স্বপ্নবাসর সাজিয়ে আনন্দ ভূবনে বসবাস করার শক্তি দান করো।আমীন ! ছুম্মা আমীন!
(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন