বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ইসলামে সমবায়ের গুরুত্ব

‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ আবার ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ এ রকম হাজারো প্রবাদ বাক্য, কবিতা রচিত হয়েছে সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। তাইতো দুঃখ, কষ্ট, দারিদ্র্য ও অশান্তির দাবানল থেকে মানবতার মুক্তির জন্য একাধিক লোক একত্রিত হয়ে যে সাম্যের প্রতিষ্ঠা করতে চায় তার নাম হচ্ছ সমবায়। ইসলামে সমবায়ের গুরুত্ব অত্যধিক। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-

সমবায়ের প্রয়োজনীয়তা
সাধারণত আমরা সমবায় বলতে বুঝি- বাস্তবজীবনে মানুষের সামগ্রিক প্রয়োজন তথা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে একটি অবস্থানে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যার মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য অর্জনের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, সেবার মানসিকতা গঠন, সামাজিক বন্ধন সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি কাজের জবাবদিহির মানসিকতা তৈরি করা। সমঅধিকার ও দায়িত্বের ভিত্তিতে পারস্পরিক কল্যাণের পক্ষে স্বেচ্ছায় কাজ করা। সর্বোপরি সমবায়েল লক্ষ্য হওয়া উচিত- ‘সমাজে পারস্পরিক সামতা বিধানে অংশগ্রহণ করা এবং সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।’ যখন এ কাজগুলো যথাযথভাবে করা যাবে তখনই এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সমবায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন’ সার্থক ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

ইসলামে সমবায়ের মৌলিক দৃষ্টান্ত ও সফলতা
ইসলামি সমবায় : সমবায়ের মাধ্যমে একে-অপরকে সহযোগিতা করে সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ইসলাম সমর্থিত একটি চমৎকার উদ্যোগ। কুরআনে আল্লাহ তাআলঅ বলেন, ‘সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে-অন্যকে সাহায্য করবে না। আল্লাহকে ভয় করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর।’

শুধুমাত্র আত্মপ্রতিষ্ঠা নয় বরং ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই সমবায় সমিতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ইসলামের দৃষ্টিতে সমবায়ের উদ্দেশ্য হবে বৃহত্তর মানব কল্যাণ ও সম্পদের সুষম বণ্টন প্রতিষ্ঠা।

সমিতি গঠন : একটি আদর্শ সমবায়ের দৃষ্টান্ত হচ্ছে হিলফুল ফুজুল। যা বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বেই ‘‘হিলফুল ফুজুল’’ নামক সমবায় গঠনের মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ, অশান্তি দূরীকরণ, মানুষের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ, গোত্রীয় সম্প্রীতি ও সদ্ভাব রক্ষার প্রচেষ্টা করেছিলেন।

একতা : ইনসাফ ভিত্তিক স্বনির্ভর সমাজ গড়তে একতার গুরুত্ব অত্যধিক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১০৩) যেহেতু আদর্শ সমাজগঠনে পারস্পরিক ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই কুরআনুল কারীমের উপরোক্ত আয়াতে ঐক্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরআন অথবা দ্বীনকে রজ্জু বলার কারণ এই যে, এটা একদিকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে দুনিয়ায় মানুষের সম্পর্ক কায়েম করে এবং অন্যদিকে বিশ্বাস স্থাপনকারীদের পরস্পর ঐক্যবদ্ধ করে একদলে পরিণত করে।’

সহযোগিতা : এক মুসলমানের বিপদাপদে যখন কোন মুসলিম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তখন তার জন্য নির্ধারিত হয় বিরল মর্যাদা। হাদীসে এসেছে- ‘মুসলিমগণ পরস্পরের ভাই। সুতরাং সে তার ওপর কোন প্রকার যুলুমও করতে পারে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায়ও ফেলতে পারে না। আর যে তার মুসলমান ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে আল্লাহ্ তার অভাব পূরণ করবেন। অনুরূপভাবে যে কোন মুসলমানের দুঃখ দূর করে দিবে। আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ত্রুটি গোপন করে রাখবে, আল্লাহ্ হাশরের দিন তার ত্রুটিও গোপন করে রাখবেন।’ (বুখারি, মুসলিম) হাদিসে আরও এসেছে- ‘‘তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য কর, সে জালিম হোক আর মাজলুম হোক এখানে জালিমকে তার জুলুম থেকে বিরত রাখাই তাকে সাহায্য করা।’

কুরআন ও হাদিসের আলোকে সমাজে সঠিক ও ন্যয়পন্থী সমবায় প্রতিষ্ঠা করে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি অন্যায়, জুলুম ও সংকট উত্তরণে সমবায়ীরা রাখতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ মন্দ কাজ হতে দেখলে সে তা শক্তি দ্বারা পরিবর্তন করবে। যদি সে এর শক্তি না রাখে তবে মুখ দ্বারা, আর যদি এর শক্তিও না রাখে তবে অন্তর দ্বারা চিন্তা করবে। আর এটাই হল ঈমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মিশকাত)

পরিশেষে…
বর্তমান সমাজে প্রচলিত সমবায় সমিতিগুলো সুদ, ঘুষ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন রকম পাপ-পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত। আবার অনেক সমবায় রয়েছে যাদের আদর্শিক কমিটমেন্ট নেই, শুধুমাত্র মুনাফা অর্জন এবং আত্মপ্রতিষ্ঠাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এর বিপরীতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে সমবায় গড়ে উঠলে তা আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
সুতরাং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উচিত, সমাজে নিজ নিজ দায়িত্ববোধের মাধ্যমে ইনসাফপূর্ণ সমবায় গঠন করা ঈমানের অপরিহার্য দাবি। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে ইসলামী সমবায় গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি

পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন

সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু

সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন

ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
  • দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোরবানি
  • হাজিদের গরম থেকে বাঁচাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করলো সৌদি
  • জমজমাট শপিংমল-মার্কেট
  • ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান
  • উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে নির্ঝঞ্জাট
  • শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাকা হচ্ছে ঢাকা
  • জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ
  • ঈদযাত্রায় এবার ১২ জায়গায় ভোগান্তির শঙ্কা
  • সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৮২ হাজারের বেশি হজযাত্রী