এই গরমে সর্দিতে যা করণীয়
সর্দি শুধু বিরক্তিকরই নয়, অস্বস্তিকরও বটে! ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে। তার সঙ্গে হাঁচি তো আছেই। সর্দির কারণে ঘুমও হচ্ছে না ঠিকমতো৷ মাথাটাও কেমন যেন ঝিম ধরে আছে৷ নিঃস্বাস নিতে হচ্ছে শুধমাত্র মুখ দিয়ে৷এই অবস্থায় আপনার কী করণীয় জেনে নিন৷
-সর্দি মানেই ‘ইনফেকশন’ বা সংক্রমণ৷ অতিরিক্ত সর্দির ফলে নাকের ভেতরের ত্বক ফুলে যায়৷ এমনকি ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণে ভেতরের ত্বক কিছুটা শুকিয়েও যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে নাকে স্প্রে ব্যবহার করলে সাথে সাথেই ফোলা কমে যায়৷ তবে স্প্রে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷
-নাকের স্প্রের চেয়ে আরো হালকা ওষুধ হচ্ছে সমুদ্রের নোনা জলের সাথে খনিজ ও কার্বোনিক অ্যাসিড সম্বলিত ড্রপ৷ এই ড্রপ দেওয়ার পর নাক অতটা শুষ্ক মনে হয় না এবং নাকের ভেতরের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে৷ আর ধীরে ধীরে নাকটা অনেকটা হালকা বোধ হয়৷
-সর্দি হলে অনেকে সর্দি থেকে মুক্তি পেতে ইনহেলারের সাহায্য নিয়ে থাকেন৷ তবে এতে তেমন কোনো লাভ হয় না।
-সর্দি বা নাকের যে কোনো অপারেশনের পর নাকে পানি দিয়ে সেচ করা হয়৷ অর্থাৎ একটি বিশেষ পাত্রের মাধ্যমে নাকটি একদিক থেকে আরেকদিকে অনেকক্ষণ ধরে ধোওয়া হয়৷ এতে করে ইনফেকশন ছড়াতে পারে না এবং নাকে পানি ঢালার ফলে আরাম বোধ হয়৷
-ঠান্ডা লাগলে গরম খাবার, স্যুপ বা কুসুম গরম পানীয় পান করলে খানিকটা যে আরাম বোধ হয়, তা সকলেই স্বীকার করবেন৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, আপেল ও কারান্টের (কিশমিশের মতো একটা ফল) গরম জুস বা রস পান নাকি সর্দি-কাশি এবং গলাব্যথা কমাতে সাহায্য করে৷
-সর্দি থাকা অবস্থায় অনেকেরই চিত হয়ে ঘুমালে নিঃস্বাস নিতে কষ্ট বা অসুবিধা হয়৷ এ সমস্যার সহজ সমাধান হলো, মাথাটাকে একটু উঁচু করে, অর্থাৎ সম্ভব হলে দু’টো বালিশ ব্যবহার করে শু’লে অনেকটা আরাম বোধ হবে৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন