সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এই রোজা কখনই ছাড়েননি বিশ্বনবী

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উত্তম চরিত্র ও আচার-ব্যবহারকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু মুশকিল হলো, আমরা নামাজ-রোজার ন্যায় উত্তম চরিত্র ও আচার-ব্যবহারকেও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল হিসেবে তেমন গুরুত্ব দিই না।

নবী (সাঃ) আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন তা আমাদের জীবনের পথ সুগম করে ।

এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। [আন নিসা: ১৩] যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।. [আল আহযাব:২১] উপরের আয়াতে রাসূল(সা.)-কে মডেল মনে করাটাকে ঈমানের শর্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে! আর যে সব ব্যাপারে তিনি মডেল হবেন, স্বাভাবিকভাবে তার ভিতর ইবাদতই আসবে সর্বাগ্রে।

সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ (فرض ফ়ার্দ্ব্‌) বা অবশ্য পালনীয়

প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যবর্তী সময় তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখা সুন্নাত। এ রোজাকে আইয়ামে বিজের রোজাও বলা হয়।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘সফর অথবা মুকিম’ সর্বাবস্থায় তিনি (আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫) এ তিনদিন রোজা পালন করতেন। কখনো আইয়ামে বিজের রোজা ভাঙ্গতেন না। (নাসাঈ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রোজা পালনে সাহাবাদের নির্দেশ দিতেন; তবে প্রিয়নবির এ নির্দেশে রোজা পালনে বাধ্যবাধকতা না থাকালেও তা ছিল মর্যাদাপূর্ণ নফল তথা অতিরিক্ত আমল।

হজরত মালেক বিন কুদামা বিন মালহান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন।

আইয়ামে বিজের রোজা পালনের কারণে মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি সাধিত হয়। এমনিতেই রোজা মানুষকে দুনিয়ার যাবতীয় পাপাচার থেকে মুক্ত রাখে।

সুতরাং কোনো মানুষ যদি প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের আইয়ামে বিজের রোজা পালন করে; স্বাভাবিকভাবেই তারা নিষ্কলুষ ও পাপমুক্ত জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠবে। চারিত্রিক উন্নতি লাভ করবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের নির্দেশ ও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ নিয়মতি আমল ‘আইয়ামে বিজ’-এর রোজা পালনের তাওফিক দান করুন।

নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি সাধনে আইয়ামে বিজ-এর রোজা পালনে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি

পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন

সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু

সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন

ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
  • দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোরবানি
  • হাজিদের গরম থেকে বাঁচাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করলো সৌদি
  • জমজমাট শপিংমল-মার্কেট
  • ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান
  • উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে নির্ঝঞ্জাট
  • শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাকা হচ্ছে ঢাকা
  • জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ
  • ঈদযাত্রায় এবার ১২ জায়গায় ভোগান্তির শঙ্কা
  • সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৮২ হাজারের বেশি হজযাত্রী