শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এখনো সাদ্দামের বেঁচে থাকা কী করে সম্ভব!

এটা কী করে সম্ভব যে, ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন এখনো বেঁচে আছেন! সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০০৬ সালে। এরপরও অ্যাপল কেন এ ভুল করছে তা অনেকেরই বোধগম্য নয়।

শারাকাত হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ভেবে ভুল করেছে অ্যাপল। শুধু তাই নয়, এ ভুলে তার কেনা আইফোনের টাকাও ফেরত দিতে অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টাকা ফেরত পেতে হলে তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন না।

এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের বার্মিংহামে। অথচ ২০০৬ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।

ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি সান থেকে জানা গেছে, শারাকাত নামের এই ব্যক্তি তার বোনকে উপহার দেওয়ার জন্য অ্যাপলের শোরুম থেকে একটি আইফোন কিনেছিলেন। কিন্তু তার বোন আইফোনটি নিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ফোনটি অ্যাপলকে ফেরত দিয়ে টাকা ফেরতে চেয়েছেন। তিনি ফোন নিয়ে অ্যাপলের শোরুমে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি রেখে বাকি টাকা ফেরত নিতে চান। তাকে জানানো হয়, এটা যেহেতু দামি ফোন তাই ফেরত হিসেবে তাকে ক্যাশ টাকা দেওয়া হবে না। তার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে শারাকাতকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন শোরুমের লোকজন।

সাদ্দাম হোসেনটাকার জন্য অ্যাপলের শোরুমে যোগাযোগ করেও তা ফেরত পাননি শারাকাত হোসেন।

এদিকে তিনি টাকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলেও টাকা অ্যাকাউন্টে যোগ না হলে শারাকাত চিন্তায় পড়ে যান। অবশেষে আবার তিনি অ্যাপলের শোরুমে যোগাযোগ করেন। তখন এক কর্মকর্তা তাকে জানান, চিন্তার কোনো কারণ নেই তিনি তার টাকা পেয়ে যাবেন। এবং একথা বলে আবার তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

এর কিছুদিন পর তার ইমেইলে একটি মেইল আসে। মেইলে বলা হয়, অ্যাপল মনে করছে, তিনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। আর সাদ্দাম হোসেনের নামও ব্রিটেন সরকারের নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা আছে। অর্থ্যাৎ এই তালিকায় নাম থাকলে তার কাছে কোনো মালামাল বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়। এবং এই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের সাথে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না।

আর তাই তাকে টাকাও ফেরত দেওয়া হবে না। আর তিনি যদি টাকা ফেরত নিতেই চান তাহলে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন না।

এ অবস্থায় ‍খুব চিন্তার মধ্যে পড়ে যান শারাকাত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো টাকা ফেরত পাননি তিনি।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি হয় ২০০৬ সালে। আর তার নামের সাথে শাহাকাত হোসেনের নামের বানানেরও পার্থক্য রয়েছে। এরপরও অ্যাপল কেনো এই ভুল করলো সে বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাচ্ছে না। আর এদিকে কয়েক সপ্তাহ পার হলেও অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করেনি।

শারাকাত হোসেন ডেইলি সানকে বলেন, ‘প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ইমেইলটি একটি স্পাম। পরে দেখি সেটি স্পাম না; অরিজিনাল মেইল। কিন্তু অ্যাপল কেনো আমাকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সাথে গুলিয়ে ফেলছে তা আমার মাথায় ঢুকছে না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ