শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

এ এক অন্যরকম সাহসী মেয়ে

এ এক অন্যরকম সাহসী মেয়ে। তার অসম সাহস ও বুদ্ধিমত্তায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সে। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরের। এখানের সিঙ্গি পঞ্চায়েতের বড়ডিহা গ্রামেরই কিশোরী মেয়ে আলোকলতা। মাস তিনেক ধরেই তাকে চোখে চোখে রাখা হচ্ছিল। বাবা-মা ছাড়া একা স্কুলে আসতে দেওয়া হতো না। কড়া নজর রাখছিলেন পরিজনেরাও। শেষ পর্যন্ত বাবার আস্থা অর্জন করে স্কুলে যাওয়ার নামে বেরিয়ে সে সটান হাজির থানায়। হাতে তার নিজেরই বিয়ের কার্ড! আর এভাবেই জোর করে তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া নিজের বিয়ে রুখে দিয়েছে আলোকলতা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সোমবার দুপুরে থানায় বিয়ের কার্ড হাতে এমন দুঃসাহসী মেয়েকে দেখে প্রথমে হতচকিতই হয়ে যান থানার পুলিশকর্মীরা। বিয়ের আতঙ্কে আর বাড়িতেই ফিরতে চায়নি আলোকলতা। বরং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই তার ইচ্ছা। শেষমেশ খবর যায় চাইল্ড লাইনে। থানায় গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইন। ওই কিশোরীকে একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে হোমের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে আলোকলতা।

খবরে বলা হয়, বড়ডিহার বাসিন্দা পেশায় কৃষক খোকন মাজির মেয়ে অলোকলতা স্থানীয় সিঙ্গি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহ পরেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হতো তাকে। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া ভাইয়ের সঙ্গেই সমানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল আলোকলতা। সে কথা বাড়িতেও জানিয়েছিল। এই বয়সে বিয়ে না দেওয়ার অনুরোধও করেছিল। কিন্তু পরিবার সে কথা কানে তোলেনি। মেয়ে বিয়ে রুখে দিতে পারে, এই আশঙ্কায় আলোকলতাকে গত তিন মাস ধরে নজরবন্দি করে রেখেছিল পরিবার।

আলোকলতা বলেন, ‘বিয়ের কার্ডটা জোগাড় করে রেখে পালানোর সুযোগ খুঁজছিলাম। সেই সুযোগ পেয়ে সাইকেল চালিয়ে প্রথমে বাসস্টপে আসি। সেখান থেকে বোলপুর যাওয়ার বাসে চাপি। বাস থেকে নেমে লোকেদের জিজ্ঞাসা করে থানায় যাই।’

আলোকলতার বাবার বক্তব্য, সুপাত্র পেয়ে মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিলেন। ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায় না, এমন কোনও আইনের কথা জানতেন না বলেই তিনি দাবি করেন। তাদের ওই ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, জানতেন না বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষও। যদিও মেয়েটি বিয়ের কারণে স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও স্কুল তার কোনও খোঁজ রাখেনি।

পুলিশ-প্রশাসনের সকলেই আলোকলতার সাহসিকতার প্রশংসা করছেন। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান নিত্যানন্দ রায় মঙ্গলবার বলেন, ‘এ মেয়ে নামেও আলো, কাজেও আলো। সে সাহসী হওয়ায় তার প্রতি এত বড় অবিচার এবং অন্যায় রুখতে পেরেছে। কিন্তু এখনও আতঙ্কে রয়েছে। তাই সে বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চায়না।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী