বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন
কতটা বিপদে বাংলাদেশ
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সফল বাস্তবায়নে জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুত সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ হুমকি মোকাবেলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব সুসংহত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। সম্প্রতি মরক্কোর মারাক্কেশে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ২২তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। মারাক্কেশে জাতিসংঘ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১১৫টি দেশের ৮০ জন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান এবং মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। জলবায়ুজনিক বাস্তুচ্যুত সমস্যা যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে না পারলে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা কখনো অর্জন করা সম্ভব হবে না।
সম্মেলনে জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্লাইমেট অ্যাকশন নেট ওয়ার্কের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান সঞ্জয় ভাসিস্ত পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এই অঞ্চলে চার ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে। ১. কিছু মানুষ নিজের বসতবাড়ি থেকে সরে একই এলাকার অন্যত্র চলে যাচ্ছে, ২. উপকূল বা গ্রাম থেকে সরে গিয়ে শহরে হাজির হচ্ছে, ৩. কিছু লোক সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাড়ি জমাচ্ছে, ৪. কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোতে অভিবাসী ও প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে চলে যাচ্ছে।
বিশ্বের এই মহাসংকটময় সময়ে মারাক্কেশ সমম্মেলনের বিরাট তাৎপর্য রয়েছে। কারণ বিশ্বের অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিশ্চয়তা নির্ভর করছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার কৌশলে ওপর। এটি কোনো দেশ বা জাতির একক সমস্যা নয়; গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার সমস্যা। গত বছর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় অর্থবহ সহযোগিতা গড়ে তুলতে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তি চলতি বছর বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। গত বছরের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের এখনই উপযুক্ত সময়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি অর্থবহ সহযোগিতায় সুদৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলেছে। প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রথম সারির দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অঙ্গীকার পূরণ করতে ব্যর্থ হলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১৯টি দেশ যদি তাদের কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার পূরণ না করে, তা হলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে বিশ্বে যে পরিমাণে দুর্যোগ বাড়বে, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে, তাতে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের প্রায় আট কোটি উপকূলবাসীকে বসতভিটা হারাতে হতে পারে।
আগামী প্রজন্মের জন্য এ পৃথিবীকে নিরাপদ ও সুন্দর করতে আমাদের অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব তহবিল থেকে সর্বপ্রথম ৪০ কোটি ডলারের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো জলবায়ু সম্পৃক্ত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আশাতীত সফলতা অর্জন করেছে। দুর্যোগকালে পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, নদী খনন এবং উপকূলীয় এলাকায় বনায়নের মতো পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি অনেক হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলের ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে জমির উর্বরতা কমে গেছে। ফসল ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ তার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। কিন্তু পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে মোড় নিলে বাংলাদেশের পক্ষে একা এই পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হবে না। এজন্য কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পোন্নত দেশগুলোকে সহায়তা করতে হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ধনী রাষ্ট্রগুলোকে দ্রুত সবুজ জলবায়ু তহবিলে এক হাজার কোটি ডলার তহবিল সরবরাহ করতে হবে, যাতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর কাজ করতে পারে। সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে সবুজ তহবিল হতে দ্রুত ও সহজে অর্থ প্রাপ্তির ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে সহজ শর্তে সরাসরি অর্থায়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধিসহ ভয়াবহ দুর্যোগের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি, প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। গাছপালা মারা যাচ্ছে। সুপেয় পানির অভাবে মানুষ ও গৃহপালিত পশুপাখি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নদী ভাঙনের কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের চিরপরিচিত বাপ-দাদার বাস্তুভিটা ত্যাগ করে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নের ব্যাপারে অনেক বেশি আশবাদী।
বাংলাদেশ গত ২১ সেপ্টেম্বর প্যারিস চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রতিকারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্ব নেতারা মতৈক্যে পৌঁছান। একই সঙ্গে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণের পরিবর্তে অনুদান আকারে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ চায় এই শতাব্দীর মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ুক। প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর মধ্যে এই চুক্তি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার আইনি দিকনির্দেশনা, কার্বন নিঃসরণ কমানোর স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অঙ্গীকারনামার বিধিমালা দ্রুত তৈরি হোক, এটা বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে। সব দেশ যদি ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, তা হলে প্যারিস চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। জলবায়ু সমঝোতার আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ভুক্তভোগী দেশের কাছে অর্থায়নই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য অর্থায়নকে গুরুত্ব দেয়; কিন্তু এখন পর্যন্ত জলবায়ু খাতে দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের ব্যাপারে আলোচনায় তেমন আগ্রহ দৃশ্যমান হচ্ছে না। শিল্পোন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার এই খাতে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, এই অর্থায়ন আমাদের আশা অনুযায়ী এবং সময় মতো হবে না। বাংলাদেশ এই তহবিল থেকে সরাসরি অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্যারিস চুক্তির শর্তানুযায়ী ঝুঁকি স্থানান্তর ও জলবায়ু বাস্তুচ্যুতদের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা ছিল। এখনো তার বাস্তবায়ন হয়নি। দ্রুত এ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। জলবায়ু সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদানকালে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবশ্যই নিরাপদ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পানি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠন করতে হবে। এই তহবিলের অর্থ পানি বিষয়ে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজে ব্যবহার করা হবে। ২০৩০ সাল মেয়াদি এসডিজিতে যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে ষষ্ঠ নম্বরটি হলো পানি ও স্যানিটেশন। এসডিজি-৬ এ সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানির সহজলভ্যতা এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। নিরাপদ পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, পানির অপ্রতুল ও কার্যকরী ব্যবহার এবং পানির উৎসসমূহের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, জলজ বাস্তুসংস্থানের সুব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাতে কমিউনিটি ভিত্তিক অংশগ্রহণ ও সমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
জার্মানভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জার্মানি ওয়াচের ‘ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স-২০১৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বেশিরভাগই দরিদ্র। বাংলাদেশ ওই তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিগত ১৯ বছরে বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। আর মোট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩১২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এদিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। ইন্টারন্যাশনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ছয় বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতি তিন থেকে পাঁচ বছর পর বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যায় ডুবে যাবে। এতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি বাড়লে বন্যায় প্লাবিত এলাকার পরিমাণ ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে বাংলাদেশের ৩৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। ওই ঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার। ২০৫০ সালের মধ্যে এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানবে। এতে ৯০ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ডুবে যেতে পারে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ২ কোটি লোক ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। এর মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনর প্রভাবের শিকার।
যতদিন যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ততই প্রকট হচ্ছে। বাড়ছে সমুদ্র উপকূলবর্তী, দ্বীপাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জীবনমরণ সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অস্তিত্ব ঝুঁকির বিষয়ে সবার আরো বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের মহাসচিবের কথা—সময় এখন আমাদের বিরুদ্ধে। এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের এখন এক জোট হওয়া অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
লেখক: মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লি., গোপালপুর, নাটোর
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো
লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন
আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা
“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন
বাবা যখন ধর্ষক
যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন