শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, খাদ্য সংকট

ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় উপদ্রুত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ দিন পার করছে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজীবপুর ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।

এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর পাকা সড়কসহ কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। ভাঙন দেখা দিয়েছে যাত্রাপুরহাটের তীর রক্ষা বাঁধে। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সর্বত্রই চলছে খাদ্যের জন্য হাহাকার।

সদর উপজেলার পোড়ার চরের বাসিন্দা সেকেন্দার আলী বলেন, ‘কাজ নাই, খাবার নাই, রিলিফও পাই নাই। খুব কষ্টে আছি। কী হবে জানি না?’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুদিন ধরে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমি বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যার্তদের দুর্ভোগ লাঘবে যা করণীয়, তা আমরা করব।’

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বন্যার্তদের জন্য আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও ১৯২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা বিতরণ করা হয়েছে। আরো এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা ঢাকা থেকে সড়কপথে কুড়িগ্রামে আসছে। এসব শুকনো খাবার হাতে পাওয়ামাত্রই বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কুড়িগ্রামে তিন উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলার ও তিস্তার পা‌নি বেড়ে যাওয়ায় জেলার তিনবিস্তারিত পড়ুন

কুড়িগ্রামে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার

কুড়িগ্রামে মটর মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসীরবিস্তারিত পড়ুন

স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, জামায়াত নেতাকে গণধোলাই

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়া হাতেনাতে ধরা পড়ার পর একবিস্তারিত পড়ুন

  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • এবার কুড়িগ্রামে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
  • কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন
  • কুড়িগ্রামে ছয় ইউনিয়নে ‘প্রথম’ ভোট কাল
  • কুড়িগ্রামে ইজতেমায় দুই মুসল্লির মৃত্যু
  • বিয়ে থেকে পালাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত!
  • বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের মা-ছেলে ও পুত্রবধূর মৃত্যু..!!
  • শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • মৃত্যুর আগে হলেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান সফিয়ার
  • বিকেলে খেলতে গেল দুই শিশু, রাতে পুকুরে ভাসল লাশ
  • মামলা না নিয়ে ধর্ষক পরিবারের সঙ্গে মিমাংশা হতে বলছে পুলিশ !
  • কুড়িগ্রামে এক জনকে কুপিয়ে হত্যা