বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কেন সেই অজস্র মৃত্যুর সাক্ষী হতে হলো আমাকে

আসুন রবীন্দ্রনাথের কাছে আবার ফিরে যাই। ‘মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম আজি নব প্রভাতের শিখর চূড়ায়’। প্রতিদিন নতুন সূর্য দেখে মঙ্গল কামনা করি এই বলে যে, আর যেন না শুনতে হয় কোন বিদায়ের বাণী। তবু কেন যেন আজ মনটা বিষণ্ণ হয়ে আছে। মৃত্যু হত্যা আর নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক কাণ্ড নিয়ে আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না।

ব্যক্তি জীবন থেকে সামাজিক জীবন কোনো খানেই থেমে থাকছে না নতুন খবর। মানুষ ভুল করে অন্যায় করে নাকি অন্যায় করে ভুল করে সেটা নিয়ে ভেবেও কুল কেনারা করতে পারলাম না। কবিগুরু যে বলেছিলেন, ‘অজস্র মৃত্যুরে পার হয়ে আসিলাম’ সে অনুভূতি এত জীবন্ত মনে হয় কেন। কেন সেই অজস্র মৃত্যুর সাক্ষী হতে হল আমাকে। আমরা সহজেই ভুলে যাই অতীত, এমনকি ভুলে যাই বর্তমান। আমাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন ভবিষ্যতকে ঘিরে।

স্মরণ আছে, খুলনার মোটর গ্যারেজ শ্রমিক রাকিব। গাজীপুরের ময়েজউদ্দিন, ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক- গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ পোষ্টার নূর হোসেনকে।

স্মরণ আছে, রূপবান সম্পাদক কলাবাগানের জুলহাজ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাউল করিম। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের হুমায়ূন আজাদ রক্তজবা দৃষ্টি।

স্মরণ আছে, সিলেটের কুমারগাওয়ের শিশু রাজনের কান্না, দিনাজপুরের ইয়াসমিন, নরসিংদীর মেয়র লোকমানের কথা।

স্মরণ আছে, রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, আরেফিন দীপন, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রির চট্টোপাধ্যায়  এর মত যুবকদের নাম।

স্মরণ আছে, সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার পর ডাকাতি মামলার ঘটনা, পুরানো ঢাকার বিশ্বজিৎ দাসের রক্ত মাখা চিৎকার ‘আমি হিন্দুর ছেলে’, আরো স্মরণ আছে সাগর রুনি হাতপা বাঁধা ছবি।

স্মরণ আছে, এরশাদ শিকদারের ‘আমি তো মরেই যাব’ গান গেয়ে গেয়ে মানুষ হত্যা করে মাছকে খাওয়ানোর টেলিভিশন ফুটেজ।

স্মরণ আছে, কোন এক ছাত্র নেতা হয়তো ইন্দু ছিল তার নাম। মানুষ হত্যা করে মৃত মানুষের মাথার খুলি দিয়ে সে ফুটবল খেলত।

স্মরণ আছে, কল্পনা চাকমা, সোহাগী জাহান তনু অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানী মায়ের শতাব্দীর সবচাইতে করুন আকুতি ‘বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, ও মরে যাবে’।

স্মরণ আছে, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, নারায়ণগঞ্জের যুবক তানভীর মোহাম্মদ ত্বকির ছবি।

স্মরণ আছে, স্কুল যাবার পথে মায়ের হাত থেকে সন্তানের হাত ছাড়িয়ে গুলি ছুঁড়ে ফুটো করে দিয়েছিল মিতুর মাথার হেজাব।

আমি কি ভুলে গেছি তোমাদের সকলকে নাম, অসংখ্য বাঁচার আর্তনাদ?  ভুলে গেলে ক্ষমা চাই। ভীষণ মৃত্যু আতঙ্কে আছি। প্রিয়জন চলে গেলে কেমন হয় সে অভিজ্ঞতা খুব শক্ত ভাবেই পেয়েছি। তারপরও ভয় হয়। এই ভয় তোমাদের ভুলে যাবার ভয়। যদি স্মরণ না হয়, সেই পাপের ভয়। সম্ভাবনাময় স্বপ্নবীজ তোমার আমাকে ক্ষমা করে দিও। এখন আমিও ভোলাদের মত অদেখা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। যে দেখা হয় না দেখা, তার জন্য স্মরণে থাকে না তোমাদের অনেকের মুখ।

শুধু স্মরণ আছে, স্কুল অডিটোরিয়ামে দাঁড়িয়ে গলা ছেড়ে গাইতাম “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি”।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। আমাদের কণ্ঠস্বরের-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?