কে এই নাসরিন সুলতানা?, যাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সানি
২০১০ সালে বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল ফোনের নম্বর আদানপ্রদান। এরপর নাসরিন সুলতানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ক্রিকেটার আরাফাত সানি। ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকার মরিরুল ইসলামের মেয়ে।
দীর্ঘ সময়ে অনেক ঘোরাঘুরির মধ্যে অন্তরঙ্গতাও বাড়ে দুজনের। পরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে ভালোবেসে বিয়েও করেন। সম্প্রতি তুলে নেওয়ার কথা বললে সানি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ফেইসবুকে তার অশ্লীল ছবি আপলোড করেন।”
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে আমিন-বাজারের বাসা থেকে পুলিশ আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে বলে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানে আলম মুন্সী জানান।
নাসরিনের দাবি, পরিবারের অমতে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। নাসরিন সুলতানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, আরাফাত সানি অনেকদিন তার সঙ্গে থেকেছেন। তাকে থাইল্যান্ডেও নিয়ে গেছেন। তবে, নাসরিন সুলতানার কাছে বিয়ের কোন কাগজ বা প্রমাণ নেই।
পুলিশকে তিনি বলেছেন, সানি তাদের বিয়ে অস্বীকার করার পর তিনি প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে সানি ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার (নাসরিনের) কিছু ছবি পাঠিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টা করেন।
এ কারণে গত ৫ জানুয়ারি তিনি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। সতেরো দিন পর ওই মামলায় আজ গ্রেফতার হয় সানি।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মেয়েটির দাবি, সাত বছর আগে সানির সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। এরপর বিয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা বললেও সানি সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন বলে ওই তরুণীর অভিযোগ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ থাকায় ওই তরুণী সানিকে বলেন, হয় তাকে তুলে নেওয়া হোক, না হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হোক।
এরপর গত বছর জুন মাসে সানি ফেইসবুকে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি এবং ওই তরুণীর কয়েকটি ছবি তাকে পাঠান এবং নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।
নাসরিনের মামলায় রোববার সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ওই মামলায় গ্রেপ্তার ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, পুলিশ ৫ জানুয়ারি মামলার পর তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে সানির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে সানি যে মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহার করে নাসরিনের ছবি পাঠিয়েছিলেন সেটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে দেয়া হয়েছে। তারা হ্যান্ডসেটটি যাচাই-বাছাই করছেন।
তবে ৩০ বছর বয়সী সানির মা নার্গিস আক্তার মোহাম্মদপুর থানার সামনে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। টাকার লোভে ওই মেয়ে তাকে ‘ফাঁসানোর’ চেষ্টা করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন