রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

কে যাবেন হোয়াইট হাউসে

আগামী নভেম্বর মাসে (২০১৬) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। উভয় প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। সারা বিশ্ব এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। নিঃসন্দেহে এ নির্বাচন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিশ্ব-অর্থনীতি, রাজনীতি এবং বিশ্ব-শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এক বড় ভূমিকা রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আরও দুটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সিএনএন-এর জরিপে এ বিতর্কে হিলারি বিপুল ব্যবধানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে পরাজিত করেছেন। জরিপের বিতর্ক দেখা (প্রায় দশ কোটি) দর্শকদের ৬২ শতাংশ হিলারি এবং ২৭ শতাংশ ট্রাম্পকে জয়ী বলে রায় দেন।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই হিলারি ক্লিনটনের প্রতি মার্কিনিদের সমর্থনের পাল্লা ভারি ছিল। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পও খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিতর্কে হিলারি ট্রাম্পকে ধরাশয়ী করেছেন। দুই প্রার্থীর মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে হিলারির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে। হিলারির গ্রহণযোগ্যতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীদের কাছে যেমন বেশি; আমার মনে হয় বিশ্ববাসীর কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ট্রাম্পের চেয়ে অধিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই দায়িত্বহীন বক্তব্য প্রদান করে আসছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি বহুবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের সম্পর্কে নানা ধরনে অপমানজনক ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। হিস্পানিক তথা মেক্সিকান ইমিগ্রান্টসসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ইমিগ্রান্টদেরকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার কথা যেমন বলেছেন, মেক্সিকান সীমান্তে দেয়াল তৈরি করার পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছেন। বহুবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলমানদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন এবং তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এক পর্যায়ে তিনি সমস্ত মুসলমানকে মঙ্গলগ্রহে প্রেরণের কথাও বলেছেন। বস্তুতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো অভিবাসীদের দেশ (Country of Immigrants)। পৃথিবীর বহু অঞ্চল থেকে দীর্ঘকাল যাবত্ বিভিন্ন জাতির লোক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেছে। অভিবাসীদের দুই ভাগে ভাগ করা যায়; পুরনো অভিবাসী ও নতুন অভিবাসী। অনুসন্ধান করলে হয়তবা দেখা যাবে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বপুরুষও পৃথিবীর অন্যকোনো দেশ থেকে একদা এখানে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সে যাই হোক, অভিবাসী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিদ্বেষ এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর অতীত জীবনের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, তিনি ছিলেন একজন বর্ণবাদী (Racist)। তার বর্ণবাদী মনোভাবের স্পষ্ট বহির্প্রকাশ ঘটেছে তার নির্বাচনী প্রচারণার মধ্য দিয়ে। তিনি আফ্রিকান আমেরিকানসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কালো মানুষের প্রতি তার বিদ্বেষ ও ঘৃণার কথা প্রচার করেছেন। এমনকি তিনি বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও ব্ল্যাক প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিহিত করে তার জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর ও বাইরে অনেকেই মনে করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত যোগ্যতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাই। তার মত একজন রক্ষণশীল, বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষী, কর খেলাপী ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তা কখনও সেদেশের জন্যে কিংবা পৃথিবীর বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্যে যে মঙ্গলকর হবে না তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটন তার এ সকল বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হিলারি ক্লিনটনের কোনো বক্তব্যই অভিবাসী, কালো মানুষ বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যায়নি। বরং তিনি অভিবাসীদের স্বপক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। তিনি মুসলমানদের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন এক ব্যক্তি যার সম্পর্কে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন এবং যার সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে তিনি এমন কিছু করতে পারেন যাতে বিশ্ব শান্তি বিনষ্ট হতে পারে বা বিশ্ব কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। এক্ষেত্রে তাঁকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সাথে তুলনা করা যায়। ২০০১ সালের নির্বাচনে বুশের বিজয় ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত; কারণ সে নির্বাচনে অনেক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আল-গোরকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হন। অনেকেই মনে করেন সে নির্বাচনে সত্যিকারের বিজয়ী ছিলেন আল-গোর; কিন্তু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় বুশকে। যাক সে কথা; কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরের মাথায় তিনি ইরাক আক্রমণ করেন এবং তারও আগে আফগানিস্তানে সৈন্য প্রেরণ করেন। কূটনীতি বা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা না করে তিনি সরাসরি যুদ্ধ বাধিয়ে দেন আফগানিস্তানে ও ইরাকে। ইরাকের তত্কালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ছিলেন একজন ডিক্টেটর এবং তার শাসনামলে সেদেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অন্ত ছিল না। অতএব সাদ্দামের বিচারের ভার বা তার ভাগ্য-নির্ধারণের দায়িত্ব ছিল সে দেশের জনগণের। কিন্তু সাতসমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে প্রেসিডেন্ট বুশ ইরাকে Weapons of Mass Destruction অর্থাত্ ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র সংরক্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে সাদ্দাম সরকারসহ সেদেশের জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেন। এই ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সাদ্দাম, তার পরিবারের ও মন্ত্রিসভার সদস্যসহ আহত ও নিহত হয় ইরাকের অগণিত সাধারণ মানুষ। ইরাক যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্য ছিল তেলসমৃদ্ধ ইরাকের এ অমূল্য সম্পদ লুণ্ঠন করা এবং যুদ্ধ বাঁধিয়ে অস্ত্র বিক্রির নতুন নতুন মার্কেট সৃষ্টির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র-কারখানাকে চাঙ্গা ও সমৃদ্ধ করা। ইরাক যুদ্ধের শুরুতে যে এই যুদ্ধের পক্ষে ছিলেন ট্রাম্প এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট হতে পারলে ট্রাম্পও কোনো না কোনো অজুহাতে আবার একটি যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারেন। ট্রাম্পের মধ্যে আমি বুশের ছায়া দেখতে পাই। অতএব একটি নিরাপদ পৃথিবীর জন্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন জনগণের প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনাই বেশি। তাই বলে হিলারি ক্লিনটনকে ধোয়া তুলসি পাতা বলারও অবকাশ নাই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি সরকারি সার্ভার ব্যবহার না করে ই-মেইল চালাচালির জন্য ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করেন। বিষয়টি নিয়ে এফবিআই তদন্ত শেষে হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনলেও, গোপনীয় নথি ব্যবহারে তাঁর গাফিলতি ছিল বলে মন্তব্য করে। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত বিতর্কে হিলারি অবশ্য কোনো ওজর-আপত্তি ছাড়াই এ ভুল স্বীকার করেন। এর আগে ই-মেইল প্রশ্নে হিলারি পরস্পরবিরোধী কথা বলেছেন, যার ফলে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কিন্তু বিতর্কের সময় সরাসরি নিজের ভুল মেনে নেন।

বিতর্কের সময় গোড়া থেকেই হিলারির লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের সততা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। ট্রাম্প নিজকে সফল ব্যবসায়ী দাবি করলেও এই ব্যবসা তিনি শুরু করেছিলেন বাবার কাছ থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে। হিলারি এ কথা বলায় বিব্রত ট্রাম্প নানাভাবে প্রতিবাদের চেষ্টা করেন। নিজের ব্যবসায় ট্রাম্প কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন, হিলারি এমন অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, বিতর্ক কক্ষেও তেমন একজন স্থপতি রয়েছেন, যিনি কাজ করে পয়সা পাননি। কার্যত সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে ট্রাম্প পাল্টা মন্তব্য করেন, ‘হতে পারে সেই লোক তেমন ভালো কাজ করেনি।’ ট্রাম্প যে তাঁর আয়কর হিসাব দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন সে কথাও বিতর্কে উঠে এসেছে। অথচ গত ৪০ বছরে সব প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এ হিসাব দাখিল করেছেন। তার কর ফাঁকির কথা এখন আর মার্কিন জনগণের নিকট অজানা নয়। দেউলিয়া ঘোষণা করে কর ফাঁকির প্রশ্নে ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল তিনি আইনের সুবিধা নিয়েছেন। একজন প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থীর আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অর্থ আত্মসাতের নজির বড়ই ন্যক্কারজনক বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।

বিতর্কে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতেও ট্রাম্পের প্রতি জোরালো আঘাত হানতে সক্ষম হন হিলারি। তিনি দর্শকদের মনে করিয়ে দেন, ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনকে চীনাদের নিজের স্বার্থে বানানো একটি ‘মিথ্যা কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। জবাবে ট্রাম্প সজোরে মাথা নেড়ে বলেন, ‘ভুল, আমি এ কথা বলিনি।’ ট্রাম্প যে একবার নয়, প্রায় আধা ডজনবার সে কথা বলছেন, তার প্রমাণ অবশ্য ট্রাম্পের নিজের বিভিন্ন টুইটার বার্তায় রয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারের একসময় ট্রাম্প বলেছিলেন, হিলারিকে ঠিক প্রেসিডেন্টের মতো ‘দেখায় না’। বিতর্কে প্রসঙ্গটি টানেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি হিলারির দর্শনধারী নিয়ে কথা বলেননি, তিনি বলেছেন এ দায়িত্ব পালনের ‘শারীরিক সক্ষমতা’ হিলারির নেই। ট্রাম্পের এ অভিযোগ লুফে নিয়ে হিলারি বলেন, ১১২টি দেশ সফর, শান্তিচুক্তি-অস্ত্রবিরতির আলোচনা, পুরো বিশ্বে দেশের জন্য নতুন সুযোগ খোঁজা অথবা কংগ্রেস কমিটির টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ মোকাবিলার পর যেন ট্রাম্প তাঁর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরো বলেন, তিনি (ট্রাম্প) এখন দর্শন থেকে সক্ষমতায় নেমেছেন। অথচ এই লোকই একসময় নারীদের শুয়োর, কুকুর, উন্নাসিক বলে গালি দিয়েছেন।

ই-মেইল প্রশ্নে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এর দায় নিতে রাজি আছেন বলে জানান। একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, ট্রাম্প তাঁর করের প্রসঙ্গটি লুকাতে চাইছেন। ট্রাম্প ধনীদের কর কমাতে আগ্রহী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এটি রিপাবলিকানদের ট্রিকেল ডাউন ইকনোমিক্ পলিসির (trickle down economy) বৈশিষ্ট্য। অর্থাত্ ধনীদের কর হ্রাসের মধ্যদিয়ে ধনীদের সুবিধা দিলে তারা বিনিয়োগ বাড়াবে এবং তাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ট্রাম্পের যুক্তি ধনীরা চাইলেই বিনিয়োগের মাধ্যমে জাতির জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। এ প্রসঙ্গ টেনেই হিলারি বলেন, সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জন্য ট্রাম্প মোটেও মঙ্গলজনক হবেন না। কারণ ‘যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ব্যবসা করতে চান তিনি।’ হিলারি দাবি করেন, কর্মক্ষেত্র তৈরির বিষয়ে ট্রাম্প যে পরিকল্পনা দিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হলে ৩৫ লাখ আমেরিকান চাকরি হারাবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন হিলারির অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় এক কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ৩৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়ে যাবে। অর্থনীতির গতিশীলতার কারণেই ৭০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। হিলারি উদ্যোগ নিলে আরও ৩৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ৪০ লাখ চাকরির সুযোগ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পেশাগত কারণে আমি ১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে এবং ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলাম। অতএব তখন অনুষ্ঠিত দুটি নির্বাচনই আমার দেখার সুযোগ হয়েছিল। ১৯৯২ সালের নির্বাচন যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল তাতে কোনো সন্দেহ নাই। সে নির্বাচনে বিল ক্লিনটন নির্বাচিত হয়েছিলেন, অথচ ২০০০ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জর্জ ডব্লিউ বুশকে বিজয়ী ঘোষণা করাতে আমার মত অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। আমার মনে হয়েছিল নির্বাচনের নামে প্রহসন শুধু আমাদের দেশেই হয় না, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও হয়ে থাকে। আশা করি ২০১৬ সালের নির্বাচনে এমন কিছু হবে না। এ নির্বাচনে হিলারির বিজয় কাঙ্ক্ষিত এবং প্রত্যাশিত। মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক, বিশ্ব শান্তির প্রতি হুমকিস্বরূপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। এর বিপরীতে হিলারির অবস্থান। হিলারির মত একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী প্রার্থীর বিজয়ে আমেরিকার এবং বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে।

লেখক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক রাষ্ট্রদূত

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?