মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

কোনো পীর মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারবে কি?

প্রশ্ন : আমরা জানি, ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ একটি গুণ দিয়েছিলেন যে তিনি মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। এখন মুহাম্মদ (সা.)-এর পরে বা তাঁর কোনো উম্মত বা বুজুর্গ সাহাবিদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি যাঁরা এই কাজটি করতে পারতেন? যেমন : বাংলাদেশের একজন পীর, আমি তাঁর নাম বলব না, যাঁদের অনেক মানুষ হাক্কানি পীর বলে উল্লেখ করে, তাঁদের একটি বইয়ে আমি পড়লাম, তিনি একজন বুজুর্গের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি তাঁর নিজের হুকুমে মৃত মানুষকে জীবিত করেছেন। এ ব্যাপারে একটু জানতে চাচ্ছি।

উত্তর : আপনি কিতাবের কথা বর্ণনা করেছেন। বর্তমান সময়ে হাজারো কিতাব আছে, যেগুলো ভ্রান্ত, ভ্রষ্ট। ভালো হতো যদি আপনি কোনো দলিল পেশ করতে পারতেন কোরআন অথবা সুন্নাহ থেকে। কিতাবের বিষয়টি আপনার মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে, এ জন্যই আপনি প্রশ্ন করেছেন।

এই ভাই একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। এটি অনেকটা সাজানো গল্প। এ ধরনের সাজানো গল্প বহু আছে, এগুলোর ব্যাপারে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে আমাদের সমাজে ওয়াজ-মাহফিল করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বইপত্র মানুষকে দেখানো হয়ে থাকে। অথচ এগুলো গুরুত্ব পাওয়ার কথা নয়। এগুলো একেবারে স্থূল বিবেক দিয়েও আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে এগুলো মিথ্যা, ভুল কথা, সাজানো গল্প। কিন্তু এটাকে যদি ধর্মের লেবাসে অথবা ইসলামের নামে চালানো হয়, তাহলে এটি সবচেয়ে বড় অপরাধ, অন্যায়। যদি এটাকে গল্প হিসেবে উল্লেখ করে যে একটা গল্প লিখেছি, তাহলে ঠিক আছে। মানুষ আন্দাজে, অনুমানের ওপর কত রকমের গল্প লিখে থাকে। এ রকম গল্প পাঠযোগ্য নয়। সেটা একটা কথা মানুষ পড়বে কি না, এ ধরনের গল্প।

তবে এটি একেবারেই ভুয়া কথা, আল্লাহ রাসূল (সা.)-কে যে মর্যাদা দিয়েছেন, সেগুলোর মধ্যে এ ধরনের কোনো মর্যাদার কথা উল্লেখ করা হয়নি এবং উম্মাতের কারো কাছ থেকে এ ধরনের কোনো কেরামত সাব্যস্ত হয়েছে, কোথাও এর কোনো প্রমাণ আসেনি। কেরামতে আউলিয়ার ওপর ইমাম লালাকাই (র.) সর্বপ্রথম কিতাব লিখেছেন। তিনি এ ধরনের কোনো বক্তব্য উল্লেখ করেননি। সাহাবিদের কোনো রেওয়ায়েত থেকেও এ ধরনের কোনো বক্তব্য আসেনি। তাই এটি একটি মিথ্যা কথা, কারণ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁকে জীবন দান করার বিষয়টি একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা শুধু অনুমতি দিয়েছেন ঈসা (আ.)-কে তাও কেবল মাজেজা হিসেবে। এটা তাঁর বিশেষত্ব ছিল, যেটা কোরআন উল্লেখ করেছে এই বিশেষত্ব। যদি এর পরবর্তী সময়ে এবং এর আগের সময়ে কাউকে এই অনুমোদন দেওয়া হতো, তাহলে এটার আর কোনো বিশেষত্ব থাকত না। আর এর মাজেজাও থাকত না। তাহলে এটা খুব সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত হতো। এভাবে কোনো সাধারণ বিষয় হিসেবে কোথাও এটি প্রমাণিত হয়নি।

আর এ ধরনের গল্প আমরা বহু শুনতে পাই, যেগুলোর আদৌ কোনো ভিত্তি আছে কি না এবং কারা তৈরি করেছে, সে ব্যাপারে আল্লাতায়ালাই ভালো জানেন। এ নিয়ে আলোচনা করা আসলে সময়ের অপব্যবহার।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়

দীর্ঘদিন পর সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছেন, রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।বিস্তারিত পড়ুন

হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়ল ফ্লাইট

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে।বিস্তারিত পড়ুন

পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জাবিস্তারিত পড়ুন

  • সৌদি আরব যেকোনো ভিসায় করা যাবে ওমরাহ!
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ঈদ সালামি কি জায়েজ?
  • শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ বৃহস্পতিবার
  • জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার কথা জানালো ডিএমপি কমিশনার
  • ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ফিলিস্তিনিদের
  • যেভাবে টানা ৬ দিনের ছুটি মিলতে পারে ঈদুল ফিতরে
  • রাস্তায় ইফতার করলেন ডিএমপি কমিশনার
  • যেসব অঞ্চলে আজ থেকে রোজা শুরু
  • রমজান মাসে কম দামে পাওয়া যাবে মাছ ও মাংস
  • পবিত্র রমজান মাস কবে শুরু, জানা যাবে সোমবার
  • একই নিয়মে সব মসজিদে তারাবি পড়ার আহ্বান