কোরআন তেলোয়াত একমাএ জিনিষ যা নিজে পড়লেও শান্তি লাগে, আবার অন্য কাউকে পড়তে শুনলে শান্তি লাগে
কোরআন তেলোয়াত একমাএ জিনিষ যা নিজে পড়লেও শান্তি লাগে, আবার অন্য কাউকে পড়তে শুনলে শান্তি লাগে।
তাহলে আসুন আমরা সবাই আজ থেকে কোরআন তেলোয়াত করি ও অন্য জনকেও পড়ার জন্য বলি।
কুরআন পাঠের আদব-
ক. পবিত্রতা অর্জন করে কুরআন তিলাওয়াত করা
খ. পবিত্র ও উত্তম পোশাক পরে কুরআন পাঠ করা
গ. ক্বিবলামুখী হয়ে বসে কুরআন পাঠ করা
ঘ. কুরআন পাঠের পূর্বে মিসওয়াক করে নেয়া
ঙ. পূর্ন মনোযোগের সঙ্গে কুরআন পাঠ করা
চ. কুরআন পাঠের সময় বিনা প্রয়োজনে কারো সঙ্গে কথা না বলা
ছ. কুরআন পাঠের সময় ছাওয়াবের বা কল্যাণের আয়াত পাঠ করলে থামা এবং আল্লাহর কাছে উক্ত ছাওয়াব বা কল্যাণ প্রার্থনা করা। এছাড়া শাস্তির আয়াত পড়লে থামা এবং তা থেকে পানাহ চেয়ে দোয়া করা।
জ. কুরআন কারিম খুলে না রাখা এবং কুরআনের ওপর কোনো কিছু দিয়ে চাপিয়ে না রাখা
ঝ. অন্যের কাজের ব্যাঘাত বা সমস্যার সৃষ্টি এমন আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত না করা;
ঞ. বাজার বা কোলাহল পরিবেশ, যেখানে মানুষ ফাহেশা কথা ও কাজে লিপ্ত সেখানে কুরআন কারিম তিলাওয়াত না করা
ট. কুরআন তিলাওয়াত অবস্থায় হাই উঠলে কুরআন কারিম পাঠ বন্ধ করা।
ঠ. কুরআন তিলাওয়াতের মাঝে কথা বললে তাউজের সহিত (আউজুবিল্লাহ) বলে পুনরায় কুরআন তিলাওয়াত করা।
ড. বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য কুরআন তিলাওয়াতের জন্য অবস্থান নির্ণয় করা। তবে দাঁড়িয়ে, বসে এমনি শুয়েও কুরআন তিলাওয়াত করা যায়।
ঢ. কুরআন পাঠের পূর্বে শয়তান থেকে আশ্রয় লাভের দোয়া করা। অর্থাৎ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাঝিম’ পড়ে নেয়া।
ঞ. অতপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়া।
কারণ, কুরআন তিলাওয়াতের সময় আউজু বিল্লাহ পড়ে গোনাহের পথ বন্ধ করে দিয়ে বিসমিল্লাহ তিলাওয়াতের মাধ্যমে বরকতের জন্য আনুগত্যের দ্বার খুলে নেয়া।
ত. যেখানে কুরআন তিলাওয়াত হয়, সেখানের শ্রোতাদের উচিত, নিরবে নিশ্চুপ থেকে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করা।
থ. সর্বোপরি কুরআনুল কারিম তিলাওয়াতের হক পরিপূর্ণ করতে, কুরআনের বিধানকে জীবন-ধারণে বাস্তবায়ন করতে কুরআনুল কারিমকে অর্থসহ বুঝে হৃদয়াঙ্গম করা ঈমানের চূড়ান্ত দাবি।
পৃথিবীর বুকে মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হচ্ছে কোরআনে কারিম। কোরআন তেলাওয়াত শোনার মানে হলো শ্রেষ্ঠ বাণী শোনা। কোরআনে কারিমের তেলাওয়াত স্বতন্ত্র ইবাদত হিসেবে গণ্য। এর ফজিলত অনেক বেশি।
তবে কোরআন তেলাওয়াত করাই উম্মতের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয় বরং তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা। কোরঅান তেলাওয়াত করে ক্বারি হিসেবে খ্যাতি লাভ করার উদ্দেশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করা ঠিক নয়। অনেকে আবার দুনিয়ার স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে কোরআন তেলাওয়াত করে। এ ধরনের তেলাওয়াতে কোনো কল্যাণ নেই। তবে, নিজ জীবনে কোরআন বাস্তবায়নের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার জন্য তেলাওয়াত করাটা একটা ক্রমধারা।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হচ্ছে, কোরআন নিয়মিত তেলাওয়াত করা। ধীরে ধীরে তেলাওয়াতের পরিমাণ বাড়াতে থাকা। নিজে নির্ধারণ করে নেওয়া, প্রতিদিন কতটুকু করে তেলাওয়াত করবে সে বিষয়ে। আল্লাহতায়ালা সবাইকে নিয়ম করে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করার তওফিক দান করুন। আমিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন