সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

খাদিজার হাসিমাখা মুখের জন্য অপেক্ষা

চোখ বুজলেই সামনে ভেসে ওঠে সেই দৃশ্য। মন খারাপটা আরেকটু বেড়ে যায় ইমরানের। তাই রক্তাক্ত, নিথর খাদিজার ধুলোমাটিতে পড়ে থাকা সেই দৃশ্যকে প্রাণপণে চোখের সামনে থেকে সরাতে চান ইমরান। খাদিজার প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর হাসিমাখা মুখ দেখার ব্যাকুল আকুতি তাঁর।

৩ অক্টোবর, ২০১৬। সোমবার বিকেল। আপনমনে সিলেট এমসি কলেজের সবুজ বনানীর সবুজ গালিচায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন ইমরান কবির। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তখন, কী ভয়ানক এক দৃশ্য অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য!

ইমরান হাঁটছিলেন। আচমকা হৈচৈই শুনে কৌতূহলী হয়ে এগোতে লাগলেন। স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বেরোনো শত শত শিক্ষার্থী দৌড়াচ্ছেন দিগ্বিদিক। কৌতূহল বাড়তে লাগল ইমরানের। কী ঘটছে, সেটা জানার কৌতূহল তাঁকে সামনে টেনে নিতে লাগল।

এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে গিয়ে থমকে দাঁড়ালেন ইমরান। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না নিজের চোখকে! মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন খাদিজা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। অন্যরা যখন সাহসহারা হয়ে দৌড়ে সরে যাচ্ছিলেন, ইমরানের মনে তখন মানবতার ডাক! আর তাই খাদিজার দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি। খাদিজার মাথা, হাতে চাপাতির অসংখ্য আঘাত। দেখেই আতঙ্কের স্রোত বয়ে যায় বুকে। কী করবেন ইমরান?

না, আতঙ্কিত হননি তিনি। মাথা ঠান্ডা রেখে দ্রুত ঠিক করে নিলেন করণীয়। খাদিজার ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে দিলেন তাঁর মাথা, যাতে রক্তপাত কিছুটা বন্ধ হয়। সাহায্যের আশায় চিৎকার করতে লাগলেন। সেই চিৎকারে এগিয়ে এলেন আল-আমিন ও মাহফুজ নামের আরো দুই যুবক। সিএনজি অটোরিকশায় তুলে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো খাদিজাকে। তার পর সবকিছু ঘটতে লাগল দ্রুত। রক্ত লাগবে, দিলেন ইমরান। ওষুধ লাগবে, এনে দিলেন ইমরান। খাদিজার স্বজনরা এলেন, এর পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন ইমরান।

ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে এক সপ্তাহ। কিন্তু খাদিজার সেই নিথর, চাপাতির আঘাতে রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন মাথার দৃশ্য এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ইমরানকে। ঘুমের ঘোরেও সেই দৃশ্য তাঁকে হতচকিত করে। আর তাই খাদিজার হাসিমাখা মুখ দেখার ব্যাকুলতা এখন ইমরানের মাঝে।

ইমরানের ভাষায়, ‘খাদিজা আপুর হাসিমাখা মুখ কখনো দেখার সুযোগ হয়নি আমার। প্রথম দেখাতেই তাঁর মলিন, রক্তাক্ত মুখ দেখতে হয়েছে আমাকে। সেই দৃশ্য চোখে ভাসছে সব সময়। আমি এই দৃশ্য নয়, খাদিজা আপুর হাসিমাখা মুখের দৃশ্য দেখতে চাই।’

ইমরানের এই চাওয়া, এই আকাঙ্ক্ষা তো তাঁর একার নয়! এ তো সোনার বাংলার প্রত্যেকটা বিবেকবান মানুষের হৃদয়ের চাওয়া!

লেখক : সাংবাদিক ও রম্য লেখক।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?