শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

খালেদার প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত?

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সময় বাকি আর তিন মাসেরও কম। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তাব দিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন। কিন্তু আড়াই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব কি না সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

খালেদা জিয়া বলেছেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতৈক্যের ভিত্তিতে গঠন করতে হবে নির্বাচন কমিশন। আর যতদিন এই মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন চালিয়ে যেতে হবে আলোচনা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় দুই প্রধান বিবাদমান দলের মধ্যে মতৈক্য কঠিন। আর আড়াই মাসের মধ্যে আরও দুঃসাধ্য।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটা খালি রাখার সুযোগ নেই। বর্তমান কমিশন যেমন সময় শেষে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না, তেমনি নতুন নিয়োগ ঝুলিয়ে রেখে কমিশন ফাঁকা রাখার সুযোগ নেই।

বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাও বলেছেন, এই মতৈক্যের জন্য দরকার ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা। সেটা না থাকলে পাঁচ বছরেও মতৈক্য সম্ভব নয়।

আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিন মাসের কম সময় বাকি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া প্রস্তাব করেছেন নিবন্ধিত বা এখন পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সবগুলোর দলের সঙ্গে আলোচনার।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে চির বিবাদী দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠা আদৌ সম্ভব কি না। খালেদা জিয়ার এই সংবাদ সম্মেলনের পর পরই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেত্রীর প্রস্তাব হাস্যকর ও অন্তঃসারশূন্য। তিনি জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে নির্বাচন কমিশন।

৮০ এর দশকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একজোট হলেও এরশাদের পতনের পর এখন পর্যন্ত কোনো বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি দল দুটি। মাঝে অবশ্য ২০০৬ সালে একবার সংলাপ হয়েছিল দুই দলের মধ্যে। তবে এতে ফলপ্রসূ কিছু হয়নি।

আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে বলেই ধারণা করা হয়। সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকা এই দুই দল কি আড়াই মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন নিয়ে একটি অবস্থানে পৌঁছতে পারবে?

নির্বাচন পর্যবেক্ষক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ধারণা, এটি প্রায় অসম্ভব। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দাঁড়িয়েছে- বিচার মানি তালগাছ আমার। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্যমত সৃষ্টি কীভাবে হবে সেটি নিয়েই তো সংশয় রয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল আহসান বলেন, ‘বেগম জিয়া নির্বাচন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন। এটি পূরণ করা ক্ষমতাসীনদের জন্য দুঃসাধ্য বটে। তবে তার যে প্রস্তাব সেটি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে হলে আলোচনা নিরন্তর চলতে পারে। কারণ এর আগে আমরা সৈয়দ আশরাফ-ফখরুল এবং মান্নান-জলিল সাহেবদের আলোচনা দেখেছি। কোনো ফল আসেনি।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে হয়তো দেশের বড় দুইদল ঐক্যমতে পৌঁছাবে না। নির্বাচন কমিশন যেহেতু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এটা গঠন হয়ে যাবে। তবে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি হয়তো তখন নির্বাচন কমিশনের লেজিটেমেসির প্রশ্ন তুলবে।’

দুই প্রধান দলের মধ্যে মতৈক্যের সম্ভাবনা কতটুকু- এ এবিষয়ে সঙ্গে কথা হয়েছে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্ভর করছে ক্ষমতাসীন দলের ইচ্ছার উপর। তারা চাইলে এটি বাস্তবায়ন করা এক সপ্তাহের ব্যাপার। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কিন্তু নির্বাচন কমিশন সবার মতের ভিত্তিতেই গঠন হয়। তাহলে আমরা পারবো না কেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে এমাজউদ্দিন বলেন, ‘অনেক কষ্টে আমরা দেশটা পেয়েছি। আমাদের দুর্ভাগ্য হল কোনো বিষয় নিয়ে আমরা একমত হতে পারি না। এটা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। দুই দলের নেতাদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ নেই। সাক্ষাৎ হওয়ার চেষ্টাও নেই। আমেরিকায় কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেল। দুই প্রধান প্রার্থীর মধ্যে মৌখিকভাবে অনেক খারাপ বাক্যবিনিময় হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ কারো নেই। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রজনৈতিক স্থিতিশীলতা খুব বড় প্রয়োজন। আশা করছি এটি নিয়ে সবাই ঐক্যমত হবে।’

কথা হলো সাবেক সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রস্তাবকে খুবই ইতিবাচক বলে মনে হয়। এটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে। এটাকে আরও ছোট করা যায়। আবার এটাকে কার্যকরও করা যায়। পুরো বিষয়টি এখন ক্ষমতাসীন দলের উপর নির্ভর করছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সময় বেশি নেই। সেটা বলা যাবে না। আলোচনা করলে ঐক্যমতে পৌঁছানো খুব কঠিন বিষয় না। এটা নির্ভর করবে ক্ষমতাসীন দল কী চাচ্ছে তার ওপর।’

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আড়াই মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে ঐক্যমতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নিয়ে বিএনপি কী ভাবছে-জানতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকার চাইলে দুই দিনেই ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব। আর না চাইলে পাঁচ বছরেও হবে না।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনবিস্তারিত পড়ুন

দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারেরবিস্তারিত পড়ুন

আওয়ামী লী‌গ ভিসানীতির পরোয়া করে না : ওবায়দুল কাদের

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি আওয়ামী লী‌গ এগু‌লো পরোয়া করে না মন্তব‌্যবিস্তারিত পড়ুন

  • কমরেড রনো চির জাগরূক থাকবেন
  • বিএনপি আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা 
  • মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ
  • উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: রিজভী
  • আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতা বিরোধীদের নীলনকশার অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
  • বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়
  • পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেছেন মির্জা ফখরুল
  • ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন 
  • সব পন্থি সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়: ফখরুল
  • মে দিবস হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শপথের দিন : জিএম কাদের
  • প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন 
  • হেফাজত নেতা মামুনুল হক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন