চিকিৎসকের দরকার নেই তেলেঙ্গানাদের লোহার ছাপে!
ছোটখাটো অসুখ নিরাময়ের বিষয় যখন আসে, তখন ভারতের আদিবাসী তেলেঙ্গানারা অনেক পুরনো ক্রিয়ার মাধ্যমেই তার সমাধান করেন। ভারতের চারটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে তেলেঙ্গানারা। অবিভক্ত আদিলাবাদ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে তারা। তাদের বিশ্বাস, দেহের নির্দিষ্ট অংশে গরম লোহার মার্কা মেরে দিলে দেহের ব্যথা উপশম হয়। হজমের সমস্যা দূর হয় এবং মাথাব্যথাও চলে যায়।
সেন্ট্রাল ইন্ডিয়া দ্রাভিডিয়ানদের বলা হয় গন্ড। তারা মধ্য প্রদেশ, পূর্ব মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ও পশ্চিম অদিশায় ছড়িয়ে পড়েছেন তারা। লক্ষ্মী পূজা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ‘দাহাড়ি ভারসাওয়াল’ নামের এই প্রাচীন ক্রিয়ার শুরু হয়। সকাল সকাল বিশেষ লোহায় বানানো বস্তু দিয়ে মানুষ এবং গরু-ছাগলকে ব্র্যান্ডিং (মার্কা বা ছাপ দেওয়া) করা হয়।
গবাদিপশু ব্র্যান্ড করা হয় একটি ছোট লোহার দণ্ড দিয়ে। এর শেষে থাকে একটি বা দুটো ছোট আকৃতির আঙটা। গরুর গোবরে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত পবিত্র জ্বালানি ‘গোমেরা’তে গরম করা হয় লোহার দণ্ড। গবাদিপশুকে ব্র্যান্ডিংয়ের পদ্ধতিকে বলা হয় ‘দাহাড়ি’। আঙটাগুলোকে বলা হয় ‘কোভাল’। সৌরগ্রহণের সময় এই আঙটা বানানো হয়। মানুষের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও একইভাবে লোহার দণ্ড তৈরি করা হয়।
কৃষকদের জন্য গবাদিপশুগুলোর ব্র্যান্ডিং করা হয়। তাদের বামপাশের নিতম্বের দিকে ছাপ দেওয়া হয়। শিশু এবং বড়দের ব্র্যান্ডিং করা হয় মেরুদণ্ড, ঘাড় কিংবা ব্যথাপূর্ণ স্থানগুলোতে। এটা দারুণ যন্ত্রণাদায়ক বিষয়। এই পদ্ধতি চাক্ষুষ করে তাই বললেন ওই গ্রামের অধিবাসী কানাকা আম্বানি রাও।
কানাকা হানমান্থ রাও বলেন, এই পদ্ধতিতে দেহে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তবে প্রতিবছরই এ কাজটি করান কানাকা জুগাড়ি রাও। সূত্র : দ্য হিন্দু
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন