ছেলের গিফট কিনতে মা ‘পর্নো স্টার’!
কোন মা-ই বা চায় ছেলের মলিন মুখ দেখতে! অন্য বাচ্চারা যখন হেসেখেলে আনন্দ করছে, ক্রিসমাসের পার্টিতে হইচই করছে, তাঁর বাচ্চার তখন মুখভার। পাশে বসে মাকে অনুযোগ করছে, ক্রিসমাস গিফটে সে খুশি নয়, মায়ের তো খারাপ লাগবেই। বিশেষত, তিনি যখন সিঙ্গল মাদার, ছেলে আব্দার করতে পারে, এমন কেউ নেই, বাবার দায়িত্বটাও তাঁর।
মেগান ক্লারা তখনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, আগামী ক্রিসমাসে ছেলেকে এমন উপহার দেবেন, ছেলে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবে।
দেবেন তো, কিন্তু কী দেবেন? কোথা থেকে এত এত পাউন্ড পাবেন? সপ্তায় যাঁর রোজগার মেরেকেটে ৮০ পাউন্ড তিনি সংসার সামলে, বাচ্চার জন্য টুকিটাকি খরচ করে, সঞ্চয় করে রাখবেনই বা কী করে?
মেগান মনস্থির করেন অ্যাডাল্ট ফিল্মে অভিনয় করবেন। এক একটা ছবির জন্য নেবেন ৫০০ পাউন্ড। সে মতোই বছরভর নিজের পরিকল্পনাকে গুছিয়েছেন একাকী মা। গতবার যেখানে ১০০ পাউন্ড খরচ করেছিলেন, এ বার ক্রিসমাসের আগেই ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন ১,৫০০ পাউন্ডের উপহার।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের এই সিঙ্গল মাদার মুখে তৃপ্তির হাসি নিয়ে জানালেন, ২০০ পাউন্ড খরচ করে ছেলে অ্যাস্টনকে এ বার একটা বাইক (বাইসাইকেল) কিনে দিয়েছি। গত তিন বছর ধরে ও এই বাইকটার জন্য বায়না করছিল। আমি দিতে পারিনি। এ বার ক্রিসমাস গিফটে সেই কাঙ্ক্ষিত বাইক দিতে পেরে আমি আপ্লুত। শুধু বাইকই নয়, নতুন জামা, চকোলেট, ঘর সাজানোর উপকরণ, খেলনা কিছুই বাদ দেননি।
মেগান বলেন, লোকজনের অভিযোগ, আমি নাকি আদর দিয়ে ছেলেকে বাঁদর তৈরি করছি। কিন্তু, আসলে তা নয়। ও আমার একমাত্র ছেলে। শুধু ছেলে নয়, ও আমার বন্ধুও, বেস্ট ফ্রেন্ড। ওকে খুশি রাখতে আমি যা-কিছু করতে পারি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন