বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জিয়ার সদিচ্ছা প্রসঙ্গে কিছু কথা

মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমও তেমন একজন বিখ্যাত মানুষ। বিএনপি যেহেতু এখনো, এত দমন-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের পরও দেশের প্রধান একটি জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলের অবস্থানে রয়ে গেছে, সেহেতু দলটির পাশাপাশি জিয়াউর রহমানকে ধরেও টানাটানি চলছে বিরামহীনভাবে।

প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মন বা হৃদয়ের দিকটিকে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা দরকার। কারণ, কারো সম্পর্কে জানতে হলে তার মন বা হৃদয় সম্পর্কে বিশেষভাবে জানতে হয়। দু’টি মাত্র তথ্যের উল্লেখ করলেই যে কেউ বুঝতে পারবেন, জিয়াউর রহমান মনের দিক থেকে কতটা সৎ ও উদার ছিলেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধ ইতিহাস প্রকল্পের কথা উল্লেখ করতেই হবে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচিত ছিল স্বাধীনতার পরপর এই ইতিহাস রচনার উদ্যোগ নেয়া। অন্য কোনো দেশ হলে এবং স্বাধীনতা ও জনগণের সংগ্রাম ও যুদ্ধের প্রতি সম্মান দেখানোর সদিচ্ছা থাকলে স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম সরকারই সঠিক ইতিহাস লেখার উদ্যোগ নিত। সেটা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের দায়িত্বও ছিল। কিন্তু ওই সরকার এ ব্যাপারে মনোযোগ দেয়ার বা উদ্যাগ নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি।
স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস রচনার ব্যাপারে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে তৎকালীন তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিল। সততা ছিল বলেই প্রেসিডেন্ট জিয়া আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট কবি ও দৈনিক বাংলার সাবেক প্রধান সম্পাদক হাসান হাফিজুর রহমানকে প্রকল্পের পরিচালক পদে নিযুক্তি দিয়েছিলেন। এই নিবন্ধের লেখকসহ চারজন গবেষক এসেছিলেন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে। গবেষকদের তিনজনই রাজনৈতিক চিন্তা ও বিশ্বাসের দিক থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার বিরোধী ছিলেন। একজন আবার ছিলেন ঘোরবিরোধী। চতুর্থজন ছাত্রজীবনে দল বা সংগঠন করেননি, কোনো মিছিলে পর্যন্ত যাননি। রাষ্ট্রক্ষমতায় জিয়াউর রহমান, তার নির্দেশেই ইতিহাস লেখার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু পরিচালক থেকে গবেষক পর্যন্ত কেউই জিয়ার সমর্থক নন- সে ছিল এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার।

শুধু তা-ই নয়, স্বাধীনতাযুদ্ধে নিজের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে জানানোর প্রশ্নেও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন অনাগ্রহী। ছিলেন কিছুটা লাজুকও। ইতিহাস প্রকল্প শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালের এপ্রিলে, আর প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হয়েছিলেন ১৯৮১ সালের ৩০ মে। মাঝখানে চার বছর এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রেসিডেন্ট জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে তার নিজের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু লিখতে দেননি। তার সম্পর্কে অন্যদের দেয়া বিবরণীসহ অনেক তথ্যই সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু পরিচালক এবং গবেষকদের তিনি বলেছিলেন, সমসাময়িককালে লিখিত ইতিহাসে পক্ষপাতিত্ব থাকে। বিশেষ কারো ভূমিকাকে মহিমান্বিত করার নির্দেশ বা তাগিদ থাকায় অনেকে অসত্য লেখেন। ভয়ের কারণেও কারো কারো সম্পর্কে সত্য লেখা যায় না। সুতরাং ইতিহাস লেখার পরিবর্তে আপনারা স্বাধীনতাযুদ্ধ ও তার পটভূমিসংক্রান্ত সব খবর, বিভিন্ন দলের কর্মসূচি, প্রচারপত্র ও পুস্তিকাসহ দলিলপত্র এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সেনাবাহিনীর অফিসার ও জওয়ান এবং মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য-বিবৃতি সংগ্রহ ও প্রকাশ করে যান, যাতে সেসবের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের গবেষকরা সঠিক ইতিহাস লিখতে পারেন। হোক ৫০ বা ১০০ বছর কিংবা তারও পর, কিন্তু সেটা যাতে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস হয়।

ইতিহাস প্রকল্পও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরামর্শ অনুসারে লেখার পরিবর্তে ইতিহাসের তথ্য ও উপাদান সংগ্রহ এবং সেগুলো সঙ্কলনের নীতি ও পরিকল্পনাই গ্রহণ ও অনুসরণ করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. মফিজুল্লাহ কবিরকে চেয়ারম্যান করে নয় সদস্যের একটি প্রামাণ্যকরণ বা অথেন্টিকেশন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। অন্য আটজন ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। কমিটির নয়জনের মধ্যে মাত্র একজনকে জিয়ার প্রতি কিছুটা দুর্বল মনে হয়েছে (জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হক)। অন্যরা প্রকাশ্যেই ছিলেন জিয়া ও বিএনপির কঠোর বিরোধী। তাদের একজন পরবর্তীকালে শেখ হাসিনার সংবিধানবিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছিলেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হুদা হারুন)। একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এখনো বিশিষ্ট আওয়ামী বুদ্ধিজীবী হিসেবে ভূমিকা পালন করে চলেছেন (ড. আনিসুজ্জামান)। ইতিহাসের অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিন আহমদও তার জীবদ্দশায় আওয়ামী বুদ্ধিজীবীর ভূমিকাই পালন করে গেছেন। অর্থাৎ প্রামাণ্যকরণ কমিটির সদস্য কারা হবেন, সে ব্যাপারেও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হস্তক্ষেপ করেননি। এই কমিটির সদস্যরা প্রতিটি দলিলপত্র যাচাই-বাছাই করে তার সত্যতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করতেন। দলিলপত্রগুলোকে সত্যায়িত করতেন। তারপর সেগুলো ছাপানোর যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। ইতিহাস প্রকল্প চার লাখ পৃষ্ঠার বেশি দলিলপত্র এবং কয়েক শ’ দুর্লভ ছবি সংগ্রহ করেছিল। সেগুলো মিলিয়েই পরবর্তীকালে ১৫ খণ্ডে দলিলপত্র এবং এক খণ্ডে ফটো অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল (১৯৮৪-৮৮)।

তথ্যগুলো উল্লেখের কারণ হলো, প্রেসিডেন্ট জিয়া শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, ইতিহাসের ব্যাপারেও ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও আন্তরিক। তিনি চাইলে নিজেকে নিয়ে বিরাট বিরাট ‘ঐতিহাসিক’ গ্রন্থ লেখাতে পারতেন। এই সুযোগে চাটুকারদেরও সমাবেশ ঘটতে পারত, যারা তাকে নিয়ে ‘সঠিক’ এবং ‘বস্তুনিষ্ঠ’ ইতিহাসের নামে গালগল্পের বন্যা বইয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ত। জাতিকে ইতিহাসের ট্যাবলেট গেলানোর চেষ্টা করত। কিন্তু সুযোগ, ক্ষমতা এবং গোপনে প্ররোচনা থাকা সত্ত্বেও জিয়াউর রহমান তেমন কোনো চিন্তাকে বিবেচনা পর্যন্ত করেননি। তার নিজের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছাপানো হচ্ছে কি না সে সম্পর্কেও কখনো খোঁজ করেননি তিনি। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের ব্যাপারে এতটাই সততা ও আন্তরিকতা ছিল তার।

এবার জিয়ার অবদানবিষয়ক দ্বিতীয় একটি তথ্য। এখন যেভাবে যত প্রচারণা চালানো এবং যত ব্যাখ্যাই দেয়া হোক না কেন, প্রমাণিত সত্য হলো, মূলত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সদিচ্ছা ও উদারতার কারণেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসতে এবং আওয়ামী লীগের নেত্রী হতে পেরেছিলেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত এবং ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ হিসেবে পরিচিত পৈতৃক বাসভবনটিও প্রেসিডেন্ট জিয়াই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

এটা ১৯৮১ সালের ঘটনা। তখনো চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের ক্ষত সেরে ওঠেনি, জনগণের মধ্যে বাকশালী শাসনবিরোধী ক্ষোভও ছিল প্রচণ্ড। তা সত্ত্বেও দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। একই আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে সে সময় ব্র্যাকেটবন্দী খান তিনেক উপদলের আবির্ভাব ঘটেছিল। আবদুল মালেক উকিলের নেতৃত্বাধীন উপদলটি মূল বা প্রধান আওয়ামী লীগের অবস্থান অর্জন করেছিল। কিন্তু সেখানে সভাপতির পদ নিয়ে সঙ্ঘাত মারাত্মক হয়ে ওঠে। আপস ফর্মুলা হিসেবে শেখ হাসিনাকে সভানেত্রী বানানো হয়। শেখ হাসিনা তখন ভারতের আশ্রিতা হিসেবে নয়াদিল্লিতে বসবাস করছিলেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হওয়ার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্ন ওঠে। একটি মহল বিষয়টি নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা অবাধে দেশে ফিরে আসতে এবং বসবাস করতে পারেন।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণার পরই নয়াদিল্লি থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল (১৭ মে, ১৯৮১)। সব কিছুর পেছনে ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়ার সদিচ্ছা ও উদারতা। তিনি শুধু শেখ হাসিনাকেই ফিরিয়ে আনেননি, নিজে উদ্যোগী হয়ে তাকে তার পৈতৃক বাসভবনটিও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়ার নির্দেশে বাসভবনের প্রতিটি জিনিসের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সে তালিকায় শেখ মুজিবের পাইপ ও চশমা, মরহুম নেতার দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্বর্ণের মুকুট, অলঙ্কার, টাকা, মার্কিন ডলার, ভারতীয় রুপি, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং কাপড়-চোপড় ও আসবাবপত্র যেমন ছিল, তেমনি ছিল লাইসেন্সবিহীন কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সেগুলোর গুলি। তালিকায় কয়েকটি গ্রেনেডও ছিল। শেখ হাসিনা প্রতিটি জিনিস তালিকার সাথে একটি একটি করে মিলিয়ে ও যাচাই করে তারপর লিখিতভাবে বুঝে নিয়েছিলেন। স্বর্ণকার দিয়ে স্বর্ণের মুকুট ও প্রতিটি স্বর্ণালঙ্কার পরীক্ষা ও ওজন করিয়ে এবং রীতিমতো বাজিয়ে বাজিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি শুধু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি ও গ্রেনেডগুলো বুঝে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

এর ক’দিন পরই চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া (৩০ মে, ১৯৮১)। শেখ হাসিনার ফিরে আসার তারিখ ১৭ মে এবং জিয়াকে হত্যার তারিখ ৩০ মে’র মধ্যকার ব্যবধান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা যথেষ্টই হয়েছে। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য হলো, শেখ হাসিনার ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান স্নেহভরা চমৎকার মনের পরিচয়ই দিয়ে গেছেন। dailynayadiganta
লেখক : সাংবাদিক ও ইতিহাস গবেষক
ই-মেইল : [email protected]

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?