জীবনযুদ্ধে হার মানেনি জসিম
ফরিদপুর : পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়েও আমরা জীবনযুদ্ধে হেরে হতাশায় ডুবে যাই। কখনো আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটে। জন্মগতভাবে তার দুটি হাত না থাকলেও জীবনযুদ্ধে হার মানতে রাজি নন চরভদ্রাসনের জসিম।
তিনি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারী ডাঙ্গীর বাসিন্দা শেখ বকুর ছেলে। গত কয়েকদিন আগে ব্যাপারী ডাঙ্গী জসিমের বাড়িতে গিয়ে জানা যায় তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি মেজ। বড় ভাই শেখ মহসিন ঢাকার একটি হোটেলে কাজ করে আর ছোট ভাই ইমারত হাজিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
জসিমের বাবা অন্যের ট্রলার ভাড়া চালিয়ে ছেলে-সন্তানের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে ব্যস্ত। তার একার রোজগারে কোনো রকম কষ্টে বেঁচে অছে পরিবারটি।
মা সরূপজান চোখের জল ফেলে বলেন, ‘জসীম আমার নাড়িছেঁড়া ধন। অভাবের সংসারে আমার জসিম পঙ্গু হয়েই জন্মেছে। এখন সে বড় হয়েছে তাই দুই বছর আগে তাকে বিয়ে করিয়েছি সেই ঘরে ১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নুন আনতে পানতা ফুরানোর মতন একটি অভাবি সংসার আমার। জন্মগতভাবে দুটি হাত না থাকলেও নিজের অদম্য সাহস মেধা ও বুদ্ধিতে মুখ দিয়ে কোরআন পড়ার পাশাপাশি পা দিয়ে টিউবওযেল থেকে পানি ওঠানোসহ নিজের প্রয়োজনীয় অনেক কাজই সে করে।’
অভাবের সংসারে পাঁচশ টাকার প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া আর কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে না পরিবারটি।
সরকারি সাহায্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর রব বলেন, ‘ওই পরিবারটিকে একবার ভিজিডি কার্ড দেয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পরে পুনরায় তাদের কার্ড দেয়া হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন