জীবন বাজি রেখে চিতা বাঘের মুখ থেকে সন্তানকে বাঁচালেন মা
সন্তানকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে মমতাময়ী মাও হয়ে উঠেন সাক্ষাৎ রুদ্রাণী। এবার এক মায়ের সাহসিকতার সামনে হার মানতে বাধ্য হল হিংস্র চিতা বাঘের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ে।
সোমবার, প্রকৃতির ডাকে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের আরে কলোনির বাসিন্দা প্রমীলা রিনিজাদ। সঙ্গে ছিল ৩ বছরের ছেলে প্রণয়। কিন্তু তিনি জানতেন না রাতের অন্ধকারে ওঁত পেতে ছিল বিপদ। বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে অবস্থিত শৌচালয়ের পথে
খানিকটা এগিয়ে হঠাৎ প্রমিলা দেখতে পান একটি চিতা ঝাঁপিয়ে পড়েছে তার ছেলের উপর।
মুহূর্তের হতভম্ব ভাব কটিয়ে নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে তিনিও চিৎকার করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন চিতা বাঘটির ওপর। প্রমীলার ওই রণংদেহী রূপে ঘাবড়ে যায় প্রাণীটি। ততক্ষণে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশীরা তাই মুখের শিকার ফেলেই ছুটে পালায় চিতাটি।
সেই রাতেই প্রতিবেশীদের সাহায্যে প্রণয়কে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান প্রমীলা। তবে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বালাসাহেব ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয় তাকে। চিতার কামড়ে আহত হলেও তা খুব গুরুতর ছিল না তবে তার শরীরে তিনটি সেলাই করতে হয় চিকিৎসকদের।
স্থানীয়রা এই ঘটনার জন্য বনদপ্তরকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, এলাকায় চিতাবাঘ থাকার খবর জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেননি তারা। থানে এলাকার প্রধান সংরক্ষক সুনীল লিমায়া জানিয়েছেন, যে এলাকায় রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়দের মধ্যে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন