জুমআ’র নামায না পড়া প্রসঙ্গে কুরআন-হাদিসে সুস্পষ্ট সতর্কতা ও শাস্তির ঘোষণাগুলো জানেন কী ?
ইয়াওমুল জুমআ’ বা শুক্রবার। অসহায়-দরীদ্র মুসলমানের জন্য ‘হজের দিন’, ‘ঈদের দিন’। ঈমানদার মুসলমানের ঈমান বৃদ্ধির দিন। সর্বোপরি মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের সেরা দিন শুক্রবার। আনন্দ-উৎসবের সঙ্গেই ছোট থেকে বড় সবাই জুমআ’র নামাজ আদায় করতে মসজিদে হাজির হয় এদিন ।
জুমআর নামাজ আমাদের সামনে সপ্তাহে একবারই হাজির হয়। এ দিনের ফজিলত অনেক। জুমআর নামাজ থেকে বিরত থাকা, তাই কোনো মুসলমানের উচিত নয়। জুমআর দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বনবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতিত জুমআ’র নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ।
চার শ্রেণির লোক হল-
ক. ক্রীতদাস;
খ. স্ত্রীলোক;
গ. অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক;
ঘ.মুসাফির এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তি।
(আবু দাউদ)।
জুমআ`র নামাজ না পড়ার পরিণাম-
যে বা যারা জুমআর নামাজ হতে বিমুখ থেকে খেলাধুলা, ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা পার্থিব কোনো কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। আল্লাহ তাআলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকেন। অর্থাৎ সে ব্যক্তির কোনো ইবাদাত-বন্দেগি আল্লাহর তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা অনেক বড় অভিসম্পাত।
কোনো ওজর (যথাযোগ্য কারন ) বশত জুমআ পরিত্যাগ করা, তা ভিন্ন কথা। কিন্তু সক্ষম ও সামর্থ্যবান সবাইকে জুমআর নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার ব্যাপারে কুরআন হাদিসে সুস্পষ্ট সতর্কতা ও শাস্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী জুমআর দিন যেহেতু সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনের অসংখ্য ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। এ দিনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডই মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সমতুল্য। সুতরাং এ দিনের নামাজ, আমল ও ইবাদাত-বন্দেগির ব্যাপারে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।
আল্লাহ তাআলা জুমআর নামাজের গুরুত্বারোপ করে কুরআনে আয়াত নাজিল করে বলেছেন, জুমআর দিন আজানের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর স্মরণে মসজিদে নামাজে যাওয়ার কথা। আবার নামাজের পরে তাদের জীবিকার সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন