মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

টানা পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালের জানলার পাশে বসেঃ সন্তানের বাবা কে তা জানেন না তরুণী!

গত পাঁচ দিন ধরে একটানা আকাশ দেখে গিয়েছেন রেনামি হাসপাতালের ছয়তলায় জানলার পাশে বসে। অচেনা শহরের অচেনা আকাশ। এ কয়টা দিন যত বার তার মোবাইল বেজে উঠেছে, ফোন কানে চেপে ধরে ওই জানলার পাশে বসেই অঝোরে কেঁদেছেন রেনামি কালো নামে ৩২ বছরের ফিলিপিনো এই যুবতী। কলকাতা শহর ছেড়ে তিনি ফিরে যেতে চান ফিলিপিন্সের দক্ষিণে, সমুদ্র ঘেরা জেনারেল স্যান্তোস শহরে। তার বাবা-মায়ের কাছে।

গত শুক্রবারের ঘটনা। ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা রেনামি মাঝ আকাশেই যন্ত্রণায় কঁকিয়ে উঠেছিলেন। সামলানো যায়নি তাকে। কুয়েত থেকে ম্যানিলা যাওয়ার পথে ফিলিপিন্সের বিমান কলকাতায় নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল রেনামিকে একা। কলকাতায় নামার পরে তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয়েছিল বিমানবন্দরের কাছে চার্নক হাসপাতালে। রেনামির প্রাণ বাঁচাতে সেই রাতেই অস্ত্রোপচার করে মৃত সন্তানকে বার করে আনা হয়।

আজ শুক্রবার বিমানবন্দরের অফিসারেরাই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন, কেমন স্বামী! আসন্ন প্রসবা স্ত্রীকে এ ভাবে একা বিমানে তুলে দিয়েছেন! প্রথম দুইতিন দিন কাটার পরেও সন্তানের বাবা যোগাযোগ না করায় বা নিজে সশরীরে কলকাতায় এসে হাজির না হওয়ায় অবাক হয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরাও।

গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে বসে এখন একটু সুস্থ রেনামি উদ্ঘাটন করলেন সেই রহস্যের। কোথায় তার সন্তানের বাবা, আজ তা জানেন না রেনামি। স্যান্তোস শহরের দরিদ্র খ্রিস্টান পরিবারের ছোট মেয়ে রেনামি। চাকরির আশায় সাত বছর আগে সাগর পেরিয়ে উড়ে গিয়েছিলেন কুয়েত। একটি বাড়িতে দু’বছর পরিচারিকার কাজ করার পরে একটি হোটেলে রান্নার কাজ শুরু করেন। এখন তিনি ‘শেফ’। চকোলেট এবং চকোলেট থেকে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে তার হাতযশ রয়েছে।

কুয়েত শহরের এক রেস্তোরাঁয় এক দিন তার আলাপ হয়েছিল শন পার্কারের সঙ্গে। মার্কিন সেনা শন লম্বা, সুঠাম। গায়ের রঙ মাজা। রেনামির কথায়, বেশি দিন নয়। গত বছরের অগস্ট মাসে প্রথম দেখা। প্রেম। মাস সাতেক আগে আচমকাই কুয়েত ছেড়ে চলে যান শন। তাকে মার্কিন দেশে বার কয়েক ফোন করার পরে, এক দিন শনের বোন বলে পরিচয় দিয়ে এক মহিলা ফোন করেন রেনামিকে।

ভয়ে কুয়েতের চিকিৎসকদের কাছে যেতে পারেননি রেনামি। জানতে পারলে শাস্তির মুখে পড়তে হতো। তিনি সত্যিটা লুকিয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। বাবা-মা জানতে পারলে তারা বলেন দেশে ফিরতে। সহকর্মীরাই টিকিট কেটে তুলে দেন বিমানে। ভুলে যেতে চান শনকে। বাড়ি ফিরে ছোটখাটো কাজ পেলে করবেন। বিয়ে? মাথা নীচু করে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন রেনামি।

সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মা সুফিয়া বেগম। ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়েবিস্তারিত পড়ুন

ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন

কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য

ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রীদের মধ্যে হিনা খানের সাজপোশাক নিয়ে চর্চা লেগেইবিস্তারিত পড়ুন

  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী
  • মৌলানা পাস দিয়েছিলেন তারেক মাসুদ
  • আজ শুভ জন্মদিন হুমায়ূন আহমেদ স্যার এর, আয়োজন জুড়ে যা যা থাকছে
  • অভিনেতা ডিপজল দেশে ফিরবেন বৃহস্পতিবার: কি অবস্থায় আছেন তিনি !
  • ড. ইউনূস ফ্রান্সে সম্মাননা নাগরিকত্ব পেলেন
  • সুপারস্টার মেসিকে দেখতে চাকরি বিসর্জন দিলেন এক মেসিভক্ত !
  • দুই হাতে লেখে যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা !
  • বাংলাদেশপ্রেমী ফাদার মারিনোর শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না !
  • বন্ধু ফাদার মারিনো রিগন আর নেই !
  • স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
  • ‘সন্তানকে আগুনে ছুড়ে আমাকে ধর্ষণ করে সেনারা’