সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

টিকিট যেন সোনার হরিণ না হয়..!!

ঈদে নাড়ির টানে যারা বাড়ি যান তাদের কাছে খুব কাঙ্খিত বিষয় হচ্ছে বাস, লঞ্চ, বা ট্রেনের টিকিটের সহজ প্রাপ্তি। ঘরমুখোদের এ স্বাভাবিক প্রত্যাশা থাকলেও প্রাপ্তির বেলায় এর বিস্তর ব্যবধান ঘটে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু না হতেই পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। রাতভর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাওয়া যায় না। অথচ বেশি দামে সেই টিকিটই কালোবাজারিতে পাওয়া যায়। ফি বছর এ অবস্থা চললেও এ বছর তা থেকে উত্তরণ ঘটবে- সেজন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টিরও বেশি রুটে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২২ জুন থেকে। এছাড়া আগামী ৩ জুলাই (রোববার) থেকে সাত জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু করবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচদিন আগ থেকে রেলওয়ের অগ্রিম টিকিট শুরু হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে এ অগ্রিম টিকিট ক্রয় করা যাবে। একজন যাত্রী চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এছাড়া বিক্রীত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। টিকিট বিক্রি হবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

অতীত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, বিক্রির শুরুর দিনই টিকিট সংকট দেখা দেয়। ট্রেন, লঞ্চ, বাস সবক্ষেত্রেই একই অভিযোগ। ট্রেনে কোটা পদ্ধতির কারণে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিআইপিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ দেওয়া টিকিট নিজেরাই কিনে নিয়ে উচ্চ দামে তা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। এছাড়া টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ তো অনেক পুরনো। দেখা যায় সারারাত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করেও যাত্রীরা টিকিট পায় না। আবার বেশি মূল্য দিলেই ভিন্ন পথে তা পাওয়া যায়। এই কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। যাত্রীরা যাতে সহজেই টিকিট পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে হবে। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধ করতে হবে। এছাড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনের ব্যাপারে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে চলতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যাত্রী সচেতনতাও অত্যন্ত জরুরি।

দূরপাল্লার বাসগুলো যাতে ঈদের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষকে নজরদারি চালাতে হবে। অননুমোদিত বাস চলাচলের ব্যাপারেও দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ ঈদে মুনাফার লোভে লোকাল বাসও হাইওয়েতে চলে। এগুলোর ফিটনেস না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা থেকে নষ্ট বাস সরানোর তেমন কোনো ব্যবস্থা থাকে না। এ কারণে দেখা দেয় তীব্র যানজট।

বিপুল সংখ্যক মানুষ যারা মাটির টানে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ করতে গ্রামে যাবেন তাদের আনন্দ যেন যাত্রাপথের ভোগান্তিতে নষ্ট না হয়ে যায় সেইদিকে নজর দেওয়াই এখনকার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এ ব্যাপারে কোনো উদাসীনতা কাম্য নয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?