ডিভোর্সের পর ফের প্রেমের হাতছানি এলে…
বিয়েটা আর টিকল না। বিয়ের বছর দুই পরেই ডিভোর্সটা হয়ে গেল। কোর্ট কাছারি মামলা মকদ্দমার পর মিলল মুক্তি। জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গেল দারুণ একটা ঝড়। গোছানো সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল এক নিমেষে।
ডিভোর্সটা হওয়ায় নিজেকে অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছেন। আজকাল বড় অচেনা লাগে নিজেকে। খালি লাগে সবকিছু। এত কম বয়সে এমন একটা ঘটনা ঘটায় মনের মধ্যে শঙ্কা ভর করেছে – বাকি জীবনটা কি এভাবেই ফাঁকা ফাঁকা কাটাতে হবে?
একেবারেই না! একবার একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বাকি জীবনটা কখনওই বিফলে যেতে পারে না। আর কে বলেছে ডিভোর্স হয়েছে বলে আপনি রিজেক্টেড! সমাজ আপনাকে যত নিচু করেই রাখুক না কেন, জানবেন জীবনটা আপনার একার। অন্য কাউকে সেটা নষ্ট করতে দেবেন না। তাই কে কী বলল, কে কী ভাবল, তাতে আপনার কিছু না এসে যাওয়াই ভালো। কেন এত পাত্তা দেবেন? বরং নিজের জন্য বাঁচুন। প্রথম থেকে শুরু করুন সবকিছু। মনের মানুষটিকে খুঁজে বের করুন, যাঁর সঙ্গে বাকি জীবনটা সানন্দে কাটাতে পারেন। আগেরবারের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে এগিয়ে চলুন।
ফিরিয়ে আনুন হারানো বিশ্বাস
এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে আপনি এগিয়ে। সম্পর্কের ওঠানামা দেখে নিয়েছেন অনেকটা। ফলে বাকিদের চেয়ে অনেকটা ম্যাচিওরিটি আপনার থেকে আশা করাই যায়। শুধু একটাই ত্রুটি মেটাতে হবে। যেভাবেই হোক ফিরিয়ে আনতে হবে হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাস। পুরোনো ভুলগুলো পুনরায় রিপিট করলে চলবে না।
প্রেম ও শারীরিক আকর্ষণের পার্থক্য জানুন
কোনটা প্রেম আর কোনটা শারীরিক আকর্ষণ, সে ব্যাপারে আপনার পরিষ্কার ধারণা তৈরি হওয়া উচিত। তাই নতুন করে কোনও মানুষকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়ানোর আগে যাচাই করে নিন, সেটা প্রেম না কি শুধুই শরীরী আকর্ষণ।
অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল চিন্তাভাবনা করুন
পুনরায় দুঃখ পেতে না চাইলে যুক্তিহীন আবেগগুলোকে পাত্তা দেওয়া বন্ধ করুন। জীবন সম্বন্ধে অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল হতে চেষ্টা করুন। কাউকে হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করতে যাবেন না।
প্রাক্তনীর সঙ্গে যোগাযোগ নয়
দ্বিতীয়বার কোর্টশিপে যাওয়ার আগে প্রাক্তন স্ত্রী/স্বামীর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন না। প্রাক্তনী সম্পর্কে যতটুকু জানানোর, ততটুকুই জানাবেন নতুন মানুষটিকে। ঠিক কী কারণে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল, সেটাও জানিয়ে রাখা ভালো।
মুছে ফেলুন প্রাক্তনীর স্মৃতি
যদি সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন, যে নতুন মানুষটির সঙ্গে মুভ অন করবেন, তা হলে প্রাক্তন স্ত্রী/স্বামীর সব স্মৃতি মুছে ফেলুন। নতুন মানুষটিকে পুরোপুরি আপন করতে চাইলে পুরোনো স্মৃতিকে জিইয়ে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখে না প্রকাশ করলেও নতুন মানুষটি মনে মনে দুঃখ পাবেন। মনে করবেন, আপনি হয়তো প্রথমপক্ষের সঙ্গীকে ভুলে যেতে পারেননি।
পালটে ফেলুন বাড়িটার অন্দর
আগেরজনের সঙ্গে যেভাবে বাড়িটিকে সাজিয়েছিলেন, এবার সেই ইন্টিরিয়র পালটানোর সময় এসে গেছে। আগের যা কিছু, সব ডিলিট করে নতুন করে সাজিয়ে তুলুন স্বপ্নের আস্তানা। নতুন সঙ্গীকেও সেই কাজে অংশীদার করতে পারেন। দেখবেন, তিনি সানন্দেই আপনাকে সাহায্য করবেন।
আর কুঁকড়ে থাকা নয়
অতীত জীবন নিয়ে যদি কেউ আপনাকে খোঁটা দেয়, নতুন সঙ্গীর ব্রেনওয়াশ করার চেষ্টা করে, চুপ করে বসে থাকবেন না। দুটো কটু কথা শুনিয়ে দেবেন। জানবেন, এ ক্ষেত্রে চুপ করে থাকা মানে পরিস্থিতির কাছে হার স্বীকার করা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন