ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নবনির্মিত বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সঙ্গে তিনি জড়িত। এ ছাড়া, হলে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের মারধর, তাঁর কর্মকাণ্ডে সমর্থন না জানালে কর্মীদের ছাত্রশিবির-ছাত্রদল আখ্যা দিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শাহাদাতের বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযোগ, তিনি ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী নেতা। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও নবনির্মিত বিজয় একাত্তর হলের সামনে চা, পিঠা, পান-সিগারেট, আনারস বিক্রির কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দোকান রয়েছে। দীর্ঘ তিন চার বছর ধরে দোকানিরা এখানে ব্যবসা করে আসছেন। আর এ থেকে অর্জিত আয় দিয়েই তাঁদের পরিবার চলে। কেউ কখনো তাঁদের কাছে চাঁদা দাবি করেননি। কিন্তু শাহাদাত প্রতিনিয়ত তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেছেন দোকানিরা।
ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা বলছেন, চাঁদা দিতে না চাইলে শাহাদাত তাঁদের বলেন এখানে কীভাবে দোকান করতে হয় আপনারা জানেন না। তখন দোকানিরা তাঁকে বলেন, বর্তমান কমিটির নেতারা তাঁদের এখানে খেতেন। তাঁরা কখনো তাঁদের কাছে কিছু দাবি করেননি বরং তাঁদের আরো সহযোগিতা করেছেন।
শাহাদাত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাঁরা হয়তো আপনাকে অন্য শাহাদাতের নাম বলেছে। আমি কোনো চাঁদা চাইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজয় একাত্তর হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, শাহাদাত হলে সিনিয়রদের সঙ্গে সব সময় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে সমর্থন না জানানোর অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের এক কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে প্রিন্স পুলিশের হাত থেকে ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে আনেন। নিজ সংগঠনের অনেকের সঙ্গে তাঁর মতের মিল না হওয়ায় তিনি ছাত্রশিবির-ছাত্রদল আখ্যা দিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হলচ্যুত করেছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
শাহাদাতের সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা গেছে, শাহাদাত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ খান পারভেজের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে তাঁরও পরিবর্তন ঘটে। যেদিকে সুবিধা পান সেদিকেই যান।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ছাত্রলীগে চাঁদাবাজ এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো স্থান নেই। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, শাহাদাতের পৈতৃক বাড়ি রাজধানীর মিরপুরে। কিন্তু শরীয়তপুরের পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ান।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের বাড়ি মাদারীপুর।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের “বি” ইউনিটের (মানবিক বিভাগের) ভর্তিবিস্তারিত পড়ুন

শেকৃবির ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “আওয়ামীপন্থি” ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরতবিস্তারিত পড়ুন