শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

তিনি অবিবাহিত, আপনি ডিভোর্সি, অন্যদিকে তাঁরই বন্ধুর বউ!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা………..

“আমার বিয়ে হয় যখন আমি কলেজে পড়ি। বাবা মায়ের পছন্দের বিয়ে তাই স্বামীর সাথে বিয়ের আগে কোন যোগাযোগ হয়নি। বিয়ের পর দেখতাম ও একটু ভিন্ন রকমের। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যে একটা মায়া থাকা উচিত, সেটা ওর মাঝে নেই। নিজেকে সামলে ওকে বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের মাঝে সম্পর্কটা অতটা গভীর হতে পারলো না কারণ কিছুদিন পরেই চাকুরীর জন্য ও অন্য শহরে চলে যায়। স্থানের দূরত্বটা আমাদের সম্পর্কের মাঝেও চলে আসে।

আস্তে আস্তে বিয়ের ২ বছর দূরে থেকেই কেটে যায়। আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হত আর এক মাসের মত যোগাযোগ বন্ধ থাকতো। এসময় ওর খোঁজ নেওয়ার জন্য ওর সাথেই থাকে এমন এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হয় আমার। সেই বন্ধুর সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগত, সবকিছুর সুন্দর সমাধান দিতে পারতেন তিনি। তাঁর সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যাই আমি। সব কিছু শেয়ার করতাম তাঁর সাথে। ধীরে ধীরে অনেক কিছু বলে ফেলি ওকে।

তিনি আমাকে অনেক বুঝতেন, আমাকে অনেক সময় দিতেন, আমাকে অনেক সম্মান করতেন। এক কথায় একটা ছেলের মাঝে যে গুণগুলো বা দিকগুলো খুঁজতাম তার সবই তাঁর মাঝে ছিলো। ভদ্র ব্যবহার, পরিষ্কার মন। এভাবে অনেকদিন চলল।

এখন আমার বিয়ে ভেঙে গেছে কিন্তু তাঁর সাথে এখনও সম্পর্ক আছে। আমি তাঁকে বিয়ে করতে চাই , সে-ও আমাকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু সমস্যা হল আমার বাসায় ওকে পছন্দ করে না কারণ সে দেখতে সুন্দর না। যদিও সে অনেক ভালো। আর ওর বাসায় মানবে না কারণ আমি ওর বন্ধুর বউ ছিলাম। আমরা এখন কী করবো? আমাদের একটু বলুন কীভাবে আমরা আমাদের বাসায় জানালে সবাই মেনে নিবে। আমি আর ও কীভাবে ধাপে ধাপে এগোলে সবাইকে রাজি করাতে পারবো? আর সে পালিয়ে বিয়ে করবেনা। সবার অনুমতি নিয়ে আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমি এই সুন্দর মনের মানুষটাকে পাশে চাই। আমাদের ভালো কোন উপদেশ দিয়ে সাহায্য করুন।”

পরামর্শ:

আপু, আমার মনে হয় আপনি নিজেও ভালো করে জানেন যে আপনাদের এক হবার কোন সহজ উপায় নেই। তাঁর পরিবার কেন আপনাকে মেনে নেবেন না, সেটা বোধগম্য। তিনি অবিবাহিত, আপনি ডিভোর্সি। অন্যদিকে তাঁরই বন্ধুর বউ। সমাজে নানা কথা উঠবে এই ভয়েই পরিবার মানতে চাইবে না। কিন্তু আপনার পরিবার কেন মেনে নেবে না, সেটা আমার কাছে একটু অবাকই লাগল। একে তো আপনার দ্বিতীয় বিয়ে, তারওপরে ভদ্রলোক তো সবদিক দিয়েই ভালো। কেমন দেখতে সুন্দর নয় বলে মেনে নেবেন না, এটা কেমন কথা হলো!

আসলে যার যার পরিবারের সাথে লড়াই আপনার নিজেকেই করতে হবে। আপনি নিজের পরিবারকে রাজি করানোর চেষ্টা করুন, তাঁকেও বাসায় বলতে বলুন যে আপনাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবেন না তিনি। যদিও এতে রাজি হবার সম্ভাবনা কমই মনে হচ্ছে। আপনাদের জন্য আসলে একটি উপায়ই খোলা আছে, নিজেরা বিয়ে করে তারপর পরিবারকে জানানো যে আমরা বিয়ে করে ফেলেছি। পালিয়ে গেলেন না, বিয়ে করে নিজেদের গৃহেই থাকলেন। পরিবার রাজি হলে কেবল তখনই সংসার পাতবেন এমন একটা মনস্থির করে। তাহলে পরিবারও দোষ দিতে পারবে না। আবার বিয়ে যেহেতু করেই ফেলেছেন, সেটা অস্বীকারও করতে পারবে না। পরিবারকে মেনে নিতেই হবে।

এটা ছাড়া আমি অন্তত আর কোন পথ দেখছি না আপু।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?