দই চিংড়ি
ইলিশ আর চিংড়ির লড়াই যতই পুরনো হোক না কেন, বাঙালি মাত্রই দু’টি খাবারের পদই খান চেটেপুটে। বর্ষবরণ করবেন, আর সেখানে চিংড়ি থাকবে না এমনও কী হয়! তাই আজ আপনাদের জন্য রইল দই চিংড়ি। মশলা মাখানো দইয়ে মেশানো এই ভাপা চিংড়ি যে আপনার অতিথিদের মন জুড়াবে, এ বিষয়ে দ্বন্দ্ব নেই কোনও।
উপকরণ:
চিংড়ি— ৩৫০ গ্রাম
টক দই— ১ কাপ
পেঁয়াজ— ২০০ গ্রাম
পোস্ত— ২ টেবিল চামচ
গরমমশলা গুঁড়ো— ২ চা চামচ
নারকেল কোরা— ৩ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো— এক চিমটে
জিরে গুঁড়ো— ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা— ৫টি
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো— ১ চা চামচ
সরষের তেল— আধ কাপ
নুন— স্বাদ মতো
চিনি— ১ চা চামচ
প্রণালী:
প্রথমে ভাল করে চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। এ বার সামান্য পেঁয়াজ বাটা, নুন ও অল্প সরষের তেল দিয়ে চিংড়ি ম্যারিনেট করে রাখুন আধ ঘণ্টা। পোস্ত আর ২টি কাঁচা লঙ্কা এক সঙ্গে বেটে নিন। টক দই ফেটিয়ে রাখুন ভাল করে। কড়াইয়ে ডুবো তেলে পেঁয়াজ কুচি ভেজে তুলে নিন। এ বার একটি বাটিতে ফেটিয়ে রাখা টক দই, পোস্ত বাচটা, এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, গরমমশলা গুঁড়ো, নুন ও চিনি মিশিয়ে নিন ভাল করে। বাকি কাঁচা লঙ্কা চিরে রাখুন। ম্যারিনেট করে রাখা চিংড়িগুলো মশলা মাখা টক দইয়ে মিশিয়ে দিন। এ বার একটি স্টিলের বাটি বা টিফিন বক্সের গায়ের ভিতরে ভাল করে সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন। সেই বাটির ভিতরে দই মাখা চিংড়ি দিন কিছুটা। খানিকটা ভেজে রাখা পেঁয়াজ দিন। উপরে আবার বাকি চিংড়ি দিন। তার উপরে অবশিষ্ট পেঁয়াজ ভাজা, কিছুটা টক দই, চেরা কাঁচা লঙ্কা ও সরষের তেল দিন। বাটি বা বক্সের মুখ চাপা দিন। তার পর একটি বড় কড়াই বা প্রেশার কুকারে জল গরম করুন। জল ফুটতে থাকলে চিংড়ির বাটিটা বসিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ভাপে চিংড়ি হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ধোঁয়া ওঠা বাসমতি চালের ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
আমাদের রান্নাঘরে খাবার তৈরির অনেক পণ্য থাকে। সেই সবে এমনবিস্তারিত পড়ুন
১ ঘণ্টার পুডিং তৈরি করুন মাত্র ১০ মিনিটে!
ডিম ফেটানো, দুধ জ্বাল দেয়া ইত্যাদি পুডিং তৈরির প্রস্তুতির কথাবিস্তারিত পড়ুন
ইফতারে নিজেই বানান মুখরোচক হায়দরাবাদি হালিম
আমাদের দেশে হালিম জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে রমজানে তোবিস্তারিত পড়ুন