শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনন্য নিদর্শন, ১৯১৩ সালে পিরোজপুরে কাঠের তৈরি দৃষ্টিনন্দন মমিন মসজিদ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাঠের তৈরি হস্তশিল্পসমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী ‘মমিন মসজিদ’। পুরো মসজিদটি নির্মাণে কাঠের কারুকাজ ও ক্যালিওগ্রাফি খচিত সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর সংযোগ স্থাপনেও লোহা বা তারকাটা ব্যবহার করা হয়নি। সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত হয়েছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙ। ১৯১৩ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বুড়িরচর গ্রামের অধিবাসী মমিন উদ্দিন আকন নিজ বাড়িতেই এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ সাত বছরে শেষ হয়।

২১ জন সুদক্ষ কারিগরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল কাঠশিল্পের অনন্য নিদর্শন মমিন মসজিদ। মসজিদটি ১৬ হাত দৈর্ঘ্য, ১২ হাত প্রস্থ এবং উচ্চতায় ১৫ হাত। চার পাশের বেড়া তিনটি অংশে বিভক্ত। যার উপর এবং নিচ

কাঠের কারুকাজ দিয়ে তৈরি। দুই পাশ দিয়ে ডাবল বেড়া। ভেতরে একরকম আর বাইরে আরেক রকম। ভেতরের কারুকাজ করা বেড়া খুলে আলাদা করা যায়। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মসজিদ বাঁশ-টিন, ইট-বালি-সিমেন্টে তৈরি হলেও কাঠের তৈরি মসজিদ খুবই বিরল। যদিও এ ধরনের কাঠের তৈরি মসজিদ এক সময় ভারতের কাশ্মীরে ছিল বলে জানা যায়।

বুড়িচর গ্রামের যুবক মমিন উদ্দিন আকন বাড়ি থেকে দূরের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে কষ্ট হয় বিধায় একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শনের মাধ্যমে কারুশিল্প ডিজাইন ও ক্যালিওগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা নেন। সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত মমিন উদ্দিন সাধারণ ঘরে বসবাস করে অনিন্দ্য সুন্দর দৃষ্টিনন্দন ক্যালিওগ্রাফি ও প্রাকৃতিক ফুল, ফল এবং গাছের আদলে মসজিদ নির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মসজিদ নির্মাণের জন্য তিনি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমার থেকে লোহা ও সেগুন কাঠ সংগ্রহ করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি বরিশাল জেলার স্বরূপকাঠী থানা থেকে ২১ জন কারিগর নিয়োগ করেন। তার তত্ত্বাবধানে মসজিদের পুরো পরিকল্পনা, কারুকার্য, ক্যালিওগ্রাফি তৈরি করা হয়। মসজিদটির প্রবেশদ্বারে এবং মেহরাবে একটি করে ক্যালিওগ্রাফির নকশা বসানো হয়।

বৃষ্টি, বন্যা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটির রঙ ও স্থাপনার কিছু ক্ষতি হয়। মমিন উদ্দিন আকনের নাতি মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ তদারকির জন্য পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। ফলে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কাঠের তৈরি এ মসজিদটিকে পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সর্বশেষ ২০০৮ সালে মসজিদটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে।-জাগো নিউজ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি

পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন

সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু

সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন

ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
  • দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোরবানি
  • হাজিদের গরম থেকে বাঁচাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করলো সৌদি
  • জমজমাট শপিংমল-মার্কেট
  • ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান
  • উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে নির্ঝঞ্জাট
  • শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাকা হচ্ছে ঢাকা
  • জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ
  • ঈদযাত্রায় এবার ১২ জায়গায় ভোগান্তির শঙ্কা
  • সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৮২ হাজারের বেশি হজযাত্রী