মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

দুই কিশোরকে নির্যাতনের ভিডিও, গ্রেপ্তার ১

রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক স্কুলছাত্রসহ দুজনের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানোর পাশাপাশি সেই দৃশ্য ক্যামেরায়ও ধারণ করা হয়। মোবাইল চুরির সঙ্গে ‘জড়িত থাকার’ স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য জাহিদ হাসান ও ইমন নামের ওই দুজনকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছে জাহিদের পরিবার।

পবার চৌবাড়িয়া গ্রামে গত শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত জাহিদকে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জাহিদ পবার বাগসারা এলাকার মো. ইমরানের ছেলে। সে বাগসারা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। তবে এই ঘটনার পর ইমনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এই নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলে গত শনিবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম আজিজুল ইসলাম (৪৫)। বাড়ি পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে।

আহত জাহিদের বাবা ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর ছেলে গত শুক্রবার দুপুরে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। এ সময় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক থেকে জাহিদ হাসানকে ধরে আনে ওই এলাকার নাসির উদ্দিন, পলাশ, জামাল, রাজ্জাক, অনিক ও তুহিনসহ আরও কয়েকজন। পরে তারা ওই এলাকার ফজলুর বারীর ঘরের মধ্যে বিছানায় ফেলে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে জাহিদকে নির্যাতন করে। রাত ১০টা পর্যন্ত তার ওপর চলে চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য মারপিট। নির্যাতনের ওই দৃশ্যর ভিডিও ধারণ করা হয়। কিন্তু মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করায় জাহিদকে তাঁর (বাবা) কাছে তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর অবস্থায় জাহিদকে পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ইমরান অভিযোগ করেন, এ ঘটনাটি যেন কাউকে না জানানো হয়, এ জন্য তাঁর পরিবারকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একটি সাদা কাগজেও স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছেন ফজলুর বারীর ছেলে রাকিবসহ অন্য নির্যাতনকারীরা।

আহত জাহিদ হাসান অভিযোগ করেন, শুক্রবার সকালে ফজলুর বারীর ছেলে রাকিবের একটি মোবাইল চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনায় এলাকার ইমন নামের ১২ থেকে ১৩ বছরের এক শিশুকে ধরে নিয়ে যায় ফজলুর বারীর পরিবারের লোকজন। এরপর তারা ইমনকে মারধর করে। ইমন তখন ওই মোবাইল চুরির সঙ্গে জাহিদও জড়িত বলে অভিযোগ করে। এরপর তাকেও (জাহিদ) ধরে নিয়ে গিয়ে ফজলুর বাড়ির লোকজন মারপিট করে। আহত জাহিদ অভিযোগ করে, তাকে নির্যাতনকারীদের মধ্যে সেনাসদস্য নাসির উদ্দিনও ছিলেন। নাসির উদ্দিন ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছেন।

নির্যাতনের শিকার অন্য শিশু ইমনের বাবা-মা বেঁচে নেই। সে দাদা মকবুল হোসেনের বাড়িতে থাকত। আজ রোববার সকালে ইমনের দাদা মকবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে তাঁরা ইমনকে আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না।
যোগাযোগ করা হলে নাসির উদ্দিন নির্যাতনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি সঠিক নয়। আমি কাউকে মারিনি।’ পলাতক থাকায় অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের সঙ্গে নাসিরও জড়িত রয়েছেন। তাঁকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। ওসি বলেন, এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি আজিজুলকে রাতে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। তবে নাসিরসহ অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
আরো পড়ুন…
দুই কিশোরকে বেঁধে গিঁটে গিঁটে পেটানো নির্যাতনের দৃশ্যের ভিডিও! (ভিডিও সহ)

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ

রাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান ওবিস্তারিত পড়ুন

বগুড়ার ৩টি উপজেলায় নির্বাচন; ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতাকর্মীরা বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায়

বর্তমানে চলছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের মত এই উপজেলা বির্নাচনেওবিস্তারিত পড়ুন

  • পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
  • প্রকাশ্যে চলছে রমরমা মাদক ও জুয়ার আসর, ওসি বললেন জানা নেই
  • ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম
  • পিস্তল উদ্ধার ! মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করা শিক্ষক আটক।
  • সংঘর্ষের ঘটনায় রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা, গ্রেপ্তার ১
  • সিরাজগঞ্জে বাউলদের অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৯
  • স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ২০
  • বুধবারই নান্টু প্রথম তার কলেজ অধ্যক্ষ সাহেবের মুখ দেখেছেন
  • গোদাগাড়ী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলে
  • বিএনপি সভাপতি কারাগারে, শনিবার বগুড়ায় অর্ধ দিবস হরতাল
  • ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধে হত্যাঃ নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার !
  • নাটোরে পুকুরে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু