দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ঢাবির তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি (বদলি পরীক্ষা) দেওয়ার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই অভিযোগে তাঁদের ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়া সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এম আমজাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বিধি ৫ (২) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহফুজুর রহমান ইমন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ঢাবির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র খলিলুর রহমান আনোয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ওলি হোসেন জনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও আইনের পরিপন্থী।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অধিকতর তদন্ত শেষে অপরাধের ধরন বুঝে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।’
আমজাদ আলী আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কখনো এ ধরনের অন্যায়কে মেনে নেবে না। আমরা এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক আছি। যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে।’
এদিকে, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। মাহফুজুর রহমান ইমনকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাতের মধ্যেই বহিষ্কার করা হবে।’
গত সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে ওলি হোসেন জনিকে হাতেনাতে আটক করে জবি প্রশাসন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খলিলুর রহমান আনোয়ারকেও আটক করা হয়। তাঁরা ইমনের সহায়তায় সেখানে প্রক্সি দিতে যান বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
গতকাল সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের পরীক্ষা চলাকালে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ওলি হোসেন জনি। জনিকে উদ্ধার করতে গিয়ে আটক হন এর ‘হোতা’ ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি খলিলুর রহমান আনোয়ার।
আটক ছাত্র জনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ইমন ৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে তাঁকে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ইমনের দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরের মাধ্যমে জাবিতে এসে আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করে পরীক্ষার হলে ঢোকেন জনি। কোনো সমস্যায় পড়লে বিষয়টি দেখবেন বলে জনিকে আশ্বাস দেন আনোয়ার।
এই ঘটনায় জনি ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন