দুই প্রতিবন্ধী ভাইয়ের অদম্য লড়াই, দেখুন ভিডিও
স্বপ্ন পূরণের প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনও বাধাই বাধা নয়। সেটাই যেন প্রমাণ করতে চান মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা থানার ঝুনকা গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই ভাই।
মুস্তাফিজুর রহমান ও জাইদুল শেখ। শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই ভাই। আপন নয় তুতো ভাই। দু’জনেই এবার মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন। বেলডাঙ্গা থানার ঝুনকা গ্রামে মুস্তাফিজুর রহমান ও জাইদুল শেখের গড় উচ্চতা দেড় ফুট-এর মত। শারীরিক প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান একটু আধটু হাঁটা-চলা করতে পারলেও জাইদুল শেখকে ২৪ ঘণ্টাই শুয়ে কাটাতে হয়।
এহেন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পড়াশোনার প্রতি গভীর ভালবাসা আর মনের দৃঢ়তাকে সঙ্গী করে ওঁরা মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন। জাইদুল শেখের মা আলিয়া বিবি জানান, জন্মের দু’বছর পর থেকেই দুই ভাইয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
স্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধি পায়। অনেক চিকিৎসা করেও কোনও লাভ হয়নি। ছয় বছর বয়সে দুজনকেই স্থানীয় ঝুনকা হাই মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হয়। দুই ভাইকে স্কুলে নিয়ে যেতেন ও স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসতেন মুস্তাফিজুরের মা নুরজান বেগম। মাঝে মাঝে পাড়ার প্রতিবেশীরাও সেই দায়িত্ব নিয়েছেন।
এইভাবেই দশটা বছর শেষে অবশেষে ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন ওঁরা। পরীক্ষাকেন্দ্র দারুল হাদিম সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক নুরুল ইসলাম মিয়াঁও সহানুভূতির সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই দুই ছাত্রের দিকে। পরীক্ষার দিনগুলিতে দুই ভাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো মাত্রই প্রধানশিক্ষক তাঁদের কোলে করে নিয়ে ঘরে বসিয়ে দিতেন। নুরুল ইসলাম মিয়াঁ জানিয়েছেন, দুই ছাত্রের শারীরিক অবস্থা বিচার করে আলাদা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দু’জনেই সকলের সঙ্গে বসে পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি দু’জনেই। আরও পড়াশোনা করে আগামী দিনে শিক্ষক হতে চায় ওরা।
দেখুন নীচের ভিডিও লিঙ্ক—
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন