দড়িতে বাঁধা শিশুর জীবন
ভারতের গুজরাট রাজ্যের বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে পাথরের সঙ্গে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে বাঁধা রয়েছে একটি শিশু। সাদার ওপর কালো রং দিয়ে সেই দড়িটিতে লেখা ‘সাবধান’।
১৫ মাস বয়সী এই শিশুটির নাম শিবানি। এক পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় মাটিতে দাঁড়িয়ে খেলা করে সে। প্রতিদিন নয় ঘণ্টা এভাবেই কাটাতে হয় তাকে।
শিবানির এ অবস্থার পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে জানা যায়, নির্মাণাধীন এই ভবনে কাজ করেন তাঁর বাবা-মা। মেয়েকে আর কোথাও রেখে আসার জায়গা নেই। তাই রোজ সঙ্গে করে কাজে নিয়ে আসতে হয়। যেহেতু শিবানি এখন চলাফেরা করতে পারে, তাই হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এভাবেই তাকে পায়ে দড়ি বেঁধে রাখেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবানির মা সারতা কালারা এনডিটিভিকে জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী দৈনিক ২৫০ রুপি মজুরিতে এই ভবনে কাজ করেন। বিদ্যুতের তার পরিবহনের জন্য গর্ত খুঁজতে হয় তাদের। পুরো এলাকায় এত মানুষের ভিড়ে বাধ্য হয়ে মেয়েকে সাবধানে রাখতে পায়ে দড়ি বেঁধে রাখতে হয়।
২৩ বছর বয়সী দুই সন্তানের এই মা জানান, তাঁদের বড় সন্তানের বয়স সাড়ে তিন বছর। তার একার পক্ষে শিবানিকে চোখে চোখে রাখা সম্ভব হয় না। আর সে জন্যই আপাতদৃষ্টিতে অমানবিকভাবে বড় করতে হচ্ছে শিবানিকে। তার নিরাপত্তার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়ে এ ব্যবস্থা করতে হয়েছে তার পরিবারকে।
ভারতে নির্মাণশ্রমিকের সংখ্যা চার কোটি। এদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজন নারী। এদের বেশির ভাগই হলো দরিদ্র অভিবাসী মানুষ। তারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে খাদ্য আর কাজের খোঁজে শহরে এসে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে। বড় বড় রাস্তা আর বিলাসবহুল বাড়ির নির্মাণক্ষেত্রের পাশেই তাই ধুলোয় গড়াগড়ি করতে থাকা শিশুদের দেখতে পাওয়া যায় সহজেই। কারণ, এসব শিশুর বেশির ভাগই তাঁবুর মতো অস্থায়ী আর অনিরাপদ স্থানে বাস করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন