নানা চাঞ্চল্যকর তথ্যঃ উত্তরার আদনান হত্যার নেপথ্যে পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠা কিশোরদের ‘গ্যাং’
গতকাল উত্তরায় বন্ধুদের মারধরে আদনান কবীর নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সে উত্তরার ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বাসা উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে। আদনান হত্যার পেছনে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, কিশোররা এলাকাভিত্তিক ‘গ্যাং’ বানিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে। রাজধানীর উত্তরায় কিশোরদের এরকইম দুটো গ্রুপের নাম ‘নাইন স্টার’ আর ‘ডিস্কো বয়েজ। ‘
এইসব গ্রুপের লিড দেয় এলাকার ‘বড়ভাইয়েরা। ‘ এদের কাজ নিজ এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আধিপত্য ধরে রাখা। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে হুমকি দেয়া হয়। এই দুই গ্রুপের বিরোধে আদনান কবীর নামক ওই ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় আদনান গ্রুপের ছেলেরা ছিল না তাকে একা পেয়েই মারধ্র করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে আদনানকে মারধর করে বন্ধু-সহপাঠীরা। লাঠির আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে গেলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোশ্যাল মিডিয়া এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেরই অভিযোগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১২ থেকে ১৮ বছরের কিশোররা ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এই সব অপরাধের বলি হয়েছে আদনান। এমনটাই ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা গেছে। এই বয়সের গ্রুপের ছেলেরা ফেসবুকে প্রকাশ্যে মদের বোতলের ছবি হাতে নিয়ে পোস্ট করে।
প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বাজে’ ভাষা ব্যবহার করে থাকে এরা। নাইন স্টার, নাইন এমএম, ডিস্কো বয়েজ এসব গ্যাং-এর নাম, যা উঠতি কিশোরদের গ্যাং। ফেসবুকে ছড়িয়ে ছবি দেখে এমনটাই জানা গেছে। যাদের দেখা গেছে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে অস্ত্রের ছবি ব্যবহার করে ছবি পোস্ট করতে।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, কিশোরদের এলাকাভিত্তিক দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার সময় আদনানের পক্ষের লোকজন ছিল না। এ কারণে সে পিটুনির শিকার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোরদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
আদনান হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ফেসবুকে ব্যাপক প্রচারণা চলছে পাশাপাশি, এইসব গ্রুপ বা গ্যাং-এর হোতাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার আহবান জানানো হয়েছে। রাফাত নূর নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেরা গ্যাং গঠন করছে। পরস্পরকে খুন করছে। বাবা মায়েরা খোঁজ রাখেন, আপনার সন্তান বাইরে কী করছে? আজ এবং এক্ষুনি সন্তানের বিষয়ে জানার চেষ্টা করুন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গাজায় মানবিক কনভয়ে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক সহায়তার জন্য পাঠানো জর্দানের মানবিক ত্রাণবাহী একটিবিস্তারিত পড়ুন
ভয়ংকর প্রতারণা সানভিস বাই তনি’র
রোবাইয়াত ফাতেমা তনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ । রাজধানীতে বেশবিস্তারিত পড়ুন
কাউন্সিলর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
পারিবারিক বিরোধপূর্ণ মার্কেট লিখে নিতে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে নারায়নগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন