শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নীল নদের কাছে খলিফার চিঠি

হাফেজুল হাদিস আবুশ শায়খ (রহ.) কিতাবুল ইছমত নামক গ্রন্থে লিখেছেন, হজরত ওমর (রা.)-এর যুগে মিসর বিজয়ের পর একটি প্রতিনিধি দল হজরত ওমর (রা.) নিযুক্ত মিসরের গভর্নর হজরত আমর ইবনুল আস (রা.)-এর খিদমতে এসে বলল, আমীরুল মুমিনীন, নীল নদের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশে পূর্ব থেকেই একটি প্রথা প্রচলিত আছে, পালন না করা পর্যন্ত নীল নদে আর পানি প্রবাহিত হবে না। হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) বললেন, তোমাদের দেশের প্রচলিত প্রথাটি কি? তারা বলল, আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ম প্রতি বছর এ সময় যখন নীল নদের পানি প্রবাহ শুকিয়ে যায়, তখন আমরা মা-বাবার আদরের একজন যুবতী কুমারীকে সাজিয়ে গুছিয়ে নীল নদে বলি দিই। তারপরই নীল নদে পানি প্রবাহিত হয়। এ বছরও সে সময়টি এসে গেছে। হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) বললেন, এসব জাহিলিয়্যাত যুগের প্রথা। আল্লাহর শপথ। ইসলামী যুগে আর এ প্রথা চলবে না। ইসলাম জাহিলিয়্যাতের সব প্রথা ও নিয়মনীতিকে চিরতরে নির্মূল করে দিয়েছে। যুবতী বলির মাধ্যমে আর কোনো দিন নীল নদের প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে না। প্রতিনিধি দল একেবারে হতাশ হয়ে গেল এবং এ প্রথা কার্যকর না হওয়াতে নীল নদের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে ভেবে অনেকেই দেশ ত্যাগের ইচ্ছা করল। হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) বিস্তারিত জানিয়ে হজরত ওমর (রা.)-কে চিঠি লিখলেন। উত্তরে হজরত ওমর (রা.) লিখলেন যে, আপনি মিসরবাসীকে যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। আপনার সিদ্ধান্ত সঠিক। ইসলাম জাহিলিয়্যাতের কুপ্রথাসমূহ মূলোত্পাটন করে দিয়েছে। আর হজরত আমর ইবনুল আস (রা.)-কে লিখলেন, আপনার পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত পত্রটি নীল নদে ফেলে দেবেন। হজরত আমর (রা.) সংযুক্ত পত্রটি দেখলেন, এতে লেখা আছে— ‘এ পত্র আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর (রা.)-এর পক্ষ থেকে মিসরে প্রবাহিত নীল নদের প্রতি— হামদ ও সালাতের পর, ‘হে নীল নদ! তুমি যদি নিজ ক্ষমতায় প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে তোমার পুনরায় প্রবাহিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর যদি তোমাকে আল্লাহতায়ালা প্রবাহিত করে থাকেন, তবে আমি মহান পরাক্রমশালী আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন তোমাকে পুনরায় পূর্বের ন্যায় প্রবাহিত করে দেন।’

হজরত আমর (রা.)-এর কাছে এ চিঠি পৌঁছার পর নীল নদের গতিরোধ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পূর্ব রাতেই হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) আমীরুল মুমিনীনের এ চিঠি নীল নদে ফেলে দিলেন। পরদিন ভোরবেলা সবাই দেখলেন, এক রাতেই আল্লাহর হুকুমে ১৬ হাত উঁচু হয়ে নীল নদ পানিতে ভরপুর হয়ে আছে।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি

পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন

সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু

সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন

ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি

এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
  • দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদের নামাজ শেষে চলছে কোরবানি
  • হাজিদের গরম থেকে বাঁচাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করলো সৌদি
  • জমজমাট শপিংমল-মার্কেট
  • ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাত ময়দান
  • উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা হবে নির্ঝঞ্জাট
  • শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাকা হচ্ছে ঢাকা
  • জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ
  • ঈদযাত্রায় এবার ১২ জায়গায় ভোগান্তির শঙ্কা
  • সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৮২ হাজারের বেশি হজযাত্রী