রবিবার, মে ৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

নেত্রকোণা আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খানের বিচার চেয়ে ট্রাইব‌্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আবেদন করেছেন স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মতিউরের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন সহযোগীসহ অন্তত দুজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাইব‌্য‌ুনালের তদন্ত সংস্থা বলেছে, তারা নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করবে। অন‌্যদিকে মতিউর রহমান খান কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুজ্জোহা গত সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব‌্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এই অভিযোগ জমা দেন। আবেদনের সঙ্গে তিনি একাত্তরে শান্তি কমিটির একটি সভার প্রতিবেদনের অনুলিপি দেন, যেখানে সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মতিউর রহমান খানের নাম রয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে মতিউর রহমান খান বলেন, তিনি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। একাত্তরে তিনি মুক্তারপাড়া এলাকায় শ্বশুরের বাসায় পাক হানাদারদের নজরবন্দি ছিলেন। তার জামিনদার ছিলেন নেত্রকোণা কলেজের অধ্যক্ষ। এই বক্তব্যের সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সে সব তিনি হাজির করবেন। মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার কাছে দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জোহার অভিযোগ বলা হয়, একাত্তরে দুই বার তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমবার ২০ এপ্রিল রাজাকার সৈয়দ হাফিজ উদ্দিন, সৈয়দ সোনা মিয়ার নেতৃত্বে ভোলা মিয়া, আল বদর শহীদুল্লাহ পিন্টু ও আব্দুর রহিম ফরাজী আক্রমণে অংশ নেন। তারা এসে বাড়ির মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৪ অগাস্ট নেত্রকোণা সদরের কুরপাড়ের মুকতুল হোসেনের বাড়িতে আক্রমণ করে তাকে আটক করে আনসার ব্যারাকে বসানো হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে সারা রাত পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়। আল বদর মতিউর রহমান খানের নেতৃত্বে পিন্টু-ফরাজী-ভোলা ওই আক্রমণে অংশ নেয়। তারা পরে মুকতুল হোসেনকে মগড়া নদীর তীরে নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। তার লাশ আর পাওয়া যায়নি। বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার মানুষ ওই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। আমি সোর্সের মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনা জানতে পারি। পরে এলাকার লোকজনের কাছে ঘটনা জানতে পারি, অভিযোগে লিখেছেন শামছুজ্জোহা।

মতিউরের বিরুদ্ধে অপর অভিযোগ, দুর্গাপুর থানার বিরিশিরি নোয়াপাড়ার অধ্যাপক আরজ আলীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যা। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৫ অগাস্ট আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে অধ্যাপক আরজ আলীকে নেত্রকোণা কলেজ থেকে ধরে নেত্রকোণা ভোকেশনাল আর্মি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। আল বদর মতিউর রহমান খান, অধ্যাপক মুন্সী আব্দুল জলিল, পিন্টু ও ফরাজী এতে অংশ নেয়। পরদিন আরজ আলীকে হত্যা করে আসামিরা লাশ সোমেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়। ওই ঘটনা নুরুজ্জামান, খোরশেদ আলী, আব্দুল হামিদসহ অনেকে প্রত্যক্ষ করে। প্রত্যদর্শীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত বলে আবেদনে জানিয়েছেন শামছুজ্জোহা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন

মূল্য ৭ কোটি: পঞ্চগড়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকাল পৌনে ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট নিয়ে আদেশ

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি ও শৃঙ্খলা বিধিমালার প্রকাশিত গেজেট বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন

  • জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা
  • মানবতাবিরোধী অপরাধ: আজহার-কায়সারের আপিল শুনানি ১০ অক্টোবর
  • নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলা: হাইকোর্টের রায় ২২ আগস্ট
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রাজাকার হাফিজ গ্রেপ্তার
  • সেলিম ওসমান অসুস্থ, চার্জ শুনানি হল না
  • স্ত্রী-শাশুড়িসহ তুফান ফের রিমান্ডে
  • এই রায়ে আমি ব্যথিত: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • রিমান্ডে ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার’ করলেন তুফান সরকার
  • আইনমন্ত্রীর খসড়া গ্রহণ করেনি আপিল বিভাগ
  • হলি আর্টিজানে হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ রাশেদ গ্রেপ্তার
  • হবিগঞ্জে চার শিশু হত্যা : তিনজনের ফাঁসির রায়
  • খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন