নোয়াখালীতে ৩ জনের লাশ উদ্ধার যুবলীগ নেতাসহ
নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় পুলিশ পৃথক স্থান থেকে এক যুবলীগ নেতা সহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে, যৌতুকের দাবীতে গৃহবধু মমতাজ বেগম লাকিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ একটি ব্রিফকেসে পলেথিন মোড়ানো এক হতভাগ্য নারীর লাশ উদ্ধার করে।
সূত্র জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম জহিরের সাথে অধিপত্য বিস্তার নিয়ে একই ইউনিয়নের বেলাল মিয়ার পোল এলাকার যুবলীগের একটি গ্রæপের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে জহির কবির বাজার গেলে তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের খোদখাস্তা গ্রামের ভূঁইয়া বাজার এলাকার একটি খাল থেকে ব্রিফকেসে পলিথিনের ব্যাগভর্তি এক অজ্ঞাত পরিচয় নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। সকালে স্থানীয় লোকজন খালের মধ্যে একটি বড় ব্রিফকেস দেখতে পায়। একপর্যায়ে তারা ব্রিফকেসটির কাছে গিয়ে ভিতরে পলিথিনের ব্যাগভর্তি কিছু রয়েছে সন্দেহ হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খবর দেয়। জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারনা, মেয়েটিকে অন্য স্থানে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য এ নির্জন স্থানের ডোবায় ফেলে গেছে দৃর্বৃত্তরা। চাষীর হাট ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মোল্লা বলেন যে স্থানে কঙ্কালটি পাওয়া গেছে সেখানে লোকজন সাধারণত চলা ফেরা করেনা।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ব্রিফকেস থেকে একটি মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের সময় ব্রিফকেসের মধ্যে নারীদের পরিধেয় জামা-কাপড় পাওয়া গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত কঙ্কালটি কোনো একজন নারীর। পরবর্তীতে যদি কেউ কঙ্কালটি তাদের কোন লোকের বলে দাবী করে তাহলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। অপরদিকে বৃহস্প্রতিবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপূর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বড় বাড়ি থেকে মমতাজ বেগম লাকি নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামীর নাম মহিউদ্দিন সুজন। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, লাকির স্বামী সুজনের পরিবার প্রায়ই যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। লাকি এর প্রতিবাদ করায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ রশি দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ এসব ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। যুবলীগ নেতা খুন ও গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফারুকের সরকারী মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে ডিউটি অফিসার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন