শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নাসিক নির্বাচন

নৌকা আইভীর হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কি?

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের মাঠ যে জমে উঠবে, সেটার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করে ১৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেছে। তার আগে থেকেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য বিদ্যমান ছিল। কে কে হতে পারেন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী! আবার সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না! নিলে কে হবেন কোন দলের প্রার্থী! ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছে অবস্থিত প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ প্রাণকেন্দ্রটিতে কে হচ্ছেন পরবর্তী মেয়র, সেটি দেখার জন্য দেশবাসী উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ যে শুধু এখন গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, অবস্থানগত কারণেই ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জ একটি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আদমজী পাটকল ছিল এখানেই এবং এখান থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট রপ্তানি করা হতো। নানা কারণেই আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনটি আরো এক ডিগ্রি গুরুত্ব পেয়েছে। যা হোক, দীর্ঘদিন থেকে চলা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভাটি ২০১০ সালের ৫ মে এক সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে রূপান্তর করা হয়। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর সেখানে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো সরাসরি দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতো। শুধু দলীয় মার্কাটি থাকত না, আর বাদবাকি সবই দলীয় ফ্লেভারেই অনুষ্ঠিত হতো।

ঠিক সে রকম একটি মুহূর্তে সেই নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে মেয়র পদে দলীয় অনানুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি মেয়র পদে বিজয়ী হতে না পারলেও পরে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তখন বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মনোনয়ন না দিলেও তিনিই তখন বিপুল ভোটের ব্যবধানে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে প্রথম নারী মেয়র হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালের ১৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধুর আরেক রাজনৈতিক সহচর আলী আহমদ চুনকার ঘরে জন্ম নেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি রাশিয়া থেকে মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে লেখাপড়া করে দেশে এসে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জনস্বার্থে কাজ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। সেই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অজানা কারণে দলীয় নির্দেশে নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে হঠাৎ করেই তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বর্তমান সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও দলীয় প্রধান এরশাদের কোনটি যে শেষ কথা, সে বিষয়টি নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি আগে থেকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কথা বললেও এখন মনোনয়নের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মত পাল্টাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কে হচ্ছেন শাসকদল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। কারণ, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাফিয়াদের চক্র ভাঙার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশন এলাকার বেশ উন্নয়নও করেছেন বলে জানা গেছে। সে জন্য তিনি এবার দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়েই মেয়র পদে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রশিদ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান রয়েছেন সেই নৌকা প্রতীকপ্রাপ্তির দৌড়ে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভোটে তিনজনের একটি প্যানেল কেন্দ্রে পাঠালে তখন কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থী প্যানেল এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার আমজনতার মধ্যে জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন চূড়ান্ত করে থাকে। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নামই নাকি তৃণমূল থেকে প্রেরিত তিনজনের প্যানেলে ছিল না। সেখানে ওপরে বর্ণিত তিনজনের নামই নাকি পাঠানো হয়েছিল। কারণ, দল-মত নির্বিশেষেই নাকি তাঁদের কালো হাতের থাবা সম্প্রসারিত। আর সেখানে আন্তদলীয় এবং অন্তর্দলীয় উভয় প্রকার রাজনৈতিক বিরোধিতাই নাকি সব পর্যায়ে খুবই প্রবল।

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সবকিছু বিবেচনায় আইভীকেই মেয়র হিসেবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

কিছুদিন আগে সরকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে উপমন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করে। এর আগে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে চিত্রনায়িকা কবরী নারায়ণগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নাসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এরই মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। এখন বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং কীভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করে, তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিয়য়টি। কাজেই এসব বিষয়ের পরে কে হবেন নাসিক মেয়র, সেটি দেখার জন্য চোখ রাখতে হবে গণমাধ্যমের দিকে।

লেখক : ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

খেলার জগতের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পেশাদারি কাঠামো

লাল-সবুজের তরুণ প্রজন্মের এ সময়ের প্রিয় শ্লোগান, ‘বাংলাদেশের জান, সাকিববিস্তারিত পড়ুন

আগস্টের শোককে শক্তি হিসেবে নিতে পারি আমরা তরুণেরা

“যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তিবিস্তারিত পড়ুন

বাবা যখন ধর্ষক

যেখানে আপন বাবাই ধর্ষণ করে, সেখানে সৎ বাবার ধর্ষণ আমাদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • দুই বড় দেশ যখন প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী
  • মৌসুমি নৌকা শোরুম
  • ভারতবিদ্বেষ কেন বেড়ে চলেছে?
  • জনগণের কাছে শেখ হাসিনাই জয়ী
  • ‘গুলিস্তান’ নেই, তবু আছে ৬৪ বছর ধরে
  • পদ্মা ব্রিজ দিয়ে কী হবে?
  • যুদ্ধাহতের ভাষ্য: ৭০– “এখন অমুক্তিযোদ্ধারাই শনাক্ত করছে মুক্তিযোদ্ধাদের”
  • আসুন, বড় হই
  • আসুন, পিঠের চামড়া না তুলে পিঠ চাপড়ে দিতে শিখি
  • বাড়িওয়ালা মওদুদ ও বাড়িছাড়া মওদুদ
  • ব্রিটেনের নতুন সরকার নিয়ে যে শঙ্কা!
  • আওয়ামী লীগ ছাড়া কি আসলে কোনো বিকল্প আছে?