গাজীপুরের প্রায় ৬৫ হাজার বন বিভাগের জমির মধ্যে প্রায় ১২ হাজার একর বেহাত হয়েছে অনেক আগেই বাকি ছিলো ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের জমিটুকু। স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, লিজের নামে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে চলছে পতিতালয় বানানোর পায়তারা। আর অসামাজিক কার্যকলাপের টাকা পকেটে ভরে চুপ থাকছে বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুল হকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।

রাজধানীর পাশেই প্রায় আড়াই হাজার একর বিশাল বনভুমির উপর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। গাজিপুরের মানুষের কাছে শোনা যায়, এই বনে একসময় বাঘ ভালুক থেকে শুরু করে সব ধরনের বন্য প্রানীর বসবাস ছিলো। কিন্তু এখন বনের ভুমি দস্যূদের দাপটে বন্য পশুরাই ভয়ে পালাতে শুরু করেছে।

বনের তিন নম্বর গেটের আরেক নাম ভিআইপি গেইট। গেটের পাশেই সরকারের কোটি-কোটি টাকা খরচ করে বেশ কয়েকটি কটেজ আর রেস্ট হাউজ বানানো হয়েছে, যেখানে বনে ঘুরতে আসা ভিআইপিদের বিশ্রাম নেওয়ার কথা থাকলেও একুশের চোখের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিন্ন কিছু।

ভিআইপি গেটের পাশেই বন কর্মকর্তার কার্যালয় সেখানেই যখন এ অবস্থা তখন অন্য গেটের অবস্থা জানতে আমরা এবার ৪ নম্বর গেটে যাই, গেট দিয়ে ঢুকতেই এক রিক্সাওয়ালা ডাকলেন, মামা লাগবে নাকি? কি লাগবে সেটা মামার মুখেই শোনা গেলো। বললো দুইশা টাকায় পাওয়া যাবে একজন পতিতা।

ভালো মেয়েদের খোঁজে এবার একুশের চোখের টিম বনের আরেকটু ভেতরে, কিছুদূর ভেতরে গেলো। পার্কের যত ভেতরে যাওয়া হচ্ছে ততই মানুষের আনাগোনা বাড়ছে, কিছুদূর এগুলেই মোটামুটি দেহ ব্যবসার বাজার।

সেখানে গিয়ে কথা হয় বন বিভাগের এক প্রহরীর সাথে, তার কাছে জানা যায় কারা কারা এসব অসামাজিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তার কাছেই জানা যায় বনের আরও ভেতরে ঢুকলে আরও সুন্দরীদের পাওয়া যাবে, কিন্তু তাদের ফাঁদে যারা পা দিয়েছে, দেখা যাক তাদের অবস্থাটা কি?

দুজন এসেছিলেন, অতি সুন্দরীর খোঁজে তারা যে কাজে এসেছিলেন, তার আগেই তাদেরকে অন্য কাজ করে ছেড়ে দিয়েছে সুন্দরীরা। এত কিছুর পরও কারও কিছু করার নেই কারন দেহ ব্যবসায়ীদের প্রতিজন ইজারাদের কাছে জমা দেন দেড় হাজার টাকা। সেখান থেকে ৫শ টাকা যায় বন কর্মকর্তা বজলুল হকের টেবিলে। অবশ্য এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলেও অফিস ছেড়ে পালান বজলুল হক।

https://youtu.be/gOCgM9KUdX8