পায়খানায় কিবলামুখী হয়ে বসা যাবে নাকি যাবে না?
য়খানায় লজ্জাস্থান কিবলামুখী করে বসা মাকরূহ। কেননা, নবী করিম (সা.) তা নিষেধ করেছেন। এক বর্ণনা মতে কিবলার দিকে পিছন দিয়ে বসা মাকরূহ। কেননা তাতে সম্মান তরক করা হয়। অন্য বর্ণনা মতে তা মাকরূহ হয় না। কেননা, যে ব্যক্তি (কিবলার দিকে) পিছন দিয়ে বসেছে, তার লজ্জাস্থান কেবলার দিকে নয়। আর যে নাজাসাত তার থেকে বের হয়, তা ভূমির দিকে পড়ে। আর যে কিবলামূখী হয়ে বসে, তার লজ্জাস্থান কেবলামুখী হয়ে থাকে। আর তা থেকে যা নির্গত হয়, তা সে মুখী হয়ে মাটিতে পড়ে। মসজিদের উপরে স্ত্রী সহবাস করা, পেশাব করা এবং নির্জনে মিলিত হওয়া মাকরূহ। কেননা মসজিদের ছাদ মসজিদের হুকুমভূক্ত। এইজন্য মসজিদে ছাদ থেকে ছাদের নীচে দাড়ানো ইমামের পিছনে ইকতিদা করা বৈধ। এবং ছাদে আরোহণের কারণে ই’তিকাফ বাতিল হয় নি। এবং জানাবাতের অবস্থায় সেখানে অবস্থান করা জাইয নয়। ঐ ঘরের উপরে পেশাব করায় কোন অসুবিধা নেই, যার নীচে মসজিদ রয়েছে।
মসজিদ দ্বারা বাড়ীর ঐ অংশকে বোঝানো হয়েছে, যা সালাতের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেননা তা মসজিদের হুকুমের আওতায় পড়েনি। যদিও আমাদেরকে বাড়ীতে সালাতের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখার আহবান জানানো হয়েছে। আর মসজিদের চুনকাম করা, শালকাঠ দ্বারা এবং স্বর্ণের পানি দ্বারা কারুকার্য করাতে কোন অসুবিধা নেই। ‘অসুবিধা নেই’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, একাজে কোন সাওয়াব হবে না। তবে গুনাহও হবে না। কোন কোন মতে অবশ্য এটি সাওয়াবের কাজ। তবে এটি নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করার ক্ষেত্রে। পক্ষান্তরে মুতাওয়াল্লী ওয়াকফের মাল হতে ঐ সমস্ত কাজই শুধু করতে পারেন, যা নির্মাণ সংশ্লিষ্ট; কারুকার্য সংশ্লিষ্ট নয়। যদি কিছু করেন তবে ব্যয়কৃত অর্থের দায় তাকেই বহন করতে হবে। আল্লাহই উত্তম জানেন।
মূল- শায়খুল ইসলাম বুরহান উদ্দীন আবুল হাসান আলী ইবন আবূ বকর আল-ফারগানী [রহ.]
অনুবাদ- মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা- মাওলানা মিরাজ রহমান
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঈদের ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন অফিস সময়সূচি
পবিত্র ঈদুল আজহার পর সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিতবিস্তারিত পড়ুন
সৌদিতে হজে বিভিন্ন দেশের ৫৫০ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবে এ বছর হজ পালনে গিয়ে কমপক্ষে ৫৫০ জনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদে ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮ টি গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪বিস্তারিত পড়ুন