মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পুলিশের অনুসন্ধানে ধরা বিএমপির কেলেঙ্কারি

বরিশাল মহানগর পুলিশে (বিএমপি) পদোন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুষ নেওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়েছে পুলিশেরই গোয়েন্দা নজরদারিতে। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ‘ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ শাখা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায়। চলতি সপ্তাহে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বিএমপিতে ঘুষ কেলেঙ্কারির চিত্র উঠে আসে। এই ঘুষখোর দলটির প্রধান ছিলেন উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) জিল্লুর রহমান। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার রাতে প্রথম দফায় বিএমপির ১০ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সেখানকার ডিসি জিল্লুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিল্লুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি এবং পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ রয়েছে। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, “অপরাধীর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। কেউ কোনো ফৌজদারি অপরাধ, দুর্নীতি করলে সে পুলিশ হিসেবে গণ্য হবে না। তাকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অসদাচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিএমপিতে নতুন পদ সৃজনের মাধ্যমে পদোন্নতি লাভের জন্য চাঁদার মতো করে ঘুষ গ্রহণ শুরু হয়। নিম্ন পদের পুলিশ সদস্যদের প্রলুব্ধ করে কয়েকজন এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন- এমন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর। ‘ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ শাখা ওই বিষয়টিতে অনুসন্ধানে নামে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি দল বরিশাল ঘুরে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর তারা গোপন প্রতিবেদন দেয়। পরে ঘটনাটি তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিএমপির সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিও একই রকম অভিযোগ পায়। গত ২৭ জুন সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৮ জুন রবিবার প্রথম দফায় ১০ জনকে বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে চারজন কর্মকর্তা ও ছয়জন কনস্টেবল রয়েছেন। তাঁরা হলেন রিজার্ভ অফিসের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনিসুজ্জামান, এএসআই মনির হোসেন, নায়েক কবির হোসেন, ড্রাইভার শহীদুল ইসলাম, বাবলু জোমাদ্দার, রেশন স্টোরের আব্বাস উদ্দিন, আরিফুর রহমান, ডিবির কনস্টেবল তাপস কুমার মণ্ডল, ড্রাইভার দোলন বড়াল এবং কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত ও সদ্য বদলি হওয়া এসপিবিএনের এএসআই হানিফ। পুলিশের তদন্তে পদোন্নতির জন্য ৭৭ লাখ টাকা ঘুষ সংগ্রহের প্রধান হিসেবে ডিসি জিল্লুর রহমানের নাম উঠে আসে।

বিএমপি ও সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বিএমপির ২৩০ পুলিশ সদস্য বিশেষ পরীক্ষায় পদোন্নতির জন্য পাস করে পদায়নের অপেক্ষায় আছেন। শূন্যপদ না পেলে তাঁরা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। বরিশাল মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ২০১২ সালে পাঁচ হাজার ৯০ জনের নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই পদের বিপরীতে ৮৫০ পদের জন্য সম্প্রতি সংস্থাপন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। ওই পদে পদোন্নতি পেতে পাস করে বসে থাকা কনস্টেবলরা তদবির শুরু করেন। বিএমপির একটি চক্র তাঁদের পদোন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রতি ৩০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ সংগ্রহ করে। আর এই চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন ডিসি জিল্লুর রহমান।

অভিযোগ রয়েছে, জিল্লুর রহমানসহ আরেক কর্মকর্তার নির্দেশনায় বডিগার্ড কনস্টেবল বাবলু, অস্ত্রাগারে কর্মরত পুলিশের নায়েক কবির, কাউনিয়া থানার এএসআই মনির মিলে ২৩০ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঘুষ তোলেন। তাঁদের তিনজনের নামেই যৌথ অ্যাকাউন্টে রাখা হয় ১৬ লাখ টাকা, যা পরে জানাজানি হলে গত ১৭ জুন বরিশাল পুলিশ সদর দপ্তরে আসা ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে ‘পুলিশের সিকিউরিটি সেল’ তাঁদের তলব করে ঢাকায় নিয়ে যায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার ১০ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর। গতকাল বরখাস্তের ব্যাপারে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে অফিসে এবং টেলিফোনে পাওয়া যায়নি।

বিএমপির কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘পদোন্নতি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কতিপয় বিপথগামী পুলিশ সদস্য সহকর্মীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে। এ কারণে ইতিপূর্বে ১০ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। আর তাদের সঙ্গে উপকমিশনার জিল্লুর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন এমন অভিযোগ পাওয়ায় তাঁকেও সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশের হেডকোয়ার্টারস। পুলিশ কমিশনার আরো জানান, ইতিপূর্বে বিএমপির উপকমিশনার (সদর) শোয়েব আহম্মদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাল (আজ) বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে। সেই প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

বান্দরবানের রুমায় বন্দুকযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তিনজন কেএনএফের সদস্য নিহত হয়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন

ম্যাসেজ টু কমিশনার (M2C) : রাস্তার অবৈধ দোকান সরানো হলো

মহানগরীর যে কোন নাগরিক পুলিশি সেবা সংক্রান্ত যে কোন তথ্য,বিস্তারিত পড়ুন

গাজায় মানবিক কনভয়ে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক সহায়তার জন্য পাঠানো জর্দানের মানবিক ত্রাণবাহী একটিবিস্তারিত পড়ুন

  • ভয়ংকর প্রতারণা সানভিস বাই তনি’র
  • কাউন্সিলর ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ 
  • কামরাঙ্গীরচরে বিষপান করে পগৃহবধূর আত্মহত্যা
  • জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাব পাস  
  • বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
  • অনলাইন জুয়া-বেটিং-গেমিংয়ের কারণে অর্থপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী
  • জবি শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক
  • কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানে জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিএনসি
  • পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
  • আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতা বিরোধীদের নীলনকশার অংশ : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
  • সাংবাদিক ফরিদের উপর হামলাকারীদের গ্ৰেপ্তারে সাত দিনের আল্টিমেটাম
  • মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন