সোমবার, মে ৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

বঙ্গবন্ধুর খুনি মোসলেউদ্দিন জার্মানিতে

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের একজন সাবেক রিসালদার মোসলেউদ্দিন খান জার্মানিতে পালিয়ে আছেন। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বার্তা সংস্থা বাসসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার পলাতক খুনি মোসলেউদ্দিন জার্মানিতে বসবাস করছেন। তবে জার্মানির কোথায় মোসলেউদ্দিন বসবাস করছেন, এ ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, জাতি ১৫ আগস্ট ৪১তম জাতীয় শোক দিবস পালন করতে যাচ্ছে। জার্মানিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা রিসালদার মোসলেউদ্দিনকে সে দেশে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন খুনির মধ্যে পলাতক ছয়জনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে তিনজন যথাক্রমে সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং রিসালদার মোসলেউদ্দিন খান জার্মানিতে বসবাস করছেন।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁদের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যদিও তাঁরা কোথায় লুকিয়ে আছেন এ ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাঁদের অবস্থান নিশ্চিত হতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক বাসসকে জানান, মোসলেউদ্দিনকে শনাক্ত করতে এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কাছে তাঁর ছবি পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ইন্টারপোল বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অবস্থান জানতে আরো তথ্য চেয়েছে। মোসলেউদ্দিনকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পুলিশকে নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

আইজিপি বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক খুনিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নূর চৌধুরী ও সাবেক মেজর বজলুল হুদা সরাসরি বঙ্গবন্ধুকে গুলি করেন। বজলুল হুদার মৃত্যুদণ্ডাদেশ এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। নূর চৌধুরী এখনো পলাতক। অপর পলাতক আসামিদের মধ্যে সাবেক সেনাসদস্য ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ভারতে পলাতক রয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো সঠিক সরকারি তথ্য নেই। অপর পলাতক আসামিরা হলেন বরখাস্তকৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ এবং শরিফুল হক ডালিম। ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর এর আগে পলাতক আসামিদের মধ্যে জিম্বাবুয়েতে বরখাস্তকৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে এবং ইন্ডেমোনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করার পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। এই কালো আইনের জন্য এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। সবোর্চ্চ আদালত আপিল ডিভিশনের রায়ের পর ১০১০ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তাঁরা হলেন সাবেক লে. কর্নেল ফারুকুর রহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) শাহরিয়ার রশীদ খান এবং এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যাঞ্চার) ও সাবেক মেজর বজলুল হুদা। ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের পর হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে প্রত্যাবাসন চুক্তি না হলেও সাবেক সামরিক সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে দেয়।

১৯৭৫ পরবর্তী সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। ১৯৯৬ সাল পযর্ন্ত তাঁরা নানা ষড়যন্ত্র ও দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে এসে কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের পথ প্রশস্ত হয়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ চৌধুরী ১৯৮৪ সাল পযর্ন্ত নাইজেরিয়ায় কনসুলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সর্বশেষ বদলি হয় টোকিওতে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করে।

রিসালদার মোসলেউদ্দিনকে তেহরান ও জেদ্দায় পোস্টিং দেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন মো. কিসমত হাসেম অটোয়ায় এবং লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ ত্রিপোলিতে কূটনীতিক হিসেবে চাকরি পান।

বাসস জানায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আব্দুল আজিজ পাশা রোমে বাংলাদেশ মিশনে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান। আজিজ পাশা ১৯৮০ সালের ১৭ জুন অভ্যুত্থান ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে তিনি অভ্যুত্থান সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে সম্মত হওয়ায় সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেন। তাঁকে রোমে কূটনীতিকের চাকরি দেওয়া হয়। আজিজ পাশা নাইরোবিতেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সর্বশেষ পোস্টিং ছিল জিম্বাবুইয়ে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পাশা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসার পর পাশাকে মরণোত্তর চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয় এবং তার পরিবারকে পেনশনসহ সব সরকারি সুবিধা দেওয়া হয়। তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দেখানো হয়।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আইনের ফাঁদে আটকে আছেন খালেদা জিয়া: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগমবিস্তারিত পড়ুন

সাংবাদিকদের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেবিস্তারিত পড়ুন

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

  • একে একে মারা গেলেন পরিবারের ৬ সদস্যই
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • ট্রেনে কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের পায়ের সব আঙুল
  • সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
  • বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, থাকতে পারে টানা ৩ দিন
  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
  • সংগীত শিল্পী খালিদ আর নেই
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই
  • তিশা থেকে জয়া আহসান, কপালে বাঁকা টিপের সেলফির রহস্য কী?
  • বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।